রাশিয়াজুড়ে দেশটির বিমানবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইউক্রেন যে হামলা চালিয়েছে, সেটাকে তাঁদের দুঃসাহসী ও অসাধারণ কৌশল বলা হলে অতিরঞ্জন হবে না।

ইউক্রেন বলছে, এ হামলায় ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের (প্রায় ৫২০ কোটি পাউন্ড) ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিবিসি এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি, তবে এটুকু নিশ্চিত যে ‘অপারেশন স্পাইডার’স ওয়েব’ নামের অভিযানটি অন্তত প্রচারের দিক থেকে এক চমকপ্রদ সাফল্য ছিল।

ইউক্রেনের মানুষ এ ড্রোন হামলাকে আগের কিছু বড় সাফল্যের সঙ্গে তুলনা করছেন। যেমন ২০২২ সালে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরে নৌবহরের প্রধান জাহাজ মস্কভা ডুবিয়ে দেওয়া, কার্চ সেতুতে বিস্ফোরণ, আর পরের বছর সেভাস্তোপোল বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।

১৮ মাস ধরে এ অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। অভিযানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু ছোট ড্রোন বিশেষভাবে তৈরি ট্রাকের ভেতর লুকিয়ে রেখে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় পাচার করা হয়। এরপর সেগুলো হাজারো মাইল দূরে রাশিয়ার চারটি ভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ গণমাধ্যমকে যেসব তথ্য দিয়েছে, তার ভিত্তিতে বোঝা যাচ্ছে, এটি এখন পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে পরিকল্পিত ও সফল অভিযান।

১৮ মাস ধরে এ অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। অভিযানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু ছোট ড্রোন বিশেষভাবে তৈরি ট্রাকের ভেতর লুকিয়ে রেখে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় পাচার করা হয়। এরপর সেগুলো হাজারো মাইল দূরে রাশিয়ার চারটি ভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আশপাশের বিমানঘাঁটিগুলোর দিকে ড্রোন হামলা চালানো হয়।

ইউক্রেনের টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষা–বিশ্লেষক সেরহি কুজান বলেন, ‘বিশ্বে এর আগে কোনো গোয়েন্দা সংস্থা এমন কিছু করেছে বলে জানা নেই।’

কুজান আরও বলেন, ‘এ কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো আমাদের বিরুদ্ধে দূরপাল্লার হামলা চালাতে সক্ষম ছিল। সেখানে এ রকম মাত্র ১২০টি বিমান আছে, আর আমরা আঘাত করেছি ৪০টিতে। এটি একেবারে দুর্দান্ত একটি সংখ্যা।’

ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব নির্ধারণ করা কঠিন। তবে ইউক্রেনের সামরিক ব্লগার ওলেকসান্দর কোভালেনকো বলেন, বোমারু বিমান ও কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল বিমানগুলো পুরোপুরি ধ্বংস না হলেও এর প্রভাবটা বিশাল।

নিজের টেলিগ্রামে চ্যানেল দেওয়া পোস্টে কোভালেনকো লিখেছেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেশি যে রাশিয়ার সামরিক শিল্পকাঠামোর এখন যে অবস্থা, তাতে এগুলোকে শিগগিরই পুনরুদ্ধার বা মেরামত করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।’

এ হামলায় যেসব কৌশলগত বোমারু বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে আছে টিইউ-৯৫, টিইউ-২২ ও টিইউ-১৬০। সেগুলো এখন আর তৈরি হয় না বলে পোস্টে উল্লেখ করেছেন ওলেকসান্দর কোভালেনকো। তাঁর মতে, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বিমানগুলো মেরামত করাটাই কঠিন হবে, আর এর প্রতিস্থাপন একেবারেই অসম্ভব। এর মধ্যে সুপারসনিক টিইউ-১৬০ হারানোর ক্ষতি সবচেয়ে বেশি অনুভূত হবে বলে মনে করেন কোভালেনকো।

কোভালেনকো লিখেছেন, ‘আজ রাশিয়ার বিমানবাহিনী শুধু তাদের দুটি দুর্লভ বিমানই হারায়নি, দলের দুই অনন্য সম্পদ হারিয়েছে।’

এ তো গেল ক্ষয়ক্ষতির দিক। এটা বেশিও হতে পারে আবার কমও হতে পারে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, অপারেশন স্পাইডার’স ওয়েব আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে। তারা এ অভিযানের মধ্য দিয়ে শুধু রাশিয়াকেই বার্তা দেয়নি, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের জন্যও বার্তা দিয়েছে।

বিবিসি ইউক্রেনিয়ান সার্ভিসের ওয়েবসাইটে লেখা এক প্রতিবেদনে সংবাদকর্মী সভিয়াতোস্লাভ খোমেনকো সম্প্রতি কিয়েভে এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর একটি সাক্ষাতের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।

ওই সরকারি কর্মকর্তা হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি সভিয়াতোস্লাভকে বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, মার্কিনরা নিজেরাই ধরে নিয়েছে যে আমরা যুদ্ধটা ইতিমধ্যে হেরে গেছি। আর এই ভুল ধারণা থেকেই সব সমস্যার শুরু।’

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা–বিষয়ক সাংবাদিক ইলিয়া পোনোমারেঙ্কো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যকার হট্টগোলের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন।

ইলিয়া বলেন, ‘যখন একটি দেশ হামলার আওতায় আছে, তখন তারা এ ধরনের কথা শুনতে চাইবে না যে “ইউক্রেনের আর ছয় মাস বাকি”, “তোমাদের কিছুই করার নেই”, “শান্তি চাইলে আত্মসমর্পণ করো, রাশিয়াকে হারানো যাবে না”।’

এক্সে বিজনেস ইউক্রেন সাময়িকীর একটি পোস্টে বলা হয়, ‘দেখা যাচ্ছে, সবকিছুর পরও ইউক্রেনের হাতে কিছু কার্ড ছিল। আজ জেলেনস্কি খেললেন ড্রোনের রাজা হয়ে।’

ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে ক্রেমলিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনা করার সময় একটি বার্তা দিয়েছে। সেটি হলো, ইউক্রেন এখনো লড়াইয়ের ময়দানে আছে।

সভিয়াতোস্লাভ খোমেনকোকে ইউক্রেনের ওই সরকারি কর্মকর্তা আরও বলেছিলেন, ‘মার্কিনরা এমন আচরণ করছে, যেন তারা আমাদের জন্য যতটা সম্ভব সবচেয়ে নমনীয় আত্মসমর্পণের শর্ত নিয়ে আলোচনা করছে। আর আমরা তাদের ধন্যবাদ না দিলেই তারা রেগে যায়। কিন্তু আমরা ধন্যবাদ দিতে পারি না। কারণ, আমরা মনে করি না যে আমরা পরাজিত।’

আরও পড়ুনরাশিয়ার চার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ৪০টির বেশি বোমারু বিমান ধ্বংসের দাবি১১ ঘণ্টা আগে

রাশিয়া ধীরে ধীরে অবিচল গতিতে দনবাসের যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে অগ্রসর হলেও কিয়েভের সম্ভাবনাকে এত সহজে উপেক্ষা করা যাবে না বলে মস্কো ও ট্রাম্প প্রশাসনকে বার্তা দিচ্ছে ইউক্রেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

সকালের সবচেয়ে বরকতময় সময় ব্যবহারের ৭ কৌশল

সকাল মানুষের জীবনের একটি মূল্যবান সময়, যা দিনের বাকি অংশের জন্য সুর নির্ধারণ করে। সকাল আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার, শরীর ও মনকে প্রস্তুত করার এবং দিনের লক্ষ্য অর্জনের একটি সুবর্ণ সুযোগ।

সামাজিক মাধ্যম, কাজের চাপ এবং পারিবারিক দায়িত্ব আমাদের অনেক সময় কেড়ে নেয়, তাই সকালকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে আমরা জীবনকে আরও উৎপাদনশীল করতে পারি।

১. আল্লাহর সঙ্গে দিনের শুরু

ফজরের নামাজের ১৫-২০ মিনিট আগে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া এবং দোয়া করা জীবনকে আমূল বদলে দিতে পারে। এই সময়টি শান্ত ও পবিত্র, যখন আল্লাহর সঙ্গে কোনো বাধা থাকে না।

কে আছে আমাকে ডাকার, আমি সাড়া দেব? কে আছে আমার কাছে চাওয়ার, আমি দান করব? কে আছে ক্ষমা প্রার্থনা করার, আমি ক্ষমা করব?সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি রাতে, যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন আমাদের রব নিকটতম আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কে আছে আমাকে ডাকার, আমি সাড়া দেব? কে আছে আমার কাছে চাওয়ার, আমি দান করব? কে আছে ক্ষমা প্রার্থনা করার, আমি ক্ষমা করব?”’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫)।

তাহাজ্জুদের সময় আপনার হৃদয়ের কথা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করুন। এতে মানসিক শান্তি বাড়বে এবং দিনের জন্য ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। যদি আপনি নতুন হন, সপ্তাহে এক দিন থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে এটি অভ্যাসে পরিণত করুন।

ফজরের আগে অবশিষ্ট সময়ে কোরআন তিলাওয়াত করুন, কারণ কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ভোরে কোরআন পড়া (ফেরেশতাদের) দ্বারা প্রত্যক্ষ করা হয়।’ (সুরা ইসরা. আয়াত: ৭৮)।

আরও পড়ুনইশরাকের নামাজ: সকালের আলোয় আল্লাহর নৈকট্য ০৪ জুলাই ২০২৫২. ফজরের পর ঘুম থেকে দূরে থাকুন

ফজরের নামাজের পর ঘুমিয়ে পড়া অনেকের অভ্যাস, কিন্তু এটি সকালের বরকতময় সময় নষ্ট করে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য সকালের সময়কে বরকতময় করেছেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৬,৪৮১)।

এই সময়ে বড় বড় কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায়, কারণ এতে আল্লাহর বিশেষ বরকত রয়েছে।

আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য সকালের সময়কে বরকতময় করেছেন। মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৬,৪৮১

ফজরের পর ঘুমের প্রলোভন এড়াতে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এই সময়ে পড়াশোনা, কোরআন মুখস্থ করা বা কোনো ব্যক্তিগত প্রকল্পে কাজ করা যায়। এটি দিনের বাকি সময়ে অবসরের জন্য সময় বাঁচায় এবং আগামী দিনে আরও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করে।

বিশ্বের সফল ব্যক্তিরাও ভোর চারটা বা পাঁচটায় উঠে কাজ শুরু করার কথা বলেন, যা তাদের সাফল্যের একটি রহস্য।

৩. করণীয় তালিকা তৈরি করুন

একটি করণীয় তালিকা তৈরি করা দিনের পরিকল্পনাকে সুসংগঠিত করে। আমরা প্রায়ই মনে মনে কাজের পরিকল্পনা করি, কিন্তু মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা সীমিত। একটি ডায়েরি বা ফোনের নোট অ্যাপে কাজের তালিকা লিখে রাখলে সময় ও শক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। সম্পন্ন হওয়া কাজগুলো তালিকা থেকে কেটে দেওয়ার একটা আলাদা আনন্দ আছে।

এই তালিকায় দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যও অন্তর্ভুক্ত করুন। যেমন কোরআনের একটি নির্দিষ্ট অংশ মুখস্থ করা বা একটি নতুন দক্ষতা শেখার পরিকল্পনা। এটি আপনাকে দিনের শুরুতে ফোকাসড রাখবে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।

আরও পড়ুনযে ৪টি পরীক্ষা নবীজি (সা.)–এর জীবনকে দৃঢ়তা দিয়েছে২২ জুলাই ২০২৫বিশ্বের সফল ব্যক্তিরাও ভোর চারটা বা পাঁচটায় উঠে কাজ শুরু করার কথা বলেন, যা তাদের সাফল্যের একটি রহস্য।৪. সকালে স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন

সকালের মূল্যবান সময় সামাজিক মাধ্যমে বা ফোনে অযথা স্ক্রল করে নষ্ট করা উচিত নয়। অনেকে সকালে ফোন হাতে নিয়ে ‘শুধু একটু দেখে নিই’ ভেবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হারিয়ে ফেলেন। এটি মানসিক চাপ বাড়ায় এবং সকালের শান্তি নষ্ট করে।

নিয়ম করুন, সকালের নাশতা বা কিছু কাজ শুরু না করা পর্যন্ত ফোন বা সামাজিক মাধ্যমে যাবেন না। সকালে খবর পড়া এড়িয়ে চলুন। কারণ, এটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারে। যখন ফোন ব্যবহার করবেন, তখন ইতিবাচক ও প্রেরণাদায়ক কনটেন্ট দেখুন, যা আপনার দিনকে উজ্জ্বল করবে।

৫. শরীরচর্চা করুন

শরীরচর্চার উপকারিতা আমরা সবাই জানি। বিশেষ করে এই সময়ে, যখন অনেকে বাড়ি থেকে কাজ করছেন, শরীরচর্চা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। বাড়িতে কাজ করার ফলে ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা, পেশির সমস্যা বাড়ছে।

সকালে মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, যেমন যোগ, পাইলেটস, হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা ব্রিস্ক ওয়াক, আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এবং মনকে সতেজ করবে।

ইউটিউবে হাজারো ধরনের ব্যায়ামের ভিডিও পাওয়া যায়, যা বাড়িতে সামান্য জায়গায় করা যায়। যদি বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে, তবে সকালে ৩০ মিনিট হাঁটুন। লক্ষ্য হলো শরীরকে সচল রাখা এবং শক্তি বৃদ্ধি করা।

আরও পড়ুনসুস্থ জীবন যাপনে মহানবী (সা.)-এর ৯ অভ্যাস২৪ জুলাই ২০২৫সকালে মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, যেমন যোগ, পাইলেটস, হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা ব্রিস্ক ওয়াক, আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এবং মনকে সতেজ করবে।৬. পুষ্টিকর নাশতা গ্রহণ

ব্যস্ততার কারণে অনেকে সকালের নাশতা বাদ দেন, কিন্তু গবেষণা বলছে, পুষ্টিকর নাশতা দিনভর মনোযোগ বাড়ায়, অপ্রয়োজনীয় চিনির লোভ কমায় এবং শক্তি জোগায়। নাশতায় উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন ওটস বা মাল্টিগ্রেইন রুটি, স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন অ্যাভোকাডো বা বাদাম, গ্রিক ইয়োগার্ট এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করুন।

সময় কম থাকলে একটি স্মুদি তৈরি করুন—পালংশাক, আপেল এবং হিমায়িত কলা ব্লেন্ড করে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর নাশতা তৈরি করা যায়। এটি দিনের শুরুতে সবুজ শাকসবজি গ্রহণের একটি সহজ উপায়।

৭. নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন

বাড়ি থেকে কাজ করার সময় অনেকে ক্যাজুয়াল পোশাকে থাকেন। বরং সকালে সুন্দর পোশাক পরুন, যা আপনার মেজাজ উজ্জ্বল করবে। একটু পছন্দের সুগন্ধি ব্যবহার করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯১

নবীজি (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯১)। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা শুধু বাহ্যিক নয়, বরং এটি আপনার মানসিক প্রস্তুতি ও দিনের জন্য উৎসাহ বাড়ায়।

সকাল আমাদের দিনের ভিত্তি। ইসলাম আমাদের শেখায় যে সকাল আল্লাহর বরকত নিয়ে আসে। তাহাজ্জুদ, ফজরের পর জাগ্রত থাকা, করণীয় তালিকা তৈরি, স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা, শরীরচর্চা, পুষ্টিকর নাশতা এবং নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন—এই সাতটি অভ্যাস আমাদের সকালকে উৎপাদনশীল করবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সূত্র: দ্য মুসলিম ভাইব ডট কম

আরও পড়ুনরহমতের দুয়ারে হাজিরা১৫ জুন ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ