রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রোববার ইউক্রেনের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ) এই হামলা চালায়। এতে রাশিয়ার ৪০ টি বোমারু বিমান ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

ইউক্রেনের এই দাবি সত্য হয়ে থাকলে, এটিই হবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রুশ সামরিক ঘাঁটিতে চালানো হামলার মধ্যে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ড্রোন হামলা, যা মস্কোর জন্য এক বড় ধাক্কা।

ইউক্রেন এর আগে এমন হামলা চালালেও তার মাত্রা এত ব্যাপক ছিল না। সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের প্রতিনিধিদের মধ্যে নতুন দফা শান্তি আলোচনা শুরুর আগে দিয়ে এই ড্রোন হামলা হল।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইউক্রেনের ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ার ৪০ টির বেশি বোমারু বিমানে আঘাত হানা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টিইউ-৯৫ এবং টিইউ-২২। দু’টো যুদ্ধ বিমানই ইউক্রেইনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে ব্যবহার করে থাকে রাশিয়া।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইউক্রেইনের এই দাবি তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি। রাশিয়ার গণমাধ্যম মুরমানস্ক এবং ইরকুটস্ক অঞ্চলের বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার খবর জানিয়েছে। তবে বলেছে, সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তার শেয়ার করা একটি ভিডিও ফুটেজে হামলার দৃশ্য দেখা গেছে। এতে কয়েকটি বড় বোমারু বিমানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এগুলো টিইউ-৯৫ যুদ্ধবিমান বলেই মনে হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ