সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে রাজাপাড়া সীমান্ত পিলার ১২১১ নম্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

গুলিবিদ্ধ ওই যুবকের নাম মো. শামসুল হক (২৫)। তিনি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রাজাপাড়া গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে।

জানা যায়, সোমবার (১৯মে) ভোরে রাজাপাড়া সীমান্ত পিলার ১২১১নং দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে ভারতীয় চোরাইপণ্য বহন করে আনার জন্য সামসুলসহ ৪-৫ জন সীমান্তের ওপারে যায়। এসময় চিনাকান্দি বিজিবি ক্যাম্পের বিপরীতে ১৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রাজাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করলে শামসুল হকের বাম হাতে দুইটি ছড়রা গুলি লেগে গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ সামসুল হকের সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। 

সামসুল হকের পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, গুলিবিদ্ধ শামসুল হককে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে নিয়ে গেছে। তিনি এখন আশংকা মুক্ত। 

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডা.

নাজমুস সাকিব জানিয়েছেন, শামসুল হক নামের একজন বাম কাধের শোল্ডারে গুলির আঘাত পেয়ে সকালে এসেছিলেন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি'র অধিনায়ক একেএম জাকারিয়া কাদির জানান, সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমানায় কারফিউ চলছে। এরমধ্যেই কয়েকজন ওপারে যাওয়ার চেষ্টার সময় বিএসএফ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি করে। এ সময় শামছুল হক গুলিবিদ্ধ হন। বিজিবির প্রেসবিজ্ঞপ্তিতেও একই কথা জানানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ স ন মগঞ জ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক