ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় হবে : হাফিজুর
Published: 1st, May 2025 GMT
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্তৃক আয়োজিত মহান মে দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমেই শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় হবে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বাস স্ট্যান্ডে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আব্দুল মান্নান'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বিভিন্ন সরকারের কাছে উন্নয়নের বুলি ছাড়া আর কিছু শুনিনি, আমাদের এই নারায়ণগঞ্জ শহরে আদমজী জুট মিল,করিম জুট মিল, বাওয়ানী জুট মিল সহ অনেকগুলো জুট মিল ছিলো।
প্রত্যেকটা জুট মিলে প্রায় ১০/১২ হাজার করে শ্রমিক ছিলো। এই পাটকল গুলো শ্রমিকের জন্য বন্ধ হয়নি,বন্ধ হয়েছিল দুর্নিতিবাজ কর্মকর্তা আর নেতৃত্বের নামে চোর,বাটপারদের জন্য। অনেকেই শ্রমিকদের অধিকারের কথা বলে, কিন্তু আজো পর্যন্ত শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে এক সময় লাল পতাকাধারী নেতারা বক্তৃতা দিতো, কেউ থাকবে পাঁচ তলায় আর কেউ থাকবে বাঁশ তলায় তা হবেনা। এই বলে তারা কোটিপতি বনে গিয়েছিল।
কিন্তু শ্রমিকদের কোনো ভাগ্য বদল হয়নি। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে আজ শ্রমিকরা দিশেহারা। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এমন এক শ্রম নীতি চায়,মালিক আর শ্রমিকের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবেনা।
আমাদের দেশের নেতারা মালিকের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে দিয়ে মিল কারখানা ধ্বংস করছে, পক্ষ্যান্তরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বলছে মালিক শ্রমিক ভাই ভাই, উন্নয়নের বিকল্প নাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন'র সাধারন সম্পাদক মো.
এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফিরোজ আহমেদ ভূইয়া,সাধারন সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ সদর দর্জি শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়ন, মোঃরুহুল আমিন, সভাপতি, রূপগঞ্জ রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, আজিজ উদ্দিন বাবুল সভাপতি, ফতুল্লা দক্ষিণ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা, মো. হুমায়ূন কবির, সভাপতি সোনারগাঁ উত্তর, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা।
সমাবেশ শেষে এক বিশাল র্যালি মদনপুর হয়ে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।