যদি কেস থাকে, কী করবেন, ছেড়ে দিলে বলবেন ছেড়ে দিছেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 19th, May 2025 GMT
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘এখন তাঁর নামে যদি কেস থাকে, আপনি কী করবেন?...ছেড়ে দিলে আবার আপনি কিন্তু...বলবেন স্যার আপনি ছেড়ে দিছেন...।’
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
গতকাল রোববার নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আজ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টার সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
আরও পড়ুননুসরাত ফারিয়া শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার১৮ মে ২০২৫সচিবালয়ের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। এক সাংবাদিক বলেন, গতকাল বিমানবন্দর থেকে এক চিত্রনায়িকা গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ সোমবার সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এটার (গ্রেপ্তার) সমালোচনা করেছেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য জানতে চান সাংবাদিক।
জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কী করেছেন, তা তিনি জানেন না। এটা যাঁর যাঁর ব্যক্তিগত মত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে করা আরেক প্রশ্নে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের যারা অপরাধী, তাদের বিচার অবশ্যই হবে। এই বিচার করাটা এই সরকারের ম্যান্ডেট। দেশের মানুষ এ বিষয়ে সরকারকে সমর্থন করে। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে যদি কোনো মানুষ ভোগান্তি মনে করে.
জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এঁদের ক্ষেত্রে তিনি অনেকবার বলছেন, কেউ যেন ভোগান্তির শিকার না হয়। এই জন্য তাঁরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। তাঁরা বলছেন, শুধু দুষ্কৃতকারী যেন আইনের আওতায় আসে এবং শাস্তি ভোগ করে। কোনো একজন নিরীহ লোক যেন কোনো অবস্থায়ই শাস্তি ভোগ যেন না করে। এই ব্যবস্থা তাঁরা অবশ্যই নেবেন।
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে করা প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে তিনি বলতে পারবেন না।
নুসরাত ফারিয়া বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন, যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ বিষয়ে করা প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন তাঁর নামে যদি কেস থাকে, আপনি কী করবেন?...ছেড়ে দিলে আবার আপনি কিন্তু...বলবেন স্যার আপনি ছেড়ে দিছেন...।’
আরও পড়ুননুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর একটা ঘটনা: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী২ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুননুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ৩ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আপন
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা