যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে মস্কোয় পৌঁছেছেন। শুক্রবার তার এই সফরের মধ্যেই গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ঊর্ধ্বতন এক রুশ জেনারেল। রাশিয়া কর্তৃপক্ষ এ খবর নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসির
রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, মস্কোর বালাশিখা শহরে বোমায় গাড়ি উড়ে গিয়ে নিহত হন রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অভিযান পরিচালনা অধিদপ্তরের উপ-প্রধান কমান্ডার ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক।
বাসার কাছে দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়িতে বোমাটি পেতে রাখা হয়েছিল। সামরিক ওই কমান্ডার গাড়ির কাছে হেঁটে আসার পরই দূর থেকে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ এই কমান্ডার ছিলেন ক্রেমলিনপন্থি। তিনি রাশিয়ায় থাকা ইউক্রেনীয়দের হামলার নিশানা হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাশিয়া গত বুধবার দিবাগত রাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর রুশ সামরিক কমান্ডার হত্যার এ ঘটনা ঘটল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।