জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অবকাশ ভবনের ছাদের একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী শাকিল শিকদার আহত হন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাকিল শিকদার ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফিল্টারের লিকেজ ঠিক করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে ছাদের রেলিংয়ের একটি অংশ ভেঙে নিচে পড়ে যায়।

আহত শাকিল শিকদার বলেন, “আমি কাজ শেষ করে নিচে নামছিলাম। ঠিক তখনই ছাদের দেয়াল ভেঙে পড়ে। কিছু অংশ আমার পায়ে পড়ে। তবে বড় দুর্ঘটনা থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছি।”

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, অবকাশ ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহারের অযোগ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল, ছাদের স্যাঁতসেঁতে ভাব এবং পানি চুইয়ে পড়ার মতো সমস্যা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অবকাশ ভবনের মতো ভবনগুলো দ্রুত সংস্কার না করা হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনের দেরি, বরাদ্দ সংকট এবং পরিকল্পনার ঘাটতির কারণে সবাই প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি এবং সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত বড় ধরনের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবক শ ভবন ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

দশমিনায় ভবন নির্মাণের ছয় মাসের মধ্যে খসে পড়ছে পলেস্তারা

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার একটি মাদ্রাসার চারতলা ভবন নির্মাণের ছয় মাস যেতে না যেতেই পলেস্তারা খসে পড়ছে। উপজেলার মধ্য বগুড়া নূরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। ভবনটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দরপত্রের মাধ্যমে ৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবুল কালাম আজাদ। ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওই ভবনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চারপাশের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। সিমেন্টের পরিমাণ কম ও নিম্নমানের বালু ব্যবহার করার অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। নির্মাণকাজের সময় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার তাঁদের কথায় কর্ণপাত করেননি।

মধ্য বগুড়া নূরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. মিজানুর রহমান বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভবনটিতে পাঠদান শুরু হয়। এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করে। যেভাবে পলেস্তারা খসে পড়ছে, তাতে মনে হচ্ছে ভবনটি ২০ বছর আগে নির্মিত হয়েছে। বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. আজমের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত। এ কারণে ঠিকাদারের ২৭ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিকাদারকে ভবনটির পলেস্তারার কাজ আবার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দশমিনায় ভবন নির্মাণের ছয় মাসের মধ্যে খসে পড়ছে পলেস্তারা