বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের অপসারণ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। ৮ জন পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল—বিভিন্ন বিষয়ে স্বেচ্ছাচারিতা এবং সাবেক প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে বোর্ডে যথাযথ পরামর্শ না করা।

এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন হাথুরুসিংহে নিজেই। লঙ্কান এই কোচ নিজের লিংকডইন প্রোফাইলে একটি পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে তিনি ইএসপিএনক্রিকইনফোর একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেন। ওই প্রতিবেদনে ফারুক আহমেদের অপসারণের পেছনে যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, তার একটি ছিল হাথুরুসিংহেকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া।

পোস্টে হাথুরুসিংহে লেখেন, ‘ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমার চলে যাওয়া এখন আরও বড় ঘটনার অংশ। আমি সাধারণত আমার কাজকেই আমার হয়ে কথা বলতে দিই। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় আবারও আলোচনায় চলে এসেছি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিবি সভাপতির অপসারণের পেছনে আমাকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়াও একটি কারণ ছিল, যেটি বোর্ডের সঙ্গে যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই নেওয়া হয়েছিল। মাঠে ও মাঠের বাইরে স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া ও পারস্পরিক সম্মান সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।’

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে এক ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিসিবি তাকে বরখাস্ত করে। তবে হাথুরুসিংহে শুরু থেকেই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এবং বলে আসছেন, তিনি কোনো ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেননি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ আইস স বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ