ইউক্রেনের গোলায় আহত রুশ সাংবাদিক নিকিতা মারা গেছেন
Published: 24th, April 2025 GMT
ইউক্রেনের কামানের গোলার আঘাতে আহত এক রুশ সাংবাদিক মস্কোর হাসপাতালে মাসখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। ওই সাংবাদিকের কর্মস্থলের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়েছে।
ওই সাংবাদিকের নাম নিকিতা গোলদিন। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জাভেজদা টেলিভিশনে কাজ করতেন তিনি। ইউক্রেনের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের মস্কো–নিয়ন্ত্রিত লুহানস্ক এলাকায় গত ২৪ মার্চ হামলার শিকার হয় নিকিতাদের দল।
আরও পড়ুনজেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি আলোচনার ইঙ্গিত পুতিনের২২ এপ্রিল ২০২৫হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার খবর জানা যায়। তাঁদের মধ্যে দুজন সাংবাদিক এবং একজন তাঁদের গাড়িচালক ছিলেন।
রুশ সামরিক বাহিনীর দৈনিক সংবাদপত্র ক্রাসনায়া জাভেজদায় লিখতেন নিকিতা। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, আহত অবস্থায় নিকিতাকে মস্কোয় সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাসখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা গেছেন।
ওই হামলায় সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুনশিগগির অগ্রগতি না হলে যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা বাদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র১৮ এপ্রিল ২০২৫সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরুর পর থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে অন্তত ১৫ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুনচুক্তির জন্য ‘প্রস্তুত’ পুতিন, ‘যুদ্ধ শুরুর’ জন্য জেলেনস্কিকে দুষলেন ট্রাম্প১৫ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।