প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসানের একটি লেখা ‘কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নামে এ কোন রাজনীতি’ পড়তে গিয়ে থমকে গেলাম। আমাদের শিক্ষাঙ্গনে যে নৈরাজ্য চলছে এবং যেসব নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে, তার সঙ্গে লেখাপড়ার মানের উন্নতির কোনো সম্পর্ক নেই। সব আন্দোলন আনুষঙ্গিক বিষয়ে। এসব নিয়ে ক্লাস বয়কট হচ্ছে, রাস্তাঘাট বন্ধ হচ্ছে, হানাহানি–মারামারি হচ্ছে—সবই যেন নিয়মমাফিক ঘটছে।

কিন্তু এগুলোর জন্য চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারা? রাস্তা বন্ধ—পথচারী, গাড়িঘোড়া অন্য পথে যাবে; ভিসি চাকরি হারাবেন—আরেকটা চাকরি খুঁজে নেবেন; শিক্ষাঙ্গন কয়েক মাস বন্ধ থাকবে—সরকারি টাকাকড়ির আমদানি ঠিকমতো চলবে, সবাই বেতন পাবেন।

আসল ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা এবং অবশ্যই আমাদের জাতি। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাদীক্ষা ও আগামী দিনের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাবেন, মা–বাবাকে কষ্টের উপার্জন দিয়ে সন্তানকে হয়তো আরও এক সেমিস্টার বেশি পড়াতে হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই জাতি, যে প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে অঢেল টাকা ঢালছে আশা নিয়ে—তরুণেরা সুশিক্ষিত হয়ে দেশের হাল ধরবে।

আমাদের দেশে স্কুল হতে চায় কলেজ, কলেজ হতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় আর বিশ্ববিদ্যালয় হতে চায় স্বায়ত্তশাসন। কেউ নিজেকে নিয়ে খুশি নয়। এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররাজনীতি চায় না, আরেকটা ক্লাসে তালা মারছে রাজনীতি করতে। যে যে কাজে আছেন, সবাই প্রমোশন চাচ্ছেন। দাবিদাওয়ার আগে কেউ ভাবেন না দাবিগুলো কতটুকু ন্যায্য বা তাঁদের দাবি মেটাতে গিয়ে অন্যদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে কি না কিংবা তাঁরা যে দাবি করেছেন, তার যোগ্যতা অর্জন করেছেন কি না।

এই তো কদিন আগে ঢাকার একটা কলেজ ইউনিভার্সিটি হওয়ার জন্য তুমুল আন্দোলন করল, বনানী-মহাখালীর রাস্তা অবরুদ্ধ দিনের পর দিন। কিন্তু বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজের মানের রেটিংয়ে তারা পড়ে রয়েছে অনেক পেছনে। নটর ডেম কলেজ, আদমজী কলেজ যদি কলেজ নাম নিয়ে থাকতে পারে, তাদের আপত্তি কেন? তাদের বলা যেত, তোমরা র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে উঠে এসো, তারপর বিশ্ববিদ্যালয় হবে। কিন্তু কার কথা কে শুনবে?

আমাদের ঘরে দাবি, বাইরে দাবি, শুধু দাবি আর দাবি। বাসায় গিন্নির দাবি—কেনাকাটার টাকা বাড়াতে হবে, অফিস সহকর্মীর দাবি—সিনিয়রকে ডিঙিয়ে প্রমোশন দিতে হবে। ব্যক্তিগত দাবিগুলো নাহয় আলাপ–আলোচনা করে মিটমাট করা যাবে। কিন্তু গ্রুপ দাবি? সেগুলো তো ‘মব’ হয়ে তেড়ে আসে, সবকিছু বন্ধ করে দিচ্ছে। এগুলোকে কীভাবে সুশৃঙ্খল করা যাবে? সব দাবি যে অযৌক্তিক, তা নয়, অনেক দাবিদাওয়া আছে খুব ন্যায়সংগত। কিন্তু অসংগত, অর্ধসংগত দাবিদাওয়ার ভিড়ে ন্যায়সংগত দাবিগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যায় পুরো দেশ অচল হওয়ার আগে দাবিদাওযা নিয়ে সরকারকে নতুন কিছু ভাবতে হবে।

তাই আমি দাবি করছি, ‘জাতীয় দাবিদাওয়া নিষ্পত্তি সংস্থা’ গঠন করতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-আধা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যাঁদের দাবিদাওয়া আছে, তাঁরা রাস্তায় নামার আগে বা কক্ষে তালা দেওয়ার আগে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে এই সংস্থায় আসবেন এবং দাবি নিবন্ধন করবেন।

আরও পড়ুনদাবি মানেই কি সড়ক–রেল অবরোধ?০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এই সংস্থা দাবিগুলোকে যাচাই–বাছাই করে যেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যাবে অন্যায্য বা অগ্রহণযোগ্য, সেগুলোর উত্থাপকদের কাউন্সেলিং বা যুক্তি দিয়ে বোঝাবেন। যেমন বেতন বাড়াতে হবে ২০০ শতাংশ—এ দাবি মানলে রাষ্ট্র দেউলিয়া হয়ে যাবে। যেগুলো ন্যায্য দাবি সেগুলো নিয়ে নিষ্পত্তি সংস্থা উত্থাপকদের পক্ষ হয়ে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে তদবির করবেন। আইন বিভাগ আইনগত দিক খতিয়ে দেখবে। আবার যেগুলোর মূল্যায়ন সময়সাপেক্ষ, সেগুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করবে। প্রতিটা দাবির জন্য তিন থেকে ছয় মাস সময় নির্ধারণ করা হবে।

এভাবে সংস্থা দাবিকারীদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে দাবিগুলোর একটা সুবিবেচিত সুরাহার আশা জাগাতে পারে। যেকোনো ক্ষোভ ও অস্থিরতার প্রাথমিক সময়টা যদি আগেভাগে কিছুটা সামাল দেওয়া যায়, পরবর্তী প্রতিক্রিয়া আরও যুক্তিসংগত হবে। দাবিদাওয়া সংস্থার বাইরে গিয়ে কোনো দাবি মেটানোর বা দাবি নিয়ে আন্দোলন করার সুযোগ থাকবে না। সংস্থার নিষ্পত্তি পছন্দ না হলে দাবিকারীরা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। স্বাধীন বিচারব্যাবস্থায় সবারই সমান অধিকার।

জাতীয় দাবিদাওয়া নিষ্পত্তি সংস্থা গতানুগতিক অন্য সব সংস্থার মতো হবে না। এর সঙ্গে জড়িত থাকবেন দেশের বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষেরা, যেমন বিচারকাজে আমাদের দেশে এককালে জুড়ি প্রথা ছিল। প্রয়োজনে রাজনীতিবিদদের জড়িত করা যেতে পারে, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বিশৃঙ্খল দাবিদাওয়ার সংক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে। এ সংস্থা সরকারের অন্যান্য বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে সব ধরনের দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করবে।

জাতীয় দাবিদাওয়া নিষ্পত্তি সংস্থা গতানুগতিক অন্য সব সংস্থার মতো হবে না। এর সঙ্গে জড়িত থাকবেন দেশের বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষেরা, যেমন বিচারকাজে আমাদের দেশে এককালে জুড়ি প্রথা ছিল। প্রয়োজনে রাজনীতিবিদদের জড়িত করা যেতে পারে, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বিশৃঙ্খল দাবিদাওয়ার সংক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে। এ সংস্থা সরকারের অন্যান্য বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে সব ধরনের দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করবে।

এ সংস্থার প্রধান হবেন একজন ন্যায়পাল। তাঁর অধীন থাকবে—১.

যাচাই–বাছাই বিভাগ, ২. আইন বিভাগ এবং ৩. কাউন্সেলিং বা পরামর্শ বিভাগ।

একজন ন্যায়পাল নিয়োগ করে একটা অফিসে এক্ষুনি শুরু করে দেওয়া যায় এই সংস্থা। ন্যায়পালের অফিসসহ চার বিভাগে দুজন করে আটজন লোক দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। প্রচার করে বলে দেওয়া হোক, যেকোনো দাবি ছোট বা বড়, ন্যায্য বা অন্যায্য প্রথমে এ সংস্থায় জমা দিতে হবে, নতুবা কোনো দাবি কোনোভাবেই বিবেচনা করা হবে না। এ সংস্থা শুধু সংঘবদ্ধ দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করবে। ব্যক্তিগত দাবির জন্য জনগণকে মন্ত্রণালয় বা থানায় যেতে হবে।

‘দাবিদাওয়া নিষ্পত্তি সংস্থা’ সরকারের অন্যান্য সংস্থার মতো হবে না। এরা বসে বসে ফাইল আদান–প্রদানকারী লোক নিয়ে গঠিত হবে না। এরা হবে সংকট ব্যবস্থাপনা টিম, যারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে যেকোনো সংকট তুঙ্গে ওঠার আগে তার সমাধানের চেষ্টা করবে।

সাধারণত দুই ধরনের দাবি নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়:

১. কর্মযোগ্য দাবি: এসব দাবি নিয়ে সরকার কিছু একটা করতে পারে। যেমন সরকারের চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩৫ বছর করা, শহরের ভেতর ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে অনুমতি দেওয়া—এ রকমের। কিছু দাবি অনেক সময় সরকার অনিচ্ছা সত্ত্বেও মেনে নেয় সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, কোনো অনভিপ্রেত দাবি সরকারের মেনে নেওয়ার অর্থ, নতুন দাবির ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। বয়সের দাবি ৩২ বছর মেনে নিলে ৩৮ বছরের দাবি আসতে কতক্ষণ?

২. অকর্মযোগ্য দাবি: সরকার কিছুই করতে পারছে না, এমন দাবি এগুলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন ছাত্রের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু নিয়ে তাঁর সহকর্মীরা ব্যথিত ও ক্রুদ্ধ হন এবং অনেক ক্ষেত্রে তুমুল আন্দোলন করেন। ফলে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় দিনের পর দিন। সহপাঠীকে ফিরিয়ে আনা যাবে না। শোকসন্তপ্ত ছাত্রদের বোঝাতে এবং বুঝতে সাহায্য করতে হবে কাউন্সেলিং করে। বিদেশে মানুষকে শান্ত রাখার জন্য কাউসেলিংকে একটা উপযুক্ত হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়। আমাদের দেশে কেন করা যাবে না? যেকোনো শোক-ক্রোধ ও হাঙ্গামা প্রথমে শুরু হয় খুব অল্পসংখ্যক লোক থেকে। তাঁদের শান্ত করতে পারলে বড় সংকট এড়ানো যেতে পারে।

দাবি যে কখন কোত্থেকে আসবে, সেটা অনুমান করে লাভ নেই। দাবি আসতে পারে ছাত্রদের থেকে, আবার ঢাকা কলেজের দাবির সঙ্গে সিটি কলেজ বা আদর্শ কলেজের দাবির সংঘর্ষ থাকতে পারে। দাবি আসতে পারে পোশাককর্মীদের থেকে, রিকশাচালকদের কাছ থেকে বা বাসমালিক সমিতি থেকে। তবে আমাদের দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ যাঁরা কৃষক, তাঁরা কোনো দাবি জানাবে না অথবা গ্রামের মানুষ তাঁদেরও তেমন কোনো দাবি নেই।

দাবি আসতে পারে আমাদের রাজনীতিবিদদের থেকে, তাঁরা অধৈর্য হলে আরও বিপদ বাড়তে পারে। তাঁরাও মিছিল, হরতাল করে দাবি জানাতে পারেন। তবে রাজনৈতিক দাবিগুলো রাজনৈতিকভাবে মীমাংসা করতে হবে।

মানুষের আকাঙ্ক্ষা থেকেই দাবিদাওয়ার সৃষ্টি হয়। এ দেশে আমরা যদি আমাদের দাবিগুলো একটা সুশৃঙ্খল পদ্ধতির মাধ্যমে মীমাংসা করতে পারি, আমাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।

আমরা যদি সুশৃঙ্খলভাবে আমাদের বড় বড় জাতীয় আকাঙ্ক্ষাগুলোকে ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করতে পারি, তাহলে জনগোষ্ঠীর ছোট ছোট আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণেও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগণকেও বোঝাতে এবং বুঝতে হবে—কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক, কোনটা স্বাধীনতা কোনটা অপস্বাধীনতা এবং কোনটা অধিকার আর কোনটা অনধিকার।

সালেহ উদ্দিন আহমদ শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

ই–মেইল: [email protected]

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র দ শ ক জ করব সরক র র গত দ ব র জন য র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

রাজবাড়ীর পাংশায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর মা ও বাবা গতকাল পৃথকভাবে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পাংশা থানায় দুটি মামলা করেন। এতে হাসমত আলী (২২) ও শিহাব মণ্ডল (২০) নামের দুই তরুণকে আসামি করা হয়। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে। মামলা করার পর পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে শিহাবকে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের একজনের বয়স ১৪ বছর এবং অপরজনের বয়স ১৫ বছর।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া শেষে দুই বান্ধবী একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে তাদের পথ রোধ করে হাসমত ও শিহাব। ধারালো ব্লেড বের করে স্কুলছাত্রী দুজনকে জিম্মি করে রাস্তার অদূরে একটি পানের বরজে জোর করে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে পৃথক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই দুই তরুণ। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যান তাঁরা।

গতকাল রাতে পাংশা মডেল থানায় মামলা করতে আসা ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, হাসমত ও শিহাব ওই দুই স্কুলছাত্রীকে মাঝেমধ্যে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মা এবং অপরজনের বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতে হাসমত আলী ও শিহাব মণ্ডলকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন। রাতেই আসামি শিহাব মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি হাসমতকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

ওসি সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, গ্রেপ্তার শিহাব পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁর পোশাকেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাঁকে সোমবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে। দুই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, স্পষ্ট বার্তা দিলেন অপু
  • ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আমি নেই: অপু বিশ্বাস
  • শালবনে ছেচরা কই ও পাটখই
  • কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আটক ২ নেতা, পরে ছাড়া পেলেন একজন
  • আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
  • প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
  • ইরানের জনগণকে বিদ্রোহ করার ডাক দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
  • ইরানে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইসরায়েলের 
  • ইরানের পাল্টা হামলায় সুরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলের লাখ লাখ মানুষ 
  • ইরানের পাল্টা হামলায় নিরাপদ আশ্রয়ে ইসরায়েলের লাখ লাখ মানুষ