ইউক্রেনের কামানের গোলার আঘাতে আহত এক রুশ সাংবাদিক মস্কোর হাসপাতালে মাসখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। ওই সাংবাদিকের কর্মস্থলের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়েছে।

ওই সাংবাদিকের নাম নিকিতা গোলদিন। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জাভেজদা টেলিভিশনে কাজ করতেন তিনি। ইউক্রেনের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের মস্কো–নিয়ন্ত্রিত লুহানস্ক এলাকায় গত ২৪ মার্চ হামলার শিকার হয় নিকিতাদের দল।

আরও পড়ুনজেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি আলোচনার ইঙ্গিত পুতিনের২২ এপ্রিল ২০২৫

হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার খবর জানা যায়। তাঁদের মধ্যে দুজন সাংবাদিক এবং একজন তাঁদের গাড়িচালক ছিলেন।

রুশ সামরিক বাহিনীর দৈনিক সংবাদপত্র ক্রাসনায়া জাভেজদায় লিখতেন নিকিতা। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, আহত অবস্থায় নিকিতাকে মস্কোয় সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাসখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা গেছেন।

ওই হামলায় সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুনশিগগির অগ্রগতি না হলে যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা বাদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র১৮ এপ্রিল ২০২৫

সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরুর পর থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে অন্তত ১৫ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুনচুক্তির জন্য ‘প্রস্তুত’ পুতিন, ‘যুদ্ধ শুরুর’ জন্য জেলেনস্কিকে দুষলেন ট্রাম্প১৫ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫ দিনে হিলি বন্দরে ১ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি

গত ৩৫ দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই হাজার ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে করে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম কমেছে প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর ঘুরে জানা যায়, দেশের অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ২ শতাংশ শুল্কে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। 

প্রতি টন চাল ৫২০ থেকে ৫৩০ ডলার, কিছু ক্ষেত্রে ৫৪০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। এসময় সবচেয়ে বেশি আসছে শম্পা কাটারি জাতের চাল।

হিলির খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন পাল বলেন, “ভারত থেকে চাল আসায় বাজারের অস্থিরতা কমছে। প্রতিটি জাতের চাল কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা করে কমেছে। ৫৫ টাকা কেজি দরের মোটা চাল বিক্রি করছি ৫১ থেকে ৫২ টাকা, আবার ৭৪ টাকার শম্পা কাটারি চাল খুচরা বিক্রি করছি ৬৮ কেজি হিসেবে। আশা করছি আগামীতে আরো কমবে।”

আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, “২ শতাংশ শুল্কে আমরা চাল আনছি। ৫২০-৫৪০ ডলার দরে আমদানি হচ্ছে। এতে বাজারে দামের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়ছে।”

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ৩৫ দিনে ভারত থেকে ২৪২১টি ট্রাকে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিকটন চাল এসেছে। দেশের বাজারে চালের চাহিদা থাকায় দ্রুত খালাস প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে।

ঢাকা/মোসলেম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ