নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতার সূচনা করেছে ভারত-পাকিস্তান ড্রোন যুদ্ধ
Published: 28th, May 2025 GMT
৮ মে রাত আটটার কিছু পর ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় শহর জম্মুর আকাশে লাল রঙের আলোর শিখা ছুটে যেতে দেখা যায়। এ সময় তা লক্ষ্য করে শহরটির বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গুলি চালাতে শুরু করে। সেগুলো ছিল পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোন।
গত কয়েক দশকে নিজেদের মধ্যে হওয়া একাধিক সংঘর্ষে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী একে অন্যের বিরুদ্ধে উন্নত মানের যুদ্ধবিমান, প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করেছে। কিন্তু মে মাসে টানা চার দিনের সংঘর্ষে প্রথমবারের মতো নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ ব্যাপকভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন ব্যবহার করে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর প্রতিবেশী ওই দেশ দুটির মধ্যে সংঘর্ষ থামে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার এ দুই শক্তি এখন ড্রোনকে ঘিরে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়েছে। রয়টার্সের নেওয়া দুই দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তা, শিল্প নির্বাহী, বিশ্লেষকসহ ১৫ জনের সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ভারত ও পাকিস্তান গত বছর প্রতিরক্ষা খাতে ৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ করেছে।
পাকিস্তান বিমানবাহিনী আরও বেশি ইউএভি সংগ্রহের চেষ্টা করছে, যাতে তাদের মূল্যবান উন্নত প্রযুক্তির বিমানগুলো ঝুঁকিতে না পড়ে।ড্রোন ফেডারেশন ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা স্মিত শাহ বলেন, ভারত স্থানীয় শিল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। ইউএভি (ড্রোন) খাতে আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসে প্রায় ৪৭ কোটি ডলার ব্যয় করা হতে পারে, যা সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আগের ব্যয়ের প্রায় তিন গুণ।
এ মাসে ভারত জরুরি সামরিক সরঞ্জাম কিনতে প্রায় ৪৬০ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে। এ তথ্য দুজন শিল্প–বিশ্লেষকও নিশ্চিত করেছেন। অর্থাৎ ভারত জরুরিভিত্তিতে বড় অঙ্কের সামরিক কেনাকাটা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে অবগত দুজন ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত তহবিলের কিছু অংশ যুদ্ধ ও নজরদারিতে ব্যবহৃত ড্রোনের জন্য বরাদ্দ করার পরিকল্পনা করছে ভারতের সামরিক বাহিনী।
ভারতে সাধারণত বছরব্যাপী প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিরক্ষাসামগ্রী ক্রয় করা হয়। তবে ভারতীয় ইউএভি কোম্পানি আইডিয়াফোর্জ টেকনোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিশাল সাক্সেনা বলেছেন, এখন সরকার অত্যন্ত দ্রুততম গতিতে ড্রোন নির্মাতাদের ড্রোন পরীক্ষা ও প্রদর্শনীর জন্য ডেকে পাঠাচ্ছে।
ভারত স্থানীয় শিল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। ইউএভি (ড্রোন) খাতে আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসে প্রায় ৪৭ কোটি ডলার ব্যয় করা হতে পারে, যা সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আগের ব্যয়ের প্রায় তিন গুণ।স্মিত শাহ, ড্রোন ফেডারেশন ইন্ডিয়ার কর্মকর্তাঅন্যদিকে পাকিস্তান বিমানবাহিনী আরও বেশি ইউএভি সংগ্রহের চেষ্টা করছে, যাতে তাদের মূল্যবান উন্নত প্রযুক্তির বিমানগুলো ঝুঁকিতে না পড়ে। এমন তথ্য জানিয়েছে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি পাকিস্তানি সূত্র।
সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান ও ভারত দুপক্ষই আধুনিক ৪ দশমিক ৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটে থাকা ইসলামাবাদের কাছে চীনের নির্মিত প্রায় ২০টি উন্নত মানের জে-১০ যুদ্ধবিমান আছে, যা (যুদ্ধবিমান) ভারতের তুলনায় কম। দেশটির কাছে ফ্রান্সের নির্মিত ৩০টির বেশি রাফাল যুদ্ধবিমান আছে।
পাকিস্তানের করাচিতে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড সেমিনারে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন প্রদর্শন করা হয়। ২১ নভেম্বর, ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত স ঘর ষ ব যবহ
এছাড়াও পড়ুন:
‘তপন বিহারী’ বৃত্তি পাচ্ছেন নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট ফান্ড’ এর বৃত্তি কার্যক্রমের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তপন বিহারী নাগ এ ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেন।
বুধবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ তামজিদ হোসাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৬৮তম সভায় উপস্থাপিত তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট ফান্ড অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যে প্রক্রিয়ায় বৃত্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
যবিপ্রবিতে এয়ারটেলের কনসার্টে অবাধে মাদক সেবনের অভিযোগ
শিবির ছাত্র রাজনীতির পরিবেশকে টক্সিক করে তুলেছে: উমামা ফাতেমা
এ ক্ষেত্রেও একই বিধি অনুসরণপূর্বক এমওইউ স্বাক্ষর করে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন সাপেক্ষে বৃত্তিটি চালুর অনুমতি প্রদান করা হলো। নোবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে দাতা তপন বিহারীর সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় কার্যার্থে বিষয়টি অবগত করা হলো।
নোবিপ্রবি আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামশেদুল ইসলাম বলেন, “কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তপন বিহারী নাগ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের বৃত্তি শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, এটি তাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আরো শিক্ষার্থী এই বৃত্তির আওতায় আসবে এবং উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট ফান্ডের মতো উদ্যোগ আমাদের বিভাগের শিক্ষার গুরুত্বকে আরো দৃঢ় করবে। শিক্ষা বৃত্তিটি আমাদের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিষয়ে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। বিভাগের মেধাবীরা এবং যারা আর্থিকভাবে দুর্বল তাদের এই বৃত্তির মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী