মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
Published: 29th, May 2025 GMT
যশোরের অভয়নগরে সনাতন ধর্মাবলম্বী মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার স্বরখোলা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বড়েদাপাড়ায় সংঘটিত নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন চারজন। তরিকুল হত্যার পর মতুয়া সম্প্রদায়ের দরিদ্রপল্লিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ১৯টি পরিবারের অন্তত ৪৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামলার ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে দায়ের করা মামলায় বাদী কল্পনা বিশ্বাস ক্ষয়ক্ষতির এই পরিমাণ উল্লেখ করেছেন। কল্পনা ভুক্তভোগী সুশান্ত বিশ্বাসের স্ত্রী। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, স্থানীয় সরখোলা গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে ইমন হোসেন (৩০), মতিয়ার রহমান মোল্যার ছেলে রিফাতুল ইসলাম রাতুল (২৩) ও বুইকারা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২৭)।
মামলার বাদী কল্পনা বিশ্বাস বলেন, গত ২২ মে কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম সরদার হত্যাকাণ্ডের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জন দেশীয় অস্ত্র ও পেট্রোলসহ আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা ঘরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে এবং নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালপত্র লুট করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। একইভাবে ১৯টি পরিবারের বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সব মিলিয়ে ১৯ পরিবারের প্রায় ৪৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অভয়নগর থানার ওসি মো.
এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াটি গ্রামের বড়েদাপাড়ায় পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদার খুন হন। মৎস্যঘেরের জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। ওই রাতে তরিকুলের অনুসারীরা পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িসহ মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৯টি পরিবারের ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: যশ র পর ব র র ল ইসল ম ল টপ ট
এছাড়াও পড়ুন:
অভয়নগরে পুড়ে যাওয়া ২০ বাড়ি পরিদর্শন করলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা
যশোরের অভয়নগরের ডহর মশিয়াহাটি গ্রামে গত ২২ মে পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পর সেই গ্রামের ২০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সারা রাত ধরে জ্বলতে থাকে সে আগুন। এতে নিঃস্ব হয় ২০টি পরিবার।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে সেই পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলো পরিদর্শন করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।
পরিদর্শনে যাওয়া নেতারা হলেন— বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিউর রহমান, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের যশোর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু, সিপিবির যশোর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান হিরু এবং বাসদের যশোর জেলা শাখার সমন্বয়ক শাহজাহান আলী।
ঢাকা/রিটন/রফিক