কাজকর্ম খেয়াল করলে বিদেশি কর্পোরেট লবিস্টদের ছায়া পাওয়া যায়: আনু মুহাম্মদ
Published: 19th, May 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে তার সুযোগ্য প্রেস সচিব ও বিভিন্ন পদের কোনো কোনো কর্তাব্যক্তির ভাবসাব, কথাবার্তা ও কাজকর্ম খেয়াল করলে বিদেশি কর্পোরেট লবিস্টদের ছায়া পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
রোববার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি একথা বলেন। তবে তার ফেসবুক আইডিটি ভেরিফায়েড না।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ফেসবুক পোস্টে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে তার সুযোগ্য প্রেস সচিব ও বিভিন্ন পদের কোনো কোনো কর্তাব্যক্তির ভাবসাব, কথাবার্তা ও কাজকর্ম খেয়াল করলে বিদেশি কর্পোরেট লবিস্টদের ছায়া পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বন্দর, করিডোর, সমরাস্ত্র কারখানা, অস্বচ্ছ তড়িঘড়ি এলএনজি আমদানি চুক্তি, স্টারলিংক চুক্তি ইত্যাদি নিয়ে তাদের দৌড়ঝাপ, জবরদস্তি, গোপন গোপন ভাব, মিথ্যা বিজ্ঞাপনী গল্প এটাই নির্দেশ করে।
সংস্কার কমিশন গঠন-নানা মিটিং সবই লোকভুলানো সময়কাটানো খেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন, রিপোর্ট, নানা মিটিং, প্রতিশ্রুতি সবই হচ্ছে লোকভুলানো সময়কাটানো খেলা। না হলে অনেকগুলো প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ এরমধ্যে অগ্রসর হতে পারতো। তাদের মনোযোগ জনপন্থী সংস্কারে নয়, অন্যত্র।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এসব চলবে না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা