ঠাকুরগাঁওয়ে ৪৫০ টাকা কেজিদরে পশু বিক্রি
Published: 2nd, June 2025 GMT
ঠাকুরগাঁওয়ে কোরবানির উদ্দেশ্যে দেশি-বিদেশি গরুর পাশাপাশি প্রস্তুত করা হয়েছে মহিষ। দরকষাকষির ঝামেলা এড়াতে কেজি দরে গরু বিক্রি করছে বেশ কিছু গরুর খামারি। নতুন এই পদ্ধতিতে গরু কিনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন ক্রেতারাও।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার খামার রয়েছে ৬ হাজার ৪টি। আর কোরবানির জন্য এক লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে।
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে শতাধিক গরু ও মহিষ প্রস্তুত করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বিসমিল্লাহির এগ্রো ফার্ম। তবে প্রচলিত নিয়ম বদলে তারা পশু বিক্রি করছেন ওজনের উপর ভিত্তি করে। পশু ছোট হোক বা বড়, প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা কেজি দরে কিনছেন ক্রেতারা। ঠাকুরগাঁওয়ের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা আসছেন কোরবানির পশু কিনতে। কেউ কেউ অগ্রিম বুকিং দিয়ে যাচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
প্রস্তুত হাট, আসছে গরু-অপেক্ষা ক্রেতার
খুলনার জোড়াগেট হাটে হাসিল কমেছে ১ শতাংশ
ক্রেতারা জানান, গরু কেনার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক সময় দরকষাকষিতে কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে তারা ঠকে যান। তাই কেজিদরে একদামে গরু কেনা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যের।
ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার বাসিন্দা রতন তালুকদার বলেন, ‘‘আমরা যেহেতু সারা বছরে গরু কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত থাকি না, আমরা কোরবানির সময় গরু কিনতে গিয়ে ঠকে যাই। তাই এভাবে ওজনে কেনা আমাদের জন্যে ঝুঁকিমুক্ত।’’
ইসলামনগর থেকে গরু কিনতে আসা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘‘আমি গরু কিনতে এসেছি। দুটি গরু কিনেছি। এভাবে খামার থেকে লাইভ ওয়েটে গরু কেনা আমাদের জন্যে বেশ সুবিধার। যেহেতু দর কষাকষির ঝামেলা নেই, সাইজ অনুযায়ী একটা পছন্দ করে নিলেই হচ্ছে।’’
ঠাকুরগাঁও বিসমিল্লাহ এগ্রো ফার্মের পরিচালক ও চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, তার খামারের অর্ধেক গরু বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি আশা করছেন ঈদের আগেই সব গরু বিক্রি শেষ হয়ে যাবে।
ঠাকুরগাঁও বিসমিল্লাহ এগ্রো ফার্মের কর্ণধার শামীম আহমেদ জানান, ক্রেতাদের সুবিধা বিবেচনায় তারা কেজিদরে গরু বিক্রি শুরু করেছেন। গত বছর বেশ সাড়া পেয়ে এবার অধিক সংখ্যক গরু প্রস্তুত করেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.
ঢাকা/হিমেল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র প রস ত ত ঠ ক রগ করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে ৪৫০ টাকা কেজিদরে পশু বিক্রি
ঠাকুরগাঁওয়ে কোরবানির উদ্দেশ্যে দেশি-বিদেশি গরুর পাশাপাশি প্রস্তুত করা হয়েছে মহিষ। দরকষাকষির ঝামেলা এড়াতে কেজি দরে গরু বিক্রি করছে বেশ কিছু গরুর খামারি। নতুন এই পদ্ধতিতে গরু কিনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন ক্রেতারাও।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার খামার রয়েছে ৬ হাজার ৪টি। আর কোরবানির জন্য এক লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে।
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে শতাধিক গরু ও মহিষ প্রস্তুত করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বিসমিল্লাহির এগ্রো ফার্ম। তবে প্রচলিত নিয়ম বদলে তারা পশু বিক্রি করছেন ওজনের উপর ভিত্তি করে। পশু ছোট হোক বা বড়, প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা কেজি দরে কিনছেন ক্রেতারা। ঠাকুরগাঁওয়ের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা আসছেন কোরবানির পশু কিনতে। কেউ কেউ অগ্রিম বুকিং দিয়ে যাচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
প্রস্তুত হাট, আসছে গরু-অপেক্ষা ক্রেতার
খুলনার জোড়াগেট হাটে হাসিল কমেছে ১ শতাংশ
ক্রেতারা জানান, গরু কেনার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক সময় দরকষাকষিতে কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে তারা ঠকে যান। তাই কেজিদরে একদামে গরু কেনা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যের।
ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার বাসিন্দা রতন তালুকদার বলেন, ‘‘আমরা যেহেতু সারা বছরে গরু কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত থাকি না, আমরা কোরবানির সময় গরু কিনতে গিয়ে ঠকে যাই। তাই এভাবে ওজনে কেনা আমাদের জন্যে ঝুঁকিমুক্ত।’’
ইসলামনগর থেকে গরু কিনতে আসা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘‘আমি গরু কিনতে এসেছি। দুটি গরু কিনেছি। এভাবে খামার থেকে লাইভ ওয়েটে গরু কেনা আমাদের জন্যে বেশ সুবিধার। যেহেতু দর কষাকষির ঝামেলা নেই, সাইজ অনুযায়ী একটা পছন্দ করে নিলেই হচ্ছে।’’
ঠাকুরগাঁও বিসমিল্লাহ এগ্রো ফার্মের পরিচালক ও চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, তার খামারের অর্ধেক গরু বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি আশা করছেন ঈদের আগেই সব গরু বিক্রি শেষ হয়ে যাবে।
ঠাকুরগাঁও বিসমিল্লাহ এগ্রো ফার্মের কর্ণধার শামীম আহমেদ জানান, ক্রেতাদের সুবিধা বিবেচনায় তারা কেজিদরে গরু বিক্রি শুরু করেছেন। গত বছর বেশ সাড়া পেয়ে এবার অধিক সংখ্যক গরু প্রস্তুত করেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইজাহার আহমেদ খান জানান, পশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলায় লক্ষাধিক পশু প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলাতেও পাঠানো হচ্ছে।
ঢাকা/হিমেল/বকুল