অনেক প্রথমের সাক্ষী সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেট তো বটেই ক্রিকেটেও সাকিবের হাত ধরে অনেক নতুন কীর্তি লিখা হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বপ্রথম ২০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন সাকিব। ৯১ ইনিংসে সাকিব ছুঁয়েছিলেন ২০০ টেস্ট উইকেটের কীর্তি।
সাকিবের দেখানো পথে হেঁটে তার পেছন ছুটেছিলেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনার সাকিবের চেয়ে ৬ টেস্ট ইনিংস কম নিয়ে ২০০ উইকেট পেয়েছিলেন লাল বলের ক্রিকেটে। মেহেদী হাসান মিরাজ এবার তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এলিট ক্লাবে প্রবেশ করলেন। এলিট এই ক্লাবে প্রবেশ করতে মিরাজের লাগল ৯৩ ইনিংস।
১৯০ উইকেট নিয়ে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়ে সংখ্যাটাকে ১৯৫ এ নিয়ে যান। দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন অফস্পিনার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচে পেলেন আবার ৫ উইকেট। তাতে সিলেটেই লিখা হয়ে গেল তার ইতিহাস।
আরো পড়ুন:
সিলেট, জিম্বাবুয়ে ‘ভূত’ ও ‘বিটিভি যুগের’ বাংলাদেশ
শান্ত কেন ‘অশান্ত?’
সাকিব ৭১ টেস্টে ১২১ ইনিংসে ২৪৬ উইকেট নিয়ে রয়েছেন সবার উপরে। ৫২ টেস্টে ৯৩ ইনিংসে তাইজুল ইসলামের উইকেট ২১৯টি। তাইজুলের সঙ্গে ছুটছেন মিরাজ। সমান ম্যাচে দুই ইনিংস কম খেলে মিরাজের উইকেট দুইশটি।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ইজ ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?