নগরীর বহদ্দারহাট-শুলকবহর অংশে সড়কের একটি স্থানে এক পাশের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ টিনের ঘেরাও দিয়ে রাখা হয়েছে। ফ্লাইওভার ও নিচের সড়ক দিয়ে স্রোতের মতো গাড়ি চলাচল করছে। মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাটের দিকে যাওয়ার পথে শুলকবহর এলাকার সেই টিনঘেরা অংশে সরু সড়কে গিয়ে গাড়ি আটকে যাচ্ছে। আবার শুলকবহর থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত অর্ধকিলোমিটার জুড়ে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় খালের দুই পাশে রিটেইনিং ওয়াল (দেয়াল) নির্মাণ করার পাশাপাশি তলাও পাকা করা হচ্ছে। এসব কাজ করতে সড়কের বড় একটি অংশে যত্রতত্র ও এলোমেলোভাবে ফেলে রাখা হয়েছে মাটি, ময়লা আবর্জনা ও নির্মাণসামগ্রী। প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত এক্সক্যাভেটর দখল করে রেখেছে সড়কের বড় অংশ। এ কারণে সড়ক এত বেশি সরু হয়ে গেছে যে, যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। দুই স্থানে দিন-রাত যানজট লেগে থাকছে। বেশ কিছুদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ। এ অবস্থায়ও সড়ক দখল করে কিছু টি স্টল ও ফলের দোকান বসেছে। 
বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, পতেঙ্গা– এ সড়কটি হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সড়ক। কালুরঘাট সেতু ও শাহ আমানত সেতু থেকে আসা দুটি সড়ক গিয়ে মিলেছে বহদ্দারহাটে, এই সড়কটির সঙ্গে। সড়কটি দিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত চলাচল করা যায়। স্বাভাবিকভাবে সড়কটির ওপর দিন-রাত সমানে যানবাহনের চাপ লেগে থাকে। বহদ্দারহাট এলাকা নগরীর অন্যতম জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকাগুলোর একটি। এখানকার জলাবদ্ধতা নিরসনে শুলকবহর এলাকায় মূল সড়কের পাশ ধরে চশমাখাল ও মির্জাখালে সড়ক কেটে দুটি খালকে সংযুক্ত করতে সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। নগরীর জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় এই সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। আগে এখানে কালভার্ট থাকলেও সেটি এত নিচু ছিল যে, পানি চলাচল ব্যাহত হতো। মূলত সহজে যাতে দুই খাল দিয়ে এ এলাকার পানি নেমে যেতে পারে সে জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব কাজ করা হচ্ছে, এগুলো খুবই জরুরি। কারণ এই কাজ ছাড়া নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করা যাবে না। কিন্তু যততত্র ময়লা-আবর্জনা, লোহালক্কড় ও যন্ত্রপাতি ফেলে রাখায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক সরু হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে সড়ক কাদাময় হয়ে উঠছে। এতে পথচারীরা চলাফেরা করতে পারেন না। যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হয়। ময়লা-আবর্জনা দ্রুত সরিয়ে নিলে এবং যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক মতো রাখা হলে বিদ্যমান সমস্যা কিছুটা হলেও কমে আসবে।
শুলকবহরে সাব কন্ট্রাক্টর হিসেবে সেতুটি নির্মাণের পাশাপাশি আশেপাশে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘সলভার ফাইভ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’। কথা হয় এই প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মো.

নাছির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি সমকালকে বলেন, ‘বহদ্দারহাট ও মুরাদপুর এলাকায় জলবদ্ধতার বড় একটি কারণ হচ্ছে শুলকবহরে চশমা খাল ও মির্জা খালকে সংযুক্ত করা কালভার্টটি দিয়ে নির্বিঘ্নে পানি চলাচল করতে পারে না। পানি আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তাই একানে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুটি নির্মাণ করতে গিয়ে দেখা গেছে, যেখানে সেতু হবে, সেখানে গ্যাসের বড় পাইপ লাইন। ফলে কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আবার সড়ক কেটে খালে রূপ দিয়ে সেখানে সেতু নির্মাণ করতে হচ্ছে। এ কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এরপরও যানবাহন চলাচলে যাতে বড় ধরনের বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য সড়কটিকে ভাগ ভাগ করে কেটে সেতু নির্মাণের উপযোগী করা হচ্ছে।’
বহদ্দহাট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এই অংশে খালের বেশিরভাগ অংশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে শুলকবহরের কিছু অংশ ও বহদ্দারহাট মোড়ে খাল খননের পাশাপাশি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। এজন্য কয়েকটি স্থানে মাটির বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
বহদ্দরহাট মোড়ে স্বজন সুপার মার্কেটের সামনে সিটি করপোরেশন নালার ওপর যেসব দোকানপাট ছিল, সেগুলো কিছুদিন আগে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এখন স্কেভেটর দিয়ে মাটি তুলে নিয়ে খালের তলা পাকা করা হচ্ছে। বুধবার দুপুরে সেখানে স্কেভেটর দিয়ে খালের মাটি অপসারণ করা হচ্ছিল। এ সময় স্কেভটর চালক মো. মানিক বলেন, ‘সড়কের ওপর স্কেভেটর রেখে খালের মাটি তুলতে হচ্ছে। এগুলো আবার খালের পাশে সড়কের একাংশে রাখতে হচ্ছে। এতে সড়ক ছোট হয়ে আসছ। তবে খাল থেকে উত্তোলন করা মাটি দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’ 
বহদ্দারহাট মোড়ে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাতের বড় একটি কারণ হচ্ছে, সড়ক দখল করে দোকানপাট। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজের মধ্যেও সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে সারি সারি ভাসমান দোকানপাট। এগুলোও সড়ককে সংকুচি করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ হিমশিম খেলেও রহস্যজনক কারণে এসব দোকান ভাসমান দোকান অপসারণ করা হচ্ছে না।
এখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মো. জাহের। তিনি সমকালকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজের কারণে কিছুদিন ধরে বহদ্দারহাট ও আশেপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।’ সড়কে গড়ে উঠা দোকানপাট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সড়ক থেকে দোকানগুলো তুলে দিলে, আবার গড়া হয়। আমরা কী দোকানপাট অপসারণ করব নাকি, যানজাট নিরসন করব?’
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায় বহদ্দারহাট মোড়সহ আশপাশের এলাকা। পানিনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বৃষ্টির পানি আটকে যায় মোড়টিতে। এতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা হয়। এ সমস্যা নিরসনে নালার প্রশস্ততা বাড়ানো এবং এই নালার মাধ্যমে দুটি খালের (চশমা ও মীর্জা খাল) সঙ্গে সংযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য নালার ওপর নির্মিত সিটি করপোরেশনের বিপণিবিতানসহ বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্ষার আগেই পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করতে রাত-দিন কাজ চলছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় এ কাজ করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড। এখন পর্যন্ত কমবেশি ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
শুধু বহদ্দারহাট নয়, নগরের জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকাগুলোর নালা–নর্দমা ও খালগুলোর সম্প্রসারণ, খনন ও ময়লা–আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ চলছে। এবার বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ শুরু করেছে। এতে হালকা বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ভারী বর্ষণ হলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ ঠেকানো সহজ হবে না বলে মনে করছেন তারা।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানান,  জলাবদ্ধতা নিরসনে কৌশলে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার জলাবদ্ধতা প্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকায় বহদ্দরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা রয়েছে। এসব এলাকাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ চলছে। এতে আগামী বর্ষা মৌসুমে নগরের বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক প রকল প র ক জ ন র ম ণ কর ক জ চলছ ক জ কর এল ক য় র পর য র এল ক সড়ক দ ন রসন সমস য র ওপর সড়ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঘুঘুডাঙ্গার মনোরম তালসড়ক

অক্টোবরের প্রথম দিকে লম্বা এক ছুটিতে বেড়াতে গেলাম বগুড়া। দেশের উত্তরের জনপদ বরাবরই আমার পছন্দ। মানুষ কম, হালকা বসতি। পথে বা হাটবাজারে ততটা ভিড়ভাট্টা নেই। বাজারে কম দামে টাটকা শাকসবজি মেলে। এসব কেনার চেয়ে দেখেই তুমুল আনন্দ পাই। নিঝুম গ্রামের ভেতর ফসলের মাঠে ছড়িয়ে থাকা বৈচিত্র্য দেখতে দেখতে উদ্দেশ্যহীন ঘোরাঘুরি বেশ উপভোগ করি। যত দূর চোখ যায়Ñ গ্রামের পর গ্রাম। মুঠো মুঠো সবুজের ভেতর এঁকেবেঁকে ছুটে চলা মেঠো পথ মাড়িয়ে আমরা প্রতিদিন দূরে কোথাও হারিয়ে যাই। দিনের মুহূর্তগুলো মানুষের জীবনাচারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কতটা নিপুণভাবে ক্ষণে ক্ষণে বদলে যেতে পারে,Ñ এসব গ্রামে না এলে তা বোঝার উপায় নেই। কৃষিনির্ভর এই জনপদে প্রতিমুহূর্তের ব্যস্ততা যেন অনিবার্য নিয়তি।

বগুড়ার গ্রামীণ জনপদ ঘুরে, দর্শনীয় স্থানগুলো দেখে মনে হলো যথেষ্ট নয়! চোখের তৃষ্ণা মেটেনি। মনের ক্ষুধাও যায়নি! তখনই মনে পড়ল নওগাঁর ঘুঘুডাঙ্গার বিখ্যাত তালসড়কটির কথা। এত কাছে এসে তালসড়কটি দেখতে যাব না, তা কি হয়? স্থানীয় সাংবাদিক আনোয়ার পারভেজ বললেন, ‘বগুড়া থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টারই তো জার্নি। ঘুরে আসুন।’ আমারও মনে হলো, এমন একটি অসাধারণ দৃশ্যের জন্য এই দূরত্ব কিছুই না।

সকালে তুমুল বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভাঙল। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার থেমেও গেল। গাড়িতে ওঠার সময় স্থলপদ্মের গাছটি চোখে পড়ল। গাছভর্তি ফুলগুলো বৃষ্টির দাপটে একেবারে নেতিয়ে পড়েছে। অথচ বিকেলে ভেবে রেখেছিলাম, সকালে শরতের মধুর আলোয় স্থলপদ্মের ছবি তুলব। তা আর হলো না। দ্রুত বেরিয়ে পড়ি। প্রথমে গেলাম নওগাঁর সাপাহারের কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানার বাগানে। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যখন স্বপ্নমণ্ডিত সেই তালসড়কে পৌঁছাই, তখন ঠিক দুপুরবেলা।

কিন্তু দুপুর হলেও দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখর তালসড়ক। শুধু বৃহত্তর রাজশাহী নয়, দূরদূরান্ত থেকেও পর্যটকেরা এখানে আসেন। নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার হাজীনগর ইউনিয়নে এই তালসড়কের অবস্থান। মূলত ঘুঘুডাঙ্গা-শিবপুর সড়কের দুপাশজুড়ে থাকা বীথিবদ্ধ তালগাছের জন্যই সড়কটি ‘তালসড়ক’ বা ‘তালতলী’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। হাজীনগর গ্রামের মজুমদার মোড় থেকে ঘুঘুডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কজুড়ে এই তালসড়কের অবস্থান।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন রাস্তা ও খালপাড়ে ৭২০ কিলোমিটারের বেশি জায়গাজুড়ে লাগানো হয়েছে কয়েক লাখ তালগাছ। তখন বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত নওগাঁর নিয়ামতপুর, পোরশা, পত্নীতলা ও ধামইরহাট, রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, রহনপুর উপজেলার রাস্তার দুপাশে রোপণ করা হয়েছে অনেক তালগাছ। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার অভাবে অনেক গাছই হারিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বেঁচে আছে কিছু। তবে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গার এই গাছগুলো এখনো কালের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে। বর্তমানে গাছগুলো ৫০ থেকে ৬০ ফুট উঁচু হওয়ায় রাস্তার দুপাশে শোভাবর্ধন করছে।

একসময় নিয়ামতপুর উপজেলার হাজীনগর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙা-শিবপুর সড়কটি ছিল একটি মেঠো পথ। ২০১২ সালের দিকে সড়কটি পাকা করা হয়। বর্তমানে তালসড়কের দুপাশে দিগন্তবিস্তৃত ফসলের মাঠ থাকায় সড়কটি বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

ভাদ্র মাসে তাল পাকার মৌসুমে তালসড়ক ঘিরে উৎসবেরও আয়োজন করা হয়। নানা স্বাদের তালের পিঠা এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ। তবে বেড়াতে আসা পর্যটকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য এখানে মানসম্পন্ন পর্যটনসেবা থাকা প্রয়োজন।

শুধু বরেন্দ্র অঞ্চলই নয়, বৃহত্তর ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানেও প্রচুর পরিমাণে তালগাছ চোখে পড়ে। খেতের আলপথ, বাড়ির সীমানা, খালপাড়, পুকুরপাড় বা পথের ধারে এসব সুদৃশ্য তালগাছ প্রকৃতিতে ভিন্ন এক ব্যঞ্জনা তৈরি করেছে। দেশের বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে থাকা এসব তালগাছের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও আছে। দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দৃশ্যমান তালগাছের রস থেকে ভালো মানের সুস্বাদু গুড় ও মিছরি তৈরি করা হয়। বাজারে এসব গুড়-মিছরির চাহিদাও ব্যাপক। আমাদের দেশেও এসব গাছ থেকে বাণিজ্যিকভাবে তালের গুড় তৈরি করা সম্ভব। প্রয়োজন যথাযথ উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতার।

 মোকারম হোসেন, প্রকৃতি ও পরিবেশবিষয়ক লেখক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঘুঘুডাঙ্গার মনোরম তালসড়ক
  • চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে