ফারুককে অপসারণ প্রসঙ্গে যা বললেন হাথুরুসিংহে
Published: 31st, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের অপসারণ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। ৮ জন পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল—বিভিন্ন বিষয়ে স্বেচ্ছাচারিতা এবং সাবেক প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে বোর্ডে যথাযথ পরামর্শ না করা।
এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন হাথুরুসিংহে নিজেই। লঙ্কান এই কোচ নিজের লিংকডইন প্রোফাইলে একটি পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে তিনি ইএসপিএনক্রিকইনফোর একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেন। ওই প্রতিবেদনে ফারুক আহমেদের অপসারণের পেছনে যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, তার একটি ছিল হাথুরুসিংহেকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া।
পোস্টে হাথুরুসিংহে লেখেন, ‘ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমার চলে যাওয়া এখন আরও বড় ঘটনার অংশ। আমি সাধারণত আমার কাজকেই আমার হয়ে কথা বলতে দিই। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় আবারও আলোচনায় চলে এসেছি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিবি সভাপতির অপসারণের পেছনে আমাকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়াও একটি কারণ ছিল, যেটি বোর্ডের সঙ্গে যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই নেওয়া হয়েছিল। মাঠে ও মাঠের বাইরে স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া ও পারস্পরিক সম্মান সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে এক ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিসিবি তাকে বরখাস্ত করে। তবে হাথুরুসিংহে শুরু থেকেই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এবং বলে আসছেন, তিনি কোনো ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেননি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ আইস স বরখ স ত
এছাড়াও পড়ুন:
ফারুক আহমেদকে অপসারণের ঘটনায় যা বললেন হাথুরুসিংহে
চরম নাটকীয়তায় ফারুক আহমেদকে বিসিবি সভাপতি পদ থেকে অপসারণের ঘটনায় মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশ থেকে তাঁর বিদায়ের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, মাঠে ও মাঠের বাইরে স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া ও সম্মান সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ।
দুই দফায় বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করা হাথুরুসিংহেকে গত বছরের অক্টোবরে বরখাস্ত করা হয়। এর দুই মাস আগে বিসিবি সভাপতির চেয়ারে বসেছিলেন ফারুক।
আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফারুক আহমেদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনয়নে বিসিবির পরিচালক হন। ২১ আগস্ট পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হন সভাপতি। ৯ মাসের বেশি সময় পর গত ২৯ মে ফারুকের পরিচালক পদে মনোয়ন বাতিল করে এনএসসি। এর আগের দিন বিসিবির ৮ পরিচালক তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে এনএসসিতে চিঠি দেন।
চিঠিতে ফারুকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। যার মধ্যে ছিল কারও সঙ্গে আলোচনা না করে হাথুরুসিংহেকে একক সিদ্ধান্তে বরখাস্তের অভিযোগও। বৃহস্পতিবার রাতে এনএসসি ফারুককে দেওয়া মনোনয়ন বাতিল করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিসিবি সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হন।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোয় ফারুকের অপসারণের খবরটি লিংকডইনে শেয়ার করেছেন হাথুরুসিংহে। পেশাজীবীদের প্ল্যাটফর্মটিতে নিজের অ্যাকাউন্টে খবরটি পোস্ট করে বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ লিখেছেন, ‘আমার বিদায়টি এখন বৃহত্তর ঘটনার একটি অংশ—ইএসপিএনক্রিকইফোর প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।’
এরপর লিখেছেন, ‘এমনিতে আমি চাই, আমার কাজই আমার হয়ে কথা বলুক। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবারও আলোচনায় এসেছে আমার নাম। ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিবি সভাপতির অপসারণের পেছনে একটি কারণ ছিল আমাকে বরখাস্ত করার পদ্ধতি, যেখানে বোর্ডের যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’ লেখার শেষ অংশে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত এই কোচ লিখেছেন, ‘স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া আর সম্মান—মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে—এই মূল্যবোধগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গত ১৭ অক্টোবর বিসিবি অসদাচরণ ও চাকরিবিধি লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। পরদিনই ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পর গণমাধ্যমে পাঠানো একটি লিখিত বিবৃতিতে হাথুরুসিংহে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।