‘শুরু থেকে যদি সবটা বলতে পারতাম’, নিষেধাজ্ঞায় পড়া হৃদয়ের পোস্ট
Published: 29th, April 2025 GMT
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সবচেয়ে বিতর্কিত নাম তাওহীদ হৃদয়। তামিম ইকবাল অসুস্থ হওয়ার পর মোহামেডানের নেতৃত্বভার পান তিনি। এরপরই ঘটে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনা। সব শেষ বিতর্কিত আচরণ করে ডিপিএলে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন হৃদয়।
মঙ্গলবার ডিপিএলে মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে আবাহনী। দলটির হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন ২৪ বছর বয়সী জাতীয় দলের ক্রিকেটার হৃদয়। পোস্টে মাঠের বাইরে মোহামেডানকে মানসিক যুদ্ধ করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
হৃদয় লিখেছেন, ‘এবারের প্রিমিয়ার লিগে ২২ গজের বাইরেও এক প্রকার অলিখিত যুদ্ধ করে গেল মোহামেডানে স্পোর্টিং ক্লাব। আর কোনো দলকে এতোটা মানসিক যুদ্ধ করতে হয়নি, যতোটা মোহামেডান করেছে।’
শুরু থেকে সবটা বলতে পারলে কাহিনী ভিন্ন হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন হৃদয়, ‘প্রতিটি গল্পের দুটি দিক থাকে। হয়তো একপক্ষের চাপে অপরপক্ষ আমাদের কখনো জানার সুযোগ হয়না। তাই ঢালাওভাবে সবটা না জেনেই আমরা কিছু করে বসি বা বলে ফেলি। একদম শুরু থেকে যদি সবটাই বলতে পারতাম তবে কাহিনী হতো ভিন্ন, যেটা বলতে পারছি না, কেনো পারছি না তা না হয় পরেই বলবো!’
পোস্টে দোষ ঘাড়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন হৃদয়, ‘নিজেদের ভেতর অনেক কিছুই হয়, বড়-ছোট সবাই ভুল করে, পরিবারের অপর মানুষটা যেন ছোট বা অপমানিত না হয়, সেজন্য অনেক কিছু নিজের ঘাড়ে নিতে হয়, আবার সহ্য করতে হয়। হোক সেটা অপমান কিংবা ভালোবাসা। এগুলো মিলেই জীবন। আপাতত এটাই বুঝিয়েছি নিজেকে। মোহামেডান কর্তৃপক্ষ প্রতি ম্যাচে আমাকে উপস্থিত রাখার জন্য যে চেষ্টা করেছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার সতীর্থ, শ্রদ্ধেয় কোচ, সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ভালোবাসা।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি