ব্যবসায়িক আমন্ত্রণ করে অপহরণ, সেই ৩ শ্রীলঙ্কান নাগরিক উদ্ধার
Published: 24th, April 2025 GMT
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে অপহৃত ৩ শ্রীলঙ্কান নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়ি গ্রামের এমদাদ কাজীর বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এসময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিক হলেন- মালাভি পাথিরানা, পাথিরানা ও থুপ্পি মুদিইয়ানসেল্যাগ নীল।
আটককৃতরা হলেন- আমবাড়ি গ্রামের সেরাত কাজীর ছেলে কাজী এমদাদ হোসেন (৫২), সবুর শেখের ছেলে শহিদুল শেখ (২৪), চর কুলিয়া এলাকার এস এম শামসুল আলম (৪৫) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাটিয়াগড় গ্রামের জাকির শেখের ছেলে জনি শেখ(৩৮)।
আরো পড়ুন:
বিমানবন্দর থেকে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ফুলবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানের চালক ও যাত্রী নিহত
অপহরণের অভিযোগে আটক ৪ জন
পুলিশ জানায়, শহিদুল শেখের ব্যবসায়িক আমন্ত্রণে গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিক। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কায় তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে বাংলাদেশের একটি নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে স্বজনেরা শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ হাই-কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো.
ঢাকা/শহিদুল/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
নারায়নগঞ্জের জেলার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আমেনা বেগম (৩৮) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ফিরে গেলো তার আপন ঠিকানায়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে উদ্ধার মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরিবারের লোকজন কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মানসিক প্রতিবন্ধী নারী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার লনেস্বর গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক আচরন করতে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ঘিরে লোকজনের ভীড় উপস্থিতি দেখতে পেয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ।
নারীটির আচরন ও কথাবার্তা শুনে মানসিক প্রতিবন্ধী মনে হওয়ায় তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিবন্ধী নারীর বিচ্ছিন্নভাবে প্রদত্ত তথ্যের সমন্বয়ে থানা পুলিশ ধারণা করেন যে তার বাড়ী কুমিল্লা জেলার কোন এক জায়গায়।
মঙ্গলবার সকালে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নানা কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার বাড়ী এবং পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।পরবর্তীতে পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে
ঐ নারীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পরে কুমিল্লা থেকে বিকেল ৪ টার ঐ নারীর ভাই সহ পরিবারের অপর সদস্যরা থানায় এলে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী আমেনা বেগম কে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তুলে দেয়।
আমেনা বেগমের ভাই মোঃ মানিক জানায়,তার বোন মানসিক রুগী। বোন জামাই প্রবাসী। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সকলের অগোচরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারা তাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ ও করতেছিলো।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ফতুল্লা থানা পুলিশ তাদের কে মোবাইল ফোনে ফোন করে তার বোনকে পাওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে চারটার দিকে তারা ফতুল্লা থানায় এসে তার বোনকে পায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক গাজী শামীম জানান,নারীটি রাতে ঠিকমতো কিছু বলতে পারছিলোনা। সকালে তার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার ফলে বাসার ঠিকানা জানতে পারেন। তখন সেখানকার থানার সাথে যোগাযোগ করেন।
থানা থেকে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে ঐ মহিলার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে নারীর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ হয়। বিকেল চারটার দিকে ঐ নারীর পরিবারের সদস্যরা ফতুল্লা থানায় এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।