রাজধানীতে কষ্টিপাথরের ৩ মূর্তিসহ গ্রেপ্তার ৪
Published: 28th, May 2025 GMT
রাজধানীর বেইলি রোডের ‘বেইলি হাইটস’ নামে একটি ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ৩টি কষ্টিপাথরের মূর্তি ও মাদকসহ চার চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–১০। মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে মোহাম্মদ জাকির হোসেন, আহমদ মোস্তফা, আনারুল হক ও হাবিবুর রহমান নামে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩৪ কোটি টাকা মূল্যের কষ্টিপাথরের মূর্তি এবং ৪০ লাখ টাকা বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জে র্যাব–১০ এর সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে র্যাব–১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি একদল চোরাকারবারী দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কস্টিপাথর ও বিদেশি মদসহ বড় একটি চালান নিয়ে তাদের সুবিধাজনক স্থানে মজুত করে রেখেছে। তথ্যের সূত্র ধরে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
র্যাবের অধিনায়ক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিদেশি মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার করার তথ্য জানায়। তারা মূলত স্বল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে এই ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে বলে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, কষ্টিপাথরের এই মূর্তিগুলো শুধু প্রাচীন শিল্পকলার নিদর্শনই নয় বরং ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ও বহন করে। শত শত বছর আগের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য বহনকারী এই কষ্টিপাথরের মূর্তিগুলো বাঙালির অতীত সভ্যতা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং শিল্পবোধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মূর্তিগুলো সংরক্ষণ কেবল একটি প্রশাসনিক কর্তব্য নয়, এটি জাতির প্রতি একটি নৈতিক দায়বদ্ধতা। এসব ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষিত হোক, যাতে সাধারণ দর্শক, গবেষক এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। মূর্তিগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণের ফলে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির চেতনা জাগ্রত হবে।
অধিনায়ক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, উদ্ধার কষ্টিপাথরের মূর্তিগুলির মধ্যে একটির ওজন ৮৮.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক