ভূমিকম্পের পর সামরিক হামলায় নিহত ২০০-এর বেশি
Published: 2nd, May 2025 GMT
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল সোমবার সংস্থাটির মানবাধিকারপ্রধান ভলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
গত ২৮ মার্চ ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মানুষ প্রাণ হারান। এরপর ২ এপ্রিল ভূমিকম্পদুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় দেশটির সামরিক সরকার ও বিরোধীরা। তবে এই যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে জান্তা সরকার। জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পরও সেনাবাহিনী কমপক্ষে ২৪৩টি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ১৭১টি ছিল বিমান হামলা। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক।
বিবৃতিতে ভলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সহিংসতা প্রমাণ করে সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে সম্মান করেনি। এটি আরও স্পষ্ট করে দেয়, এখন একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গণতান্ত্রিক শাসনে ফিরে যাওয়া কতটা জরুরি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশটিতে এখনও প্রায় দুই কোটি মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর খাদ্য, পানি, আশ্রয় দরকার। তবে সবচেয়ে বেশি দরকার শান্তি ও নিরাপত্তা।’
হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তুর্ক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যে কোনো বাধা ছাড়াই মানবিক সহায়তা ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাতে দিতে হবে। সেনাবাহিনীর উচিত সব ধরনের হামলা বন্ধ করে মানুষের অধিকার ও প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া।’ জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে অস্ত্রের পেছনে না ছুটে, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগিয়ে আসতে হবে। এখন দরকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।’
এদিকে মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। কাওকারেইক ও কাইওনডো শহরের মাঝামাঝি এলাকায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে। কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, পিপলস ডিফেন্স ফোর্স ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট দখলে নিয়েছে। থাইল্যান্ডগামী প্রধান মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে তারা। নতুন করে সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ১০ জন প্রতিরোধ যোদ্ধার পাশাপাশি প্রাণ গেছে ২০ জন বেসামরিক মানুষের। খবর এএফপি, ইরাবতীর।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ার খানাবাড়ি এলাকায় আল আমিন (৪০) নামের এক ঘের ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত ৯টার দিকে তাঁকে গলা কেটে রাস্তার ওপর ফেলে যায় তারা।
নিহত আল আমিনের বাড়ি দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা দিঘির পূর্বপাড় এলাকায়। তিনি ইজারা নিয়ে মাছের ঘেরের ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া খানাবাড়ি সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন আল আমিন। পথিমধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আল আমিনের মরদের পাশে মোটরসাইকেল পড়ে ছিল।
দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল। কিছুদিন আগে তিনি কারাগার থেকে বের হন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। রাতেই খুলনা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।