অস্ত্র চালানোসহ বেশকিছু প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে: বাঁধন
Published: 27th, May 2025 GMT
ঈদে মুক্তির মিছিলে রয়েছে আজমেরী হক বাঁধনের অভিনীত সিনেমা ‘এশা মার্ডার’। সানি সানোয়ারের পরিচালনায় এতে একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে তাকে অস্ত্র চালানো, ফাইটসহ বেশকিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে বলে জানালেন বাঁধন।
বাঁধন সমকালকে বলেন, “এতো বছরের ক্যারিয়ারে কখনো পুলিশ অফিসারের চরিত্রে আমি অভিনয় করিনি। এখানে আমি সেই চরিত্রেই অভিনয় করেছি। এটা মূলত নারীপ্রধান গল্প। আমাদের মধ্যে একটা ধারণা আছে পুলিশ অফিসার মানেই ছেলে। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে কাস্ট করার জন্য নির্মাতা সানি সানোয়ার ভাইয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বর্তমানে সিনেমাটি সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা পড়েছে। কয়েকটি সিনেমার সঙ্গে যেহেতু সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পাবে তাই একটু এক্সাইটেড। আশা করি, দর্শক সিনেমাটি হলে গিয়ে দেখবেন।”
পুলিশ অফিসার চারিত্রটি কতটা চ্যালেঞ্চিং মনে হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বললেন, “চ্যালেঞ্জ তো ছিলই। বিশেষ করে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। একজন হুট করেই তো আর পুলিশ অফিসার হওয়া যায় না! চরিত্রটা জীবন্ত করে তুলতে অস্ত্র চালানো, ফাইটসহ বেশকিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে এটা বেশ চ্যালেঞ্চিং চরিত্র ছিল।আমি সেটা উৎরে যেতে পেরেছি।”
প্রথমবার ঈদে সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন বাঁধন। ঈদে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শকের সঙ্গে সিনেমা দেখার আনন্দ ভাগ করে নেবেন বলেও জানালেন এই অভিনেত্রী।
তার কথায়, “ঈদে আমার কোনো সিনেমা আসেনি। এবারই প্রথম। আমি জানি না ঈদে সিনেমা মুক্তির জন্য কী পরিকল্পনা করতে হয়। যেভাবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার প্রচার করেছি, এবারও সেভাবে করবো। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শকের সঙ্গে সিনেমা দেখার আনন্দ ভাগ করে নেব। আর তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই।”
ভারতের নতুন কাজের বিষয় নিয়ে বাধন বলেন, “কলকাতার ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ ও বলিউডে ‘খুফিয়া’ সিনেমার পর প্রস্তাব অনেক পেয়েছি। কিন্তু ভিসা পাইনি বলে আমি অনেকগুলো কাজ করতে পারিনি। এই কথাটা আমি বলতে চাইনি বা বলার প্রয়োজনও বোধ করিনি। কিন্তু সম্প্রতি কিছু বিষয়ের কারণে হয়ত বলতে হলো।”
বাধন বলেন, “‘রেহানা মরিয়ম নূর’ থেকে আমি যেটা করছি সেটা হল- কাজের মাধ্যমে সামাজিক কিছু বার্তা দিতে। কাজের মাধ্য সমাজকে যদি কিছু না দিতে পারি তাহলে সে কাজ করে লাভ কি! এজন্য বিনয়ের সঙ্গে অনেক কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি চাই কম কাজ করতে, কিন্তু সেটা মনে মত করে করতে চাই।”
বাঁধন জানালেন, ‘নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’ নামের সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে সিনেমাটি চলতি বছরেই মুক্তি পাবে।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ল শ অফ স র চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
রাস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।”
দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।”
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/শান্ত