প্রথম দিনে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছিল অনেকটা। সময়ের সঙ্গে অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে নাজমুল হোসেনের দল। প্রথম ইনিংসের ৮২ রানের ঘাটতি পুষিয়ে তৃতীয় দিন শেষে এগিয়ে গেছে ১১২ রানে। বাংলাদেশের হাতে আছে আরও ৬ উইকেট। চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ ৩০০ রানের লক্ষ্য দিতে চায়, সংবাদ সম্মেলনে তা জানিয়ে গেছেন দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মুমিনুল হক।

জিম্বাবুয়ে স্বাভাবিকভাবেই এত রান তাড়া করতে চাইবে না। দলটির পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ তাঁদের লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশ যেন ২০০ রানের বেশি লক্ষ্য দিতে না পারে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ৪ উইকেটের ৩টিই নেওয়া মুজারাবানি নিজেদের লক্ষ্যের কথা বললেন এভাবে, ‘২০০–এর নিচে রাখতে পারলেই ভালো হয় (লক্ষ্য)। তবে আমাদের রান নিয়ে ভাবা উচিত হবে না, উইকেট পাওয়ার বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশের বাকি উইকেটগুলো নেওয়া সহজ হবে না। আমাদের আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে।’

মুশফিকুর রহিমকে ফেরানোর পর ব্লেসিং মুজারাবানির উল্লাস.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ