ওয়ালটনের এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন খুলনার মিঠুন দত্ত
Published: 29th, April 2025 GMT
এবার বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের তৈরি ইউরোপের ঐতিহ্যবাহী এসিসি ব্র্যান্ডের এসি কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন খুলনার খালিশপুরের জুয়েলারি ব্যবসায়ি মিঠুন দত্ত। তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। দেশব্যাপী চলমান ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ এর আওতায় কিস্তিতে এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ায় আনন্দের জোয়ারে ভাসছে মিঠুন দত্তের পরিবার।
এর আগে চলতি সিজনে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ফরিদপুরের কলেজ শিক্ষার্থী রাসেল ফকির, নেত্রকোনার খোকন মিয়া, রাজধানীর শনির আখড়ার আলী মর্তুজা ও সিলেটের কানাইঘাটের কাওসার আহমেদ।
শনিবার (২৬ এপ্রিল, ২০২৫) বিকেলে খুলনার খালিশপুরে চিত্রালী শ্রমিক ময়দানে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে মিঠুন দত্তের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান, চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ এবং ওয়ালটন প্লাজার চিফ সেলস এক্সিকিউটিভ অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান তানভির।
আসন্ন ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে ‘দেশজুড়ে তোলপাড়, ওয়ালটন পণ্য কিনে হতে পারেন আবারো মিলিয়নিয়ার’ স্লোগানে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২। এর আওতায় চলতি বছরের ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। এছাড়াও আছে লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার।
ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ এর আওতায় মিঠুন দত্ত গত ১৬ এপ্রিল খালিশপুর ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তি সুবিধায় ৯৫ হাজার ৯৯০ টাকা দামের দুই টনের এসিসি ব্র্যান্ডের একটি এসি কেনেন। এসি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ক্রয়কৃত এসির মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এরপর তার মোবাইলে ওয়ালটন থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার একটি মেসেজ যায়।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মিঠুন দত্ত জানান, মেসেজ পেয়ে প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে ওয়ালটন থেকে ফোন করে জানালে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হন।
তিনি বলেন, “ওয়ালটন এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পাব, এটা কোনোদিন কল্পনাও করিনি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সাধারণ ক্রেতাদের এমন বিশাল সুবিধা দেওয়া ওয়ালটনের সেবামূলক ও মহৎ উদ্যোগ। এতে ক্রেতাদের মধ্যে দেশি পণ্যের প্রতি আগ্রহ ও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আমার হাতে ১০ লাখ টাকা তুলে দিল ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এ টাকা দিয়ে জমি কিনব।”
ওয়ালটনের সিএমও জোহেব আহমেদ বলেছেন, ওয়ালটন শুধু ব্যবসা করে না। মানুষের মুখে হাসিও ফোটাতে চায়। ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধশত গ্রাহক মিলিয়নিয়ার হয়েছেন। পুরস্কারের এসব অর্থে ইতোমধ্যেই অনেক সাধারণ মানুষের জীবন আমূল বদলে গেছে। এভাবেই ওয়ালটন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে আমিন খান বলেন, গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি দেশীয় পণ্য কেনায় আগ্রহী করে তুলতে ওয়ালটন দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। ওয়ালটন এখন বাংলাদেশের একটি গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ ও আস্থা অর্জনের পাশাপাশি বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটন প্লাজার চিফ ডিভিশনাল অফিসার নুরুল ইসলাম ও আল মাহফুজ খান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আব্দুল হান্নান, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার রাজীব ফেরদৌস, এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান, এসি সেলস মনিটরিংয়ের শাহরিয়ার আলম ও খালিশপুর ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার রবিন মিয়াসহ ওয়ালটনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।
ঢাকা/একরাম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড জ ট ল ক য ম প ইন ১০ ল খ ট ক অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফুসফুসের সুরক্ষায় যা করণীয়
জীবন সুস্থ রাখার জন্য চাই সুস্থ ফুসফুস, সুস্থ নিঃশ্বাস আর বিশুদ্ধ বাতাস। ফুসফুসের যত্নের শুরু মাতৃজঠরে থাকার সময় থেকেই। গর্ভাবস্থায় মায়ের অপুষ্টি, বিভিন্ন সংক্রামক রোগের সংক্রমণ, সময়ের আগে অপরিণত অবস্থায় স্বল্প ওজনে জন্ম নেওয়া শিশুর ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। আবার জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমায়। এ কারণে হবু মা এবং নতুন মায়ের যত্ন শিশুর সুস্থ ফুসফুসের পূর্বশর্ত। অন্যদিকে ধূমপায়ী বাবা শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্যই নয়, এমনকি যে শিশুটি এখনও ভূমিষ্ঠ হয়নি, তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। ধূমপায়ী মায়েদের জন্য এ কথা আরও বেশি সত্য।
ফুসফুস বিভিন্ন সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান অঙ্গ। করোনা মহামারি আমাদের এ সত্য আরও ভালোভাবে বুঝিয়েছে। পুরো পৃথিবী ছোট্ট করোনাভাইরাসের কাছে অসহায় হয়েছিল। একইভাবে নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এমনকি বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগেরও আকর এই ফুসফুস। অথচ সামান্য স্বাস্থ্যবিধি, যেমন– নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ইত্যাদির মাধ্যমে এ রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বর্তমান সময়ে পরিবেশদূষণ ও বায়ুদূষণ একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। বায়ুদূষণের সরাসরি আঘাত হয় ফুসফুসে। বায়ুদূষণের জন্য অ্যাজমা, সিওপিডিসহ বিভিন্ন রোগ ফুসফুসের শ্বাসনালির বাধাজনিত কারণে সৃষ্টি। সজীব নির্মল বায়ু নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রচেষ্টা ফুসফুসের যত্নের একটি অংশ।
জীবিকার প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন ধরনের পেশা বেছে নিই। তার মধ্যে এমন কিছু পেশা আছে, যা ফুসফুসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন– পাথরভাঙা, জাহাজভাঙা, ওয়েলডিং, আঁশ ও তুষজাতীয় উপাদানের সংস্পর্শে থাকা ইত্যাদি। এ পেশার কারণে তৈরি ছোট ছোট ধূলিকণা বা সূক্ষ্মতন্তু আমাদের ফুসফুসে আটকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ কাজের সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার করলে এ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সে সম্পর্কে আমরা মোটেও সচেতন নই। তাই ‘অকুপেশনাল হেলথ’ বা জীবিকা-সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।
ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপে সম্মিলিতভাবে সবাই উপকৃত হতে পারে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ফুসফুসের তথা সঠিক স্বাস্থ্যরক্ষায় আরও মনোযোগী হতে হবে। শুধু চিকিৎসা নয়, রোগ প্রতিরোধে উদ্যোগী হওয়ার এখনই সময়। করোনা মহামারি আমাদের সে শিক্ষাটাই দিয়েছে।
লেখক: চিকিৎসক, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ , বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।