এবারের ঢাকা  প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সবচেয়ে বিতর্কিত নাম তাওহীদ হৃদয়। তামিম ইকবাল অসুস্থ হওয়ার পর মোহামেডানের নেতৃত্বভার পান তিনি। এরপরই ঘটে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনা। সব শেষ বিতর্কিত আচরণ করে ডিপিএলে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন হৃদয়। 

মঙ্গলবার ডিপিএলে মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে আবাহনী। দলটির হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন ২৪ বছর বয়সী জাতীয় দলের ক্রিকেটার হৃদয়। পোস্টে মাঠের বাইরে মোহামেডানকে মানসিক যুদ্ধ করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

হৃদয় লিখেছেন, ‘এবারের প্রিমিয়ার লিগে ২২ গজের বাইরেও এক প্রকার অলিখিত যুদ্ধ করে গেল মোহামেডানে স্পোর্টিং ক্লাব। আর কোনো দলকে এতোটা মানসিক যুদ্ধ করতে হয়নি, যতোটা মোহামেডান করেছে।’

শুরু থেকে সবটা বলতে পারলে কাহিনী ভিন্ন হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন হৃদয়, ‘প্রতিটি গল্পের দুটি দিক থাকে। হয়তো একপক্ষের চাপে অপরপক্ষ আমাদের কখনো জানার সুযোগ হয়না। তাই ঢালাওভাবে সবটা না জেনেই আমরা কিছু করে বসি বা বলে ফেলি। একদম শুরু থেকে যদি সবটাই বলতে পারতাম তবে কাহিনী হতো ভিন্ন, যেটা বলতে পারছি না, কেনো পারছি না তা না হয় পরেই বলবো!’

পোস্টে দোষ ঘাড়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন হৃদয়, ‘নিজেদের ভেতর অনেক কিছুই হয়, বড়-ছোট সবাই ভুল করে, পরিবারের অপর মানুষটা যেন ছোট বা অপমানিত না হয়, সেজন‍্য অনেক কিছু নিজের ঘাড়ে নিতে হয়, আবার সহ‍্য করতে হয়। হোক সেটা অপমান কিংবা ভালোবাসা। এগুলো মিলেই জীবন। আপাতত এটাই বুঝিয়েছি নিজেকে। মোহামেডান কর্তৃপক্ষ প্রতি  ম‍্যাচে আমাকে উপস্থিত রাখার জন‍্য যে চেষ্টা করেছে তার জন‍্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার সতীর্থ, শ্রদ্ধেয় কোচ, সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ভালোবাসা।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ