নন্দকুঁজা নদীকে দখল-দূষণমুক্ত করার দাবি
Published: 29th, May 2025 GMT
দখল-দূষণ থেকে নন্দকুঁজা নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। বৃহস্পতিবার গুরুদাসপুর উপজেলা সদর চাঁচকৈড় গরুর হাট এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে কৃষক, মৎস্যজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে তারা নদী রক্ষার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির উপজেলা শাখার সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সমাজসেবক রাশিদুল ইসলাম, চিকিৎসক মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক আলী আক্কাস প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার উপজেলা সহসভাপতি কে.
বক্তারা বলেন, ‘নন্দকুঁজা নদী শুধু একটি জলপ্রবাহ নয়, এটি আমাদের এলাকার জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। নদীর দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। অবিলম্বে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে নদী দখলমুক্ত করতে হবে।’
ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ জানান, নদী ঘিরে থাকা অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছে। শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে। পৌরসভার বর্জ্য অন্যত্র ফেলা এবং অপরিচ্ছন্ন স্থানগুলো পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নদ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘হয় মোদের চাকসু দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’, ‘চাকসু মোদের অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’—এমন স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বে তৃতীয় ইউআইইউ
জবির প্রভাবশালী আওয়ামীপন্থি ‘ক্যাডার’ শিক্ষকরা যেখানে আছেন
আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, “জুলাই মাসে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনাগুলো আমাদের জানা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীও সে সময় শহীদ হয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সবার আগে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ডাকসু, রাকসু, জাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। “যদি তা না হয়, তাহলে আমরা দুর্বার ছাত্রআন্দোলনের দিকে যাব,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, এখন আর রোডম্যাপ নয়—তফসিল চাই।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সক্রিয় ছাত্র সংসদ। তাই আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তফসিল এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন চাই।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।”
চাকসু গঠনের ধারণা মূলত এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর আদলে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১৯৭০ সালে চাকসুর প্রথম কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ মে। এই নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আর কোনো চাকসু নির্বাচন হয়নি।
২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসুর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা