যৌথ বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে গুলিতে যুবক নিহত
Published: 21st, April 2025 GMT
বরিশালের উজিরপুরে যৌথ বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে সিয়াম মোল্লা (২২) নামক এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাকিব মোল্লা নামে এক কিশোর বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হতাহত দু’জন সম্পর্কে মামাতো ভাই।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উজিরপুর ও আগৈলঝাড়া উপজেলার সীমান্ত গ্রাম বাহেরঘাটে এ ঘটনা ঘটে। সিয়াম উজিরপুরের গড়িয়া গ্রামের রিপন মোল্লার ছেলে। গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকিয়া রহমান জানান, হাসপাতালে আনার পথে সিয়াম মারা যান। তাঁর বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আহত আরেক যুবককে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার লোকজন মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে হাতাহাতি হয়। সন্ধ্যার পর যৌথ বাহিনী ফের অভিযানে গেলে মাদক কারবারিদের হামলার মুখে পড়ে। তখন আত্মরক্ষায় গুলি করলে দু’জন গুলিবিদ্ধ হন।
সিয়ামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মোটরসাইকেল চালক হাসান মৃধা জানান, একটি ইজিবাইক থেকে গুলিবিদ্ধ সিয়ামকে তাঁর মোটরসাইকেলে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।
এ বিষয়ে উজিরপুর থানার ওসিকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। আগৈলঝাড়া থানার ওসি জানান, ঘটনাস্থলে র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা রয়েছেন। আগৈলঝাড়া থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে গেছে। দু’জন মাদক কারবারি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।