অতিসত্বর শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করতে না পারলে উপদেষ্টারা তাঁদের শপথের সঙ্গে বেইমানি করবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, শ্রমিকের রক্তের ওপর দিয়ে তাঁরা উপদেষ্টা হয়েছেন।

আজ রোববার রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, নোটিশ পে, সার্ভিস বেনিফিটসহ যাবতীয় পাওনার দাবিতে অবস্থান নেওয়া টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশে এ কথা বলেন নাসীরুদ্দীন।

বেতন–বোনাসের দাবিতে দীর্ঘদিন শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শ্রমিকদের বিষয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় এসেছিল, তাদের দাবি পূরণ হয়েছে। অথচ শ্রমিক ভাইয়েরা এখানে দুই মাস রাজপথে বসে আছে, সরকারের কোনো মহলের তাদের দিকে তাকানোর সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘এ কেমন রাষ্ট্র? এই রাষ্ট্র তো আমরা চাই না। শ্রমিকেরা রাস্তায় বসে থাকবে আর মালিকপক্ষ খিলখিলিয়ে হেসে শ্রম মন্ত্রণালয়ে মিটিং করে বেড়াবে।’

শ্রমিকদের উদ্দেশে এনসিপির এই মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘সংবিধানে আপনার কোনো ন্যায্য মজুরির কথা নেই। আপনাদের সন্তান কেমন পড়াশোনা করবে, সেটার কথা নেই। আপনাদের কোনো অধিকারের কথা নেই। এই সংবিধান যদি না পাল্টাতে পারেন তাহলে যত দিন আপনি বেঁচে থাকবেন, আপনার সন্তানের কোনো ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে নেই।’

শ্রমিকনেতা মো.

সুমন বলেন, টিএনজেড গ্রুপের কাছে শ্রমিকদের পাওনা ৫৪ কোটি টাকা। গত ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে ৩ কোটি টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়। প্রতিজন শ্রমিক ৯ হাজার ১০০ টাকা করে পান। বাকি টাকা গত মাসের ৮ তারিখে দেওয়ার কথা ছিল। পাঁচ হাজার শ্রমিক সাত দিন ধরে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, টিএনজেড গ্রুপের মালিকের গাজীপুরে অনেক সম্পদ রয়েছে। তাঁর চাইলে ৫ হাজার ২০০ শ্রমিকের বেতন–বোনাস পরিশোধ করতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা তা না করে টালবাহানা করছেন।

এই শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘গত রোববার (১১ মে) থেকে আমরা টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীরা শ্রম ভবনের সামনে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, নোটিশ পে, সার্ভিস বেনিফিটসহ যাবতীয় পাওনার দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এবার আর সরকারকে ঘোষণা দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা হবে না। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’

১১ মে থেকে টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীরা শ্রম ভবনের সামনে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, নোটিশ পে, সার্ভিস বেনিফিটসহ যাবতীয় পাওনার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট এনজ ড গ র প র

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিসি ব্যাংকের পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত

বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে পর্ষদ সভাটি হয়।

এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আলী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দিন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, শামিমা নেওয়াজ, মোরশেদুল আলম চাকলাদার, নাহিদ বানু, স্বতন্ত্র পরিচালক মীর সাজেদ উল বাসার এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. মনিরুল আলম (কোম্পানি সচিব) ও মো. হাবিবুর রহমান এবং বোর্ড ডিভিশনের এসএভিপি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সভায় ব্যাংকের চলমান ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কৌশলগত পরিকল্পনা–সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ১৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা কমেছে ১০২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করে ৫৮ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা ২০১ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ