চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সিএনজি অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আরও দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় আনোয়ারা-বাঁশখালী পিএবি সড়কের মাজার গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার আলমগীর (২৮), বৃষ্ণ দাশ (২৯)। তারা দুজনেই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তবে তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী মো.

ওয়াজেদ জানান, বাঁশখালী চাম্বল থেকে যাত্রী নিয়ে আসার সময় মাজার গেইট এলাকায় চট্টগ্রাম নগরী থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই সিএনজির দুই যাত্রী মারা যায়। সিএনজির আরও দুই যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

এ বিষয়ে আনোয়ারা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী জানান, গুরুতর আহত দুইজনকে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আনা হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হলে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন গ র তর স এনজ

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আদর্শগ্রাম নূরানী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে মাদ্রাসায় কোচিংয়ে পড়তে গেলে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ওই শিক্ষার্থীর উপর যৌন নির্যাতন চালান বলে জানিয়েছেন শিশুটির মা।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বৃষ্টি হওয়ায় মাদ্রাসার কোচিংয়ে মাত্র চারজন শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়। তাদের মধ্যে দুইজনকে ছুটি দিয়ে দুইজনকে মাদ্রাসায় রেখে দেন শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন। তাদের মধ্যে একজন ছেলে ও ভুক্তভোগী ছিল মেয়ে। শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ছেলেটিকে কৌশলে মাদ্রাসার রুম ঝাড়ু দিতে পাঠিয়ে দেন। মেয়েটিকে তার কোলের উপর বসিয়ে অশালীন আচরণ করেন। মাদ্রাসার পাশের ভবনের কক্ষ থেকে একটি মেয়ে সেই দৃশ্য দেখে ফেলেন।  

আরো পড়ুন:

অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা

বানরের সহযোগিতায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো শিশু

পরে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ওই শিশুকে মাদ্রাসায় তার বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে যৌন নির্যাচন চালান। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে ট্যাবলেট খাইয়ে দিয়ে মুখের ভিতরে কাপড় ঢুকিয়ে আবারো যৌন নির্যাচন চালান। এরপর কক্ষটি তালা দিয়ে অন্যত্র চলে যান। শিশুটি চিৎকার করলে অপর শিক্ষার্থী তালা খুলে তাকে বাইরে বের করে আনে।

এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসায় ভাঙচুর চালায়। এর আগেও শাহাদাৎ হোসেন কয়েকবার শিশু শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। 

শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে ফাঁসাতে এবং প্রতিষ্ঠানটি শেষ করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
 

ঢাকা/অলোক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা