শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সরকার অটল বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, সব খাতের শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর।

আজ সোমবার ঢাকার বাংলাদেশ–চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শ্রম উপদেষ্টা।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, গত ৪০ বছরে বাংলাদেশে শিল্পায়ন হলেও তৈরি পোশাকশিল্প ছাড়া অন্য খাতের বিকাশ সীমিত। বড় নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো যদি শ্রম আইন মেনে কেন্দ্রীয় তহবিলে লভ্যাংশ জমা না দেয়, তাহলে তারা সরকারি ক্রয় থেকে বাদ পড়বে। এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল ও সুপারশপগুলোকে শ্রম আইন ২০০৬–এর আওতায় বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।

শ্রম উপদেষ্টা আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের মতো বাংলাদেশি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা (ওএসএইচ) নিশ্চিত করে এবং অনানুষ্ঠানিক খাত ও কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, আইএলওর এদেশীয় পরিচালক তুমো পুটিয়ানিন, বিবিডিএন ও বহ্নিশিখার পরিচালক ও বিভিন্ন উদ্যোক্তা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

তিন উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়ে আমিনুলের ব্যাখ্যা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সবশেষ বোর্ড সভায় তিনজন উপদেষ্টাকে নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু উপদেষ্টা নিয়োগের প্রক্রিয়া মানা হয়নি বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে। বিসিবি জানিয়েছে, সাখাওয়াত হোসেনকে ক্রিকেট টুরিজম উপদেষ্টা, ব্যারিস্টার শেখ মাহাদি হাসানকে আইনি উপদেষ্টা ও সৈয়দ আবিদ হোসেন সামিকে ক্রিকেট উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে সভাপতি সর্বোচ্চ পাঁচ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করতে পারেন। কিন্তু উপদেষ্টা হতে হবে ‘দেশের খ্যাতনামা ক্রিকেটার/প্রখ্যাত ক্রিকেট সংগঠকদের’ কেউ। যে তিন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা কেউই ক্রিকেটার বা সংগঠক নন।

কোন প্রক্রিয়ায় তারা নিয়োগ পেয়েছে সেটা নিয়েই উঠেছে বিরাট প্রশ্ন। কোনো পারিশ্রমিক কিংবা নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমে তারা কাজ করবেন না। তারপরও তাদের নিয়োগ যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়নি। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ধারনা দিলেন, তাদের নিয়োগ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ‘অ‌্যাডজাস্ট’ করবেন তিনি। এজন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গেও কথা বলবেন।

আরো পড়ুন:

হান্নান এবার বিসিবির কোচিংয়ে

এইচপি স্কোয়াডে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ছেলে সানদিদ

গণমাধ‌্যমে আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘চলার পথে যত আইনি সহায়তার প্রয়োজন, সেজন‌্য ব‌্যারিস্টার মাহাদিকে আইন উপদেষ্টা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটের মানুষ হওয়াতে আইনগত অনেক কিছু জানা নেই। উনার পরামর্শে আইনি বিষয়গুলো সামলাবে বিসিবি।’’

ক্রিকেট উপদেষ্টা হিসেবে সামির নিয়োগ দিয়ে আমিনুলের দাবি, ‘‘ক্রিকেটে এখন অনেক ব্যাপার চলে এসেছে। ডিজিটালাইজেশন বলুন, স্ট্রিমিং বলুন, সামাজিক মাধ্যম সামলানো, এরপর আমরা যেহেতু তৃণমূলে যাচ্ছি, তাদেকে আমরা কীভাবে সম্পৃক্ত করব, করার পর তাদেরকে কীভাবে গড়ে তুলব, এজন্য আমাদের সাপোর্ট দরকার। তাকে আমরা ওই কাজগুলিতে ব্যবহার করব।’’

ট্যুরিজম উপদেষ্টা ক্রিকেটের মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরবে বলে আশাবাদী আমিনুল, ‘‘বাংলাদেশের ট্যুরিজম ও হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি এখন নাম্বার ওয়ান। আমাদের কক্সবাজার ভেন্যু, সিলেট ভেন্যু, এছাড়াও ঢাকায় যখন খেলা হয়, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি ২০২৭ সালে মেয়েদের অনূধর্ব-১৯ বিশ্বকাপ আছে এখানে, সে বছর এশিয়া কাপ আছে, ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে, এই ধরনের সব ইভেন্ট ধরে যেন তাকে আমরা কাজে লাগাতে পারি।’’

সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও তিনজন উপদেষ্টাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন বলে দাবি করলেন আমিনুল। তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি বলে সমালোচনাও হয়নি। আমিনুলের দাবি, আইন উপদেষ্টা বাদে বাকি দুজনের পরামর্শ বোর্ড চাইলে গ্রহণ করবে। নয়তো তারা কেউই নিজের ইচ্ছাতে বোর্ডকে কোনো পরামর্শ দেবেন না।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ