সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩ সংসার ভাঙার অভিযোগ করলেন হিরো আলম
Published: 26th, April 2025 GMT
বাংলাদেশী সঙ্গীত ভিডিও মডেল, অভিনেতা, গায়ক হিরো আলমের সাবেক স্ত্রী রিয়া মনি তিনটি সংসার ভেঙেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এক নারী মডেলকে সঙ্গে নিয়ে গাজীপুরের একটি পার্কে সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম এ সব কথা জানান।
হিরো আলম বলেন, ‘‘আমার পাশে যিনি বসে আছেন, তার নাম ইতি। তিনি একজন মডেল, গাজীপুরেই বাড়ি। আপনারা জানেন, কিছু দিন আগে আমার বাবা মারা গেছে। এরপরে রিয়া মনির সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে। আমার সেই সাবেক বউ তিন তিনটি সংসার নষ্ট করেছেন। আমার পাশে বসা এই আপুটির সংসার নষ্ট করেছেন, আমার নিজের সংসার নষ্ট করেছেন। এছাড়াও আমার বাবাকে দেখাশোনা করতেন, যে মেয়ে তার সংসারও নষ্ট করেছেন।’’
হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রিয়া মনি বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে টাকা দিয়ে আমার নামে অপবাদ ছড়াচ্ছেন। আমার পাশে বসা এই ইতির স্বামীর সঙ্গে প্রেম করছেন। যার ফলে তাকেও ডিভোর্স দিয়েছেন।’’
আরো পড়ুন:
তসলিমা নাসরিনের প্রশ্ন
রিয়ামণির মতো স্মার্ট মেয়ে কী কারণে হিরো আলমকে বিয়ে করেছিল
হিরো আলমকে মারধর, ৫ আসামি পেলেন জামিন
মডেল অভিনেত্রী ইতি বলেন, ‘‘আমি প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। আমার স্বামী ড্যান্সার। তিন বছরের সংসার আমাদের। তবে হিরো আলমের সাবেক বউ রিয়া মনি আমার স্বামীর সঙ্গে প্রেমে জড়ান। এরপর রিয়া মনির প্রলোভনে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। আমরা আজ তাদের চরিত্র জাতির সামনে তুলে ধরলাম।’’
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
আট বছর ধরে গাড়ি চালানোর পেশায় আছেন মো. শাহীন। প্রথমে চালাতেন ট্রাক, এখন যাত্রীবাহী বাস। তবে এটা তার মূল কারবারের আড়াল মাত্র। বাস চালানোর আড়ালে তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আনেন ইয়াবার বড় চালান। প্রতি চালানে ১০–২০ হাজার পিস ইয়াবা থাকে। এগুলো পৌঁছানোর বিনিময়ে তিনি পান মোটা অঙ্কের টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ছয়টি চালান এনে তিনি অন্তত ছয় লাখ টাকা পান। ফলে লাভজনক এ কারবারে তিনি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছেন।
সম্প্রতি রাজধানীর পূর্ব রামপুরা এলাকা থেকে বাসচালক শাহীন ও সুপারভাইজার সঞ্জিত রাজবংশীকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। ওই সময় বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এই চালানটি ঢাকার গাবতলী এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে।
ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ জানান, আন্তঃজেলা বাসের চালক–হেলপারদের একটি অংশ মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন রুটের পরিবহনকর্মীদের মাদকসংশ্লিষ্টতার তথ্য পেতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস পূর্ব রামপুরার মোল্লা টাওয়ারের সামনে থামানো হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে চালক ও সুপারভাইজার স্বীকার করেন, তাদের কাছে মাদকদ্রব্য আছে। এরপর তাদের দেখানো অনুযায়ী চালকের আসনের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন ডিএনসি ধানমন্ডি সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, শাহীনের ভাষ্য অনুযায়ী, দুই বছর ধরে তিনি বাসে মাদক পরিবহনের কাজ করেন। এর আগে ট্রাক চালানোর সময় অন্য চালকদের মাধ্যমে এ কারবারের বিষয়ে জানতে পারেন। পরে টেকনাফের মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ও সখ্য গড়ে ওঠে। তিনি প্রতি ১০ হাজার পিস ইয়াবা ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আনুমানিক এক লাখ টাকা করে পান। এবারের চালানের জন্য পেতেন দেড় লাখের কিছু বেশি। তবে পৌঁছানোর আগেই তিনি ও তার সহযোগী ধরা পড়েন।
অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইয়াবার চালানের প্রেরক ও প্রাপকসহ আরও কয়েকজনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে পুরো চক্রটিকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।