বন্দরে বিপুল পরিমান ভারতীয় শাড়ী ও থ্রি-পিস জব্দ, আটক ১
Published: 1st, June 2025 GMT
বন্দরে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৯৭১ পিস ভারতীয় শাড়ি ও ৩৫৪ পিস থ্রি-পিস জব্দ করেছে র্যাব-। রবিবার (১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-১১। এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার মদনপুর এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ওই শাড়ী ও ত্রি পিস জব্দ করা হয়।
এসময় কাভার্ড ভ্যানের চালক মো.
র্যাব জানায়, শনিবার রাত আনুমানিক ৯টা ৫ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।র্ যাব জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি-পিস কাভার্ড ভ্যানে করে কুমিল্লা থেকে ঢাকার দিকে নিয়ে আসছে।
এই খবরের ভিত্তিতে মদনপুরে রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। রাত আনুমানিক ১০টা ১০ মিনিটে দিকে সন্দেহজনক একটি কাভার্ড ভ্যানকে থামার সংকেত দেওয়া হলে, চালক মোঃ মিকাইল হোসেন ভ্যানটি থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।র্ যাব ধাওয়া করে তাকে আটক করে।
পরবর্তীতে কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশি করে ৩ হাজার ৬১৩ পিস ভারতীয় শাড়ি এবং ৩৫৪ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র চালক দেখাতে পারেননি।
র্যাব আরও জানায়, মিকাইলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে চোরাচালানের কথা স্বীকার করে। জব্দকৃত শাড়ি ও থ্রি-পিসগুলো ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
কাভার্ড ভ্যানটির মালিক আরিফ মজুমদার। মিকাইল গত ৭-৮ মাস ধরে মাসিক ২০,০০০ টাকা বেতনে তার প্রতিষ্ঠানে চালক হিসেবে কর্মরত।
৩১ মে বিকেলে আরিফ মজুমদারের লোকেরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার কাঠেরপুল সীমান্ত এলাকা থেকে পণ্যগুলো ভ্যানে লোড করে দেয় এবং একটি অজ্ঞাত প্রাইভেটকার পাহারায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। কাভার্ড ভ্যানের মালিক আরিফ মজুমদার ও ম্যানেজার খোরশেদসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন দীর্ঘদিন ধরে এই চোরাচালানের সাথে জড়িত।
এ ঘটনায় আটককৃত চালক মিকাইল হোসেন ও পলাতক মালিক আরিফ মজুমদার, ম্যানেজার খোরশেদ ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ চ লক ম
এছাড়াও পড়ুন:
দুদকের অভিযান: ঘুষসহ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী আটক
চট্টগ্রামে কাস্টমস হাউসে ফাঁদ অভিযান চালিয়ে ঘুষের টাকাসহ দুজনকে হাতে নাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আটককৃতরা হলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় এবং তার সঙ্গী মাইনুদ্দীন। তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ঘুষের টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে ঘুষের টাকাসহ কাস্টমসের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ডিএসসিসির দুই কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা
মঙ্গলবার গোপন সংবাদ সংবাদের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, চট্টগ্রাম-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
দুদক জানায়, হোমল্যান্ড প্লাস্টিক স্যু ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রোপাইটর আমির হোসেন জাপান থেকে আমদানি করা ব্রেক অ্যাক্রিলিক মিক্সড প্লাস্টিক ওয়াস্ট এন্ড স্ক্র্যাপ (মূল্য ৬ হাজার ৪২৮.১০ মার্কিন ডলার) ছাড়করণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্কায়ন সেকশন-৭(বি) -এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় ও মো. ছারওয়ার উদ্দিন ইচ্ছাকৃতভাবে হয়রানি করে নির্ধারিত রেটের বাইরে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং টাকা প্রদান না করলে পণ্য ছাড়করণে বিলম্ব ও নিলামে বিক্রির হুমকি দেন।
উক্ত হুমকির প্রেক্ষিতে হোমল্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির প্রোপাইটার আমির হোসেন রাজস্ব কর্মকর্তাদের এরূপ দুর্নীতিমূলক ঘুষ দাবির বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম কার্যালয়কে অবহিত করেন।
কমিশনের জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধির আলোকে ঘুষ দাবিকারী শুল্ক বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং এ বিষয়ে কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করে।
অভিযানকালে দুদকের বিশেষ টিম অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছদ্মবেশে ঘুষ লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে। এ সময় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় এবং তার সঙ্গী মাইনুদ্দীনকে ঘুষের টাকা ৩০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযান শেষে আলামতের জব্দ তালিকা প্রণয়ন, স্বাক্ষীদের বক্তব্য গ্রহণসহ সকল আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে মামলা রুজুপূর্বক আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকালে উক্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ফিরোজ