সিলেটের গোলাপগঞ্জের লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ঢাকা দক্ষিণ বখতিয়ারঘাট এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে টিলা ধসে পড়ে এক পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রোববার সকাল সাতটার দিকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সকাল আটটার দিকে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

নিহতরা হলেন, মাটিচাপা পড়া বাড়ির মালিক রিয়াজ উদ্দিন (৫০), তাঁর স্ত্রী রহিমা বেগম, তাঁদের সন্তান সামিয়া খাতুন (১৫) ও আব্বাস উদ্দিন (১৩)। 

 

বিস্তারিত আসছে.

..

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘনায় ট্রলারডুবির দুই দিন পরে পুলিশ সদস্যের লাশ মিলল চরে

নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের (৩০) মরদেহ পাওয়া গেছে। 

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৫টার দিকে তার মরদেহ ভেসে ওঠে চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজার-সংলগ্ন করিমবাজার ঘাটের দক্ষিণের চরে। 

সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম ও রহিমা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। তিন বছর ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন সাইফুল।

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ বলেছেন, চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে চরের পাশে মেঘনা নদীর কিনারে ভাসমান অবস্থায় পুলিশের ইউনিফর্ম দেখতে পেয়ে ছবি তুলে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ সদস্যরা এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন। গত

শনিবার (৩১ মে) দুপুর ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবোচরে পৌঁছালে হঠাৎ ফেটে গিয়ে উল্টে যায়। ওই ট্রলারে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে মাঝি ও যাত্রীসহ ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে গিয়াস উদ্দিন এবং রামগতি থেকে রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো একটি রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে। 

ট্রলার ডুবে গেলে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে সাইফুল ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেছেন, দুপুরে সাগরে একটি মরদেহ ভেসে উঠেছে বলে খবর পাই। বিষয়টি কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে অবহিত করা হয়। বিকেলে মরদেহটি ঢেউয়ের সাথে সাথে তীরের কাছে আসে। পরে এটি সাইফুলের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

ঢাকা/সুজন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ