ফরিদপুরের সালথায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা মামলায় আওয়ামী লীগের ১৮ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান এ আদেশ দেন।

আওয়ামী লীগের ওই নেতা-কর্মীরা আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাঁদের কারাগারে নেওয়া হয়।

কারাগারে পাঠানো নেতা-কর্মীরা হলেন সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দেলোয়ার কাজী, আইনবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, ভাওয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল মাতুব্বর, বল্লভদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের লীগের সভাপতি ইউনুস মোল্লা, যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মিয়া, আওয়ামী লীগের কর্মী নান্নু মাতুব্বর, জাহাঙ্গীর মুন্সী, রাসেল মাতুব্বর, কামরুল মোল্লা, সরোয়ার মাতুব্বর, সিরাজুল মাতুব্বর, ফজলু মাতুব্বর, নজরুল মাতুব্বর, আইয়ূব আলী, উজ্জ্বল মাতুব্বর, আলেপ মাতুব্বর, রেজাউল মাতুব্বর, ইয়াসিন মোল্লা, ছানো মিয়া। তাঁদের সবার বাড়ি সালথার বিভিন্ন এলাকায়।

২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সালথা কলেজ মাঠে শামা ওবায়েদের পক্ষে একটি জনসভার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি। ওই জনসভায় হামলা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় শামা ওবায়েদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ৮২ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে সালথা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য আবদুর রব মাতুব্বর।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ম ত ব বর ন আওয় ম য় আওয় ম কর ম র

এছাড়াও পড়ুন:

নুসরাত ফারিয়া এক মাস পর কাজে ফিরলেন

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়া অবশেষে কাজে ফিরলেন। দীর্ঘ এক মাস পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে আবারও নিজের কাজে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

গত ১৮ মে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলায় আটক হন তিনি। ওই সময় বিষয়টি ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে ২০ মে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান জামিন মঞ্জুর করলে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান ফারিয়া।

কারামুক্তির এক মাস পর নিজের ভক্ত-অনুসারীদের জন্য ফিরে এলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে লেখেন, ‘১ মাস পর...’। সঙ্গে শেয়ার করেছেন কয়েকটি ছবি, যেখানে দেখা যাচ্ছে। একটি রেকর্ডিং স্টুডিওতে মাইক্রোফোনের সামনে বসে আছেন তিনি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, কাজে ফিরেছেন তিনি। ফিরেছেন ডাবিং স্টুডিওতে।

ভক্ত-অনুরাগীরাও তাকে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত। একজন লিখেছেন, ‘তোমার অতীতের ঘটনাগুলো ভুলে যাও, কিন্তু সেই ঘটনাগুলো থেকে পাওয়া শিক্ষা কখনো ভুলে যেও না।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘খুবই চমৎকার লাগছে আপনাকে দেখে, আপনার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা রইল।’

নুসরাত ফারিয়া, যার যাত্রা শুরু হয়েছিল একজন আরজে হিসেবে। এরপর পরিচিতি পান একজন দক্ষ উপস্থাপক হিসেবে। ২০১৫ সালে যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘আশিকী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি।

কঠিন সময় পেরিয়ে আবারও নতুন উদ্যমে ফিরলেন ফারিয়া। তার এ ফিরে আসা যেন শুধুই কর্মজীবনে নয়, এক আত্মবিশ্বাসী অধ্যায়েরও সূচনা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ