পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বারবার ন্যাক্কারজনক হামলায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।

শনিবার (৩১ মে) ডুজা সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি ও সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এ স্তম্ভের উপর বারবার আঘাত এনে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা গণতন্ত্রবিরোধী এবং স্বেচ্ছাচারী চেহারা প্রকাশ করছে। অপেশাদারিত্ব ও কাপুরুষতায় ভরা এ ধরনের হামলা চরম উদ্বেগজনক, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

বিবৃতিতে তারা বলেন, “গত বুধবার (২৮ মে) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রদল নেতাকর্মীদের গায়ে হাত তোলা, ধাক্কাধাক্কি করা এবং মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলা বর্বরতার আরেকটি উদাহরণ। বিশেষ করে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ এবং তার অনুসারীদের নেতৃত্বে সংঘটিত এই হামলা পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

আরো পড়ুন:

শেরপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

‘পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়িবহরে হামলার খবর সঠিক নয়’

ডুজা নেতৃবৃন্দ বলেন, “ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপর ‘আগে সাংবাদিক মার’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালানো কেবল সাংবাদিকতা নয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ও সরাসরি আঘাত। এ ধরনের হামলা গণমাধ্যমের মুখ চেপে ধরার চেষ্টার নামান্তর, যা চরম প্রতিক্রিয়াশীল ও ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।”

ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সরকারী তিতুমীর কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও কুমিল্লায় ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের উপর হামলার একের পর এক অভিযোগ দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা ত্বরান্বিত করার পথে অন্যতম বাঁধা। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বারবার গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা করছে, অথচ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান ডুজা নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র ন ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি: আবদুর রাজ্জাকসহ চারজন সাত দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর গুলশান এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাকসহ (রিয়াদ) চারজনকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ রোববার এই আদেশ দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও ইব্রাহিম হোসেন।

এর আগে আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে দশ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত রাজ্জাকসহ চারজনকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। অপরজন প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুর রাজ্জাককে আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেলে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি: আবদুর রাজ্জাকসহ চারজন সাত দিনের রিমান্ডে