বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নতুন আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, মহাসচিব ইউসুফ সাদেক
Published: 26th, April 2025 GMT
আমিরের মৃত্যুর পর নেতৃত্ব পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজিকে দলের আমির ও মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানিকে মহাসচিব করা হয়েছে। ইউসুফ সাদেক এর আগে নায়েবে আমির ও হাবিবুল্লাহ মিয়াজি মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শনিবার দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও মজলিশে আমেলার যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রখ্যাত আলেম প্রয়াত মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের প্রতিষ্ঠিত দল। এটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। হাফেজ্জী হুজুরের তিন ছেলে মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা হামিদুল্লাহ ও মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী যথাক্রমে দলটির আমির ছিলেন।
আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ৪ এপ্রিল মারা যান। এরপর আজ নতুন কমিটি করা হলো। নতুন আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজি হাফেজ্জী হুজুরের বড় ছেলে মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফের ছেলে। তিনি কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নূরীয়া মাদ্রাসার পরিচালক।
বিজ্ঞপ্তিতে খেলাফত আন্দোলন জানিয়েছে, মজলিশে শুরার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ইসমাঈল (বরিশালী হুজুর)। মজলিশে আমেলার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আবদুল হক। দুই অধিবেশনে দলের উপদেষ্টা মাওলানা হাজী ফারুক আহমদ, শেখ আজিমুদ্দিন, আবদুর রহমান তালুকদার, নায়েবে আমির সাইদুর রহমান ও মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, যুগ্ম মহাসচিব সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, মীর ইদ্রিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উল ল হ হ ফ জ জ মজল শ
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।