সুনীল শেঠি, অক্ষয় কুমার ও পরেশ রাওয়াল অভিনীত বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি সিনেমা ‘হেরা ফেরি’। এ সিনেমা ফ্যাঞ্চাইজির প্রথম পার্ট মুক্তি পায় ২০০০ সালে। অর্ধযুগের বিরতি ভেঙে নির্মিত হয় সিনেমাটির দ্বিতীয় পার্ট। এ সিনেমা ফ্যাঞ্চাইজিতে রাজু, শ্যাম ও বাবুরাও চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন অক্ষয়, সুনীল ও পরেশ।

নির্মিত হচ্ছে ‘হেরা ফেরি’ ফ্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি। কয়েক দিন এ সিনেমার কাজ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন পরেশ রাওয়াল। ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমা প্রযোজনা করছেন অক্ষয় কুমার। পরেশ রাওয়ালের ঘোষণা আসার পর তার বিরুদ্ধে ২৫ কোটি রুপি লোকসানের জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন অক্ষয়। তারপর থেকে নানা ধরনের গুঞ্জন উড়ছে বলিপাড়ায়। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন পরিচালক প্রিয়দর্শন।

বম্বে টাইমসকে প্রিয়দর্শন বলেন, “কী ঘটছে সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। তার চলে যাওয়ার ঘটনা আমার জন্য বড় ধাক্কা। আমি ভীষণ আহত হয়েছি।”

আরো পড়ুন:

কানে পা রেখেই রূপের দ্যুতি ছড়ালেন জাহ্নবী

২৮৭ কোটি টাকা ছাড়িয়ে অজয়ের সিনেমার আয়

পরেশ রাওয়ালের আচরণে আহত হয়েছেন প্রিয়দর্শন। তা জানিয়ে এই পরিচালক বলেন, “আমি সিনেমাটির তৃতীয় কিস্তির কাজ শুরু করেছি। হঠাৎ করেই সে কাজটি ছেড়ে দিল। এ বিষয়ে আমাকে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। আমি আহত হয়েছি। পরেশ আমার পরিবারের মতো এবং সে আমাকে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। ব্যাখ্যা না দিয়ে সে বলেছে, ‘আমার সঙ্গে তার কোনো বিরোধ নেই, আমাকে সে সম্মান করে, আমাদের মাঝে সৃজনশীল কোনো মতপার্থক্যও নেই।’ সত্যি বলছি, আমি ভীষণ আহত হয়েছি। এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না তা জানি না।”

গুঞ্জন উড়ছে, পরেশ রাওয়াল সিনেমাটির কাজ ছেড়ে দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২৫ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করবেন অক্ষয় কুমার। এ বিষয়টি জানতে চাইলে পরিচালক প্রিয়দর্শন বলেন, “এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি চেন্নাইয়ে বসবাস করি। আমি বলিউডের রাজনীতির বিষয়েও বেশি কিছু জানি না।”

বছরের পর বছর ধরে, ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমার চিত্রনাট্যে অসংখ্য পরিবর্তন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। শুরু থেকেই দর্শকরা চাচ্ছিলেন অক্ষয়, সুনীল, পরেশ রাওয়াল একসঙ্গে পর্দায় আসুক। কিন্তু তাতে নানা জটিলতা দেখা দেয়। সর্বশেষ পরেশ রাওয়ালের এই সিদ্ধান্ত সিনেমাটির ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পরিচালক ঠিক কীভাবে সিনেমাটির কাজ সামনে এগিয়ে নেবেন তাই এখন দেখার বিষয়!        

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ