গাজীপুরে দম্পতির মুখে চেতনানাশক ছিটিয়ে কোরবানির গরুসহ পাঁচটি গরু চুরি
Published: 29th, May 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে কেয়ারটেকার ও তাঁর স্ত্রীর মুখে চেতনানাশক ছিটিয়ে কোরবানির একটি ষাঁড়সহ পাঁচটি গরু চুরি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত তিনটা থেকে সাড়ে চারটার মধ্যে উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াত খারচালা গ্রামের শরীফবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত গরুর মালিক ইউসুফ আলী প্রধান ঢাকায় বসবাস করেন। তিনি গরু লালন-পালন ও দেখভালের জন্য কুরবান আলী নামের একজনকে দায়িত্ব দেন। কুরবান আলী তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে গোয়ালঘরের পাশে একটি কক্ষে থাকেন। তাঁদের ছেলে হামিদুল ইসলাম বাড়ির মালিক ইউসুফ আলীর অন্য একটি কক্ষে থাকেন।
চুরি হওয়া গরুর মধ্যে দুটি ষাঁড়, একটি গাভি ও দুটি বাছুর ছিল। এর মধ্যে একটি ষাঁড় কোরবানির উদ্দেশ্যে ইউসুফ আলী কাপাসিয়ার আমরাইদ বাজার থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকায় কিনেছিলেন। চুরি হওয়া গরুর আনুমানিক মূল্য সাড়ে ছয় লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন তিনি।
কুরবান আলীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার রাতে গোয়ালঘর থেকে শব্দ পেয়ে দা হাতে বেরিয়ে আসেন কুরবান আলীর স্ত্রী। বাইরে দুই-তিনজন লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের একজন এসে তাঁর মুখে চেতনানাশক ছিটিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পড়ে যান। পরে কুরবান আলী বাইরে এলে তাঁর মুখেও একইভাবে চেতনানাশক ছিটানো হয়। তিনিও জ্ঞান হারান।
ভোরে ফজরের নামাজের জন্য ওঠেন তাঁদের ছেলে হামিদুল। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখেন, তাঁর মা–বাবা উঠানে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। এগিয়ে গিয়ে নিশ্চিত হন তাঁরা জ্ঞান হারিয়েছেন। দেখেন, গোয়ালঘরের দরজা খোলা ও ভেতরে গরুগুলো নেই। পরে কুরবান আলী ও তাঁর স্ত্রীকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁদের জ্ঞান ফেরে।
ইউসুফ আলী বলেন, ‘ছয় মাস আগেও আমার গোয়ালঘরে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কৃষকেরা নিরুৎসাহিত হবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, সে অনুরোধ করছি।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ য় লঘর
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভবিষ্যতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নৌশক্তি ব্যবহার করবে ভারত’
ভবিষ্যতে পাকিস্তানের যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে ভারত তার নৌবাহিনীর অস্ত্রশক্তি ব্যবহার করবে। শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এ তথ্য জানিয়েছেন।
পশ্চিম ভারতের গোয়া রাজ্যের উপকূলে বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনাদের উদ্দেশে রাজনাথ সিং বলেছেন, “যদি পাকিস্তান কোনো খারাপ বা অনৈতিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এবার ভারতীয় নৌবাহিনীর অস্ত্রশক্তি এবং ক্রোধের মুখোমুখি হবে।”
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে ১২ মে বলেছিলেন, যখনই পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ‘হুমকির সম্মুখীন হবে এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘিত হবে’ তখনই ‘ব্যাপক এবং সিদ্ধান্তমূলক’ প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। নয়াদিল্লি এই হামলায় মদদ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছিল। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপরেও ৭ মে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যে অপারেশ সিঁদুর পরিচালনা করেছিল তা স্থগিত হয়েছে; কিন্তু বাতিল হয়নি।
তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের শর্তে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করেছি। আমাদের বাহিনী এখনো তাদের শক্তি দেখানো শুরু করেনি।”
ঢাকা/শাহেদ