মুন্সীগঞ্জে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ সম্রাট ওরফে বাবু মিজি (৩৬) নামের এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচঘড়িয়া কান্দি নতুন ব্রিজের ঢাল থেকে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে বিশেষ অভিযানে তাকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। 

এসময় তার কাছ থেকে একটি ধারালো ছুরি, চারটি হাত বোমা ও দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তিনি সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মনির মিজির ছেলে। তিনি সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির। 

তিনি জানান, গতকাল রাত আনুমানিক ১টার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের পাঁচঘড়িয়া কান্দি এলাকায় ব্রিজের ঢাল থেকে বাবু মিজিকে আটক করে। এসময় তার সাথে থাকা অপর দুইজন সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে বাবু মিজির দেহ তল্লাশী করে তার কাছ থেকে একটি ছরি, চারটি হাত বোমা, ও দুইটি মোবাইল জব্দ করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “আটককৃত বাবু মিজি অধিকাংশ সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাটারিচালিত অটো-মিশুক ও সাধারণ মানুষকে আটক করে অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করে বেড়াত। গোপসন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়ছে।”

তিনি আরো বলেন, “মঙ্গলবার দুপুরে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় ছিনতাই, অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার সহযোগী ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে রয়েছে।”

ঢাকা/রতন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩