ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “হজযাত্রীদেরকে সর্বোত্তম সেবা দিতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই আন্তরিক হলে হাজযাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে হজপালন করতে পারবেন।”

শুক্রবার (৩০ মে) রাতে সৌদি আরবের মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনে হজ মনিটরিং কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “সরকার হজযাত্রাকে সহজ ও নিরাপদ করতে এ বছর লাব্বাইক অ্যাপস, হজ প্রিপেইড কার্ড ও ফোন রোমিং সার্ভিস চালু করেছে।”

আরো পড়ুন:

মেহজাবীনকে কেন ‘চার্লি চ্যাপলিন’ বলছেন?

সিলেট থেকে মদিনার পথে প্রথম হজ ফ্লাইট

এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে হজযাত্রীদের জন্য হজের আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন সহজ হবে এবং পরিবারের সদস্যসহ অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে।

এছাড়া, হজযাত্রী হারানোর আশঙ্কা কমে যাবে এবং নগদ টাকা পরিবহনের ঝুঁকি লাঘব হবে। তিনি এসব সার্ভিস ব্যবহারে হজযাত্রীদেরকে উদ্বুদ্ধকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “এ বছর হজের বিমান ভাড়া কিছুটা কমানো হয়েছে। আগামীতে আরো কমানোর বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা এ সরকারের মেয়াদেই দেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই। সে লক্ষ্যেই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।”

ড.

খালিদ বলেন, “মিনার তাঁবু ও শৌচাগার ব্যবস্থাপনা উন্নত করা প্রয়োজন। মিনার তাঁবুতে একজন হজযাত্রীর জন্য নির্ধারিত জায়গা খুবই অপ্রতুল। এছাড়া, শৌচাগারসমুহের মানও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ের নয়।”

তিনি এসব বিষয় সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনার ঘোষণা দেন। উপদেষ্টা হজযাত্রীদের সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানান।

এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন দলের আহ্বায়কের কাছ থেকে তাদের কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন।

এ সভায় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে উপদেষ্টা মিনায় বাংলাদেশিদের জন্য নির্ধারিত তাঁবুসমূহ ঘুরে দেখেন এবং সেবাপ্রদানকারী কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হজ হজয ত র দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াকআউট করার পর আবারও আলোচনায় যোগ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।

আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার ২০তম দিনে সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে যেন আর কখনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ জন্ম নিতে না পারে, সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন, সেটি গৃহীত হয়েছে। আমরা আরও প্রস্তাব দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বাধীন সার্চ কমিটি গঠন করা হোক, যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে, সেটিও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরাই প্রস্তাব করেছি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে পরবর্তী সময়ে সংসদ কোনো সংশোধনী আনলে, তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে। এটি গৃহীত হওয়া মানে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।’

তবে এসব অগ্রগতির মধ্যেও নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও রয়েছে। কিন্তু যদি কর্তৃত্ব না থাকে, কেবল দায়িত্ব আর জবাবদিহি থাকে, তাহলে তা কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়।’

সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগে নির্বাহী বিভাগের হাত–পা বাঁধা হলে তা ভবিষ্যতের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাহী বিভাগকে শক্তিশালী হতে হবে, দুর্বল নয়।’

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা গঠনমূলক লক্ষ্য নিয়ে সংলাপে অংশ নিচ্ছে। তবে যেখানে মৌলিক দ্বিমত রয়েছে, সেখানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা বা মতপার্থক্য প্রকাশ করাও গণতন্ত্রের ভাষা।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, এমন দাবি কেউ করেননি। দ্বিমত থাকবে, ভিন্নমত থাকবে, আর সেগুলোর মধ্য দিয়েই তো গণতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি না যে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে কাউকে ঐকমত্যে বাধ্য করা উচিত। ঐকমত্যের অর্থই হচ্ছে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পথচলা। বিএনপি অংশ না নিলে কীভাবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।’

বক্তব্য শেষে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, সংলাপের পরবর্তী পর্যায়ে বিএনপি অংশ নেবে এবং ইতিবাচক আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবে।

আরও পড়ুনঐকমত্য কমিশনের বৈঠক: ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠায় হুড়োহুড়ি করে বের হলেন সবাই৫৪ মিনিট আগেবিএনপির ওয়াকআউট

কমিশনের প্রস্তাবিত সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান আলোচনায় অংশ নেয়নি বিএনপি। বেলা সাড়ে ১১টার পর বিষয়টি আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তাঁরা আলোচনায় অংশ নেবেন না।

পরে আলী রীয়াজ বলেন, বিএনপির পক্ষে বলা হয়েছে, তারা আলোচনায় থাকবে না। একটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ না নিলে আলোচনা করা যাবে না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারি না।

আজ আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।

আরও পড়ুনজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বিএনপির ওয়াক আউট, পরে যোগদান২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানিব্যাগ তুলতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বড় ভাইয়ের মৃত্যু, ছোট ভাই হাসপাতালে
  • সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
  • ৪ কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি স্থাপনার নাম বদল
  • ২ বছরের ভেতরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আপত্তি নেই বিএনপির
  • জুলাই সনদের খসড়ায় ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের চিত্র নেই: ইসলামী আন্দোলন
  • কক্সবাজারের সোনাদিয়া উপকূলে ভেসে এল অজ্ঞাতনামার লাশ, এখনো নিখোঁজ অরিত্র
  • তাজউদ্দীন আহমদ দেশের স্বাধীনতার প্রধান পুরুষ
  • মানবাধিকার মিশন নিয়ে উদ্বেগ, আলোচনা ছাড়া সিদ্ধান্ত ন্যায়সংগত হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে: সালাহউদ্দিন
  • দিনলিপির দর্পণে তাজউদ্দীন আহমদ