জবি অবকাশ ভবনের ছাদের অংশ ভেঙে আহত কর্মচারী
Published: 29th, April 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অবকাশ ভবনের ছাদের একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী শাকিল শিকদার আহত হন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাকিল শিকদার ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফিল্টারের লিকেজ ঠিক করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে ছাদের রেলিংয়ের একটি অংশ ভেঙে নিচে পড়ে যায়।
আহত শাকিল শিকদার বলেন, “আমি কাজ শেষ করে নিচে নামছিলাম। ঠিক তখনই ছাদের দেয়াল ভেঙে পড়ে। কিছু অংশ আমার পায়ে পড়ে। তবে বড় দুর্ঘটনা থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছি।”
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, অবকাশ ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহারের অযোগ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল, ছাদের স্যাঁতসেঁতে ভাব এবং পানি চুইয়ে পড়ার মতো সমস্যা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অবকাশ ভবনের মতো ভবনগুলো দ্রুত সংস্কার না করা হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনের দেরি, বরাদ্দ সংকট এবং পরিকল্পনার ঘাটতির কারণে সবাই প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি এবং সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত বড় ধরনের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবক শ ভবন ভবন র
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে আবারও এক শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত।
নিহত মো. রাকিব (২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
এর আগে চলতি বছরের ১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন লাইব্রেরি ভবনের চারতলা থেকে পড়ে মো. আরিফুল নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। এর তিন মাসের মাথায় আবারও এক শ্রমিকের মৃত্যু হলো।
ভবনটির নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ওই ভবনের ৯ম তলায় আস্তরের কাজ করছিলেন রাকিব। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দিকে ভবনের জানালা দিয়ে তিনি ময়লা-আবর্জনা ফেলতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে ভবনের কর্মচারীরা উদ্ধার করে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। রাত আটটার দিকে তিনি সেখানে মারা যান।
ভবনটিতে সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ভবনের ৯ম তলায় আস্তরের কাজ চলছিল। রাকিব ভবনের জানালা দিয়ে ময়লা ফেলতে গিয়ে পড়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই বহুতল ভবনটির কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিন ট্রেডার্স। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ভবনের মধ্যে কাজ চলছিল। ভবনটির বাইরের কাজ শেষ তাই ‘সেফটি নেট’ খুলে ফেলা হয়েছে।
মো. আজিজ জানান, রাকিবের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভবনটিতে কর্মরত ফোরম্যানের তত্ত্বাবধানে তাঁর মরদেহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমরা বারবার তাদেরকে যথাযথ সেফটি (নিরাপত্তা) নিশ্চিত করে তারপর কাজ করতে বলি। কিন্তু অনেক সময় এসব কর্মচারীরা মানে না। এ বিষয়ে প্রকল্প অফিস ও প্রশাসন থেকে বারবার তাদের তাগাদা দেওয়া হয়। এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেল।’