Samakal:
2025-07-31@07:08:00 GMT

বইয়ের পাতায় জীবন

Published: 2nd, June 2025 GMT

বইয়ের পাতায় জীবন

নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে রাজবাড়ী সমকাল সুহৃদ সমাবেশ আয়োজন করে ‘বই পড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫’। ‘জ্ঞানালোকে প্রদীপ্ত হোক প্রজন্মের মেধা’ প্রতিপাদ্যে রাবেয়া কাদের স্মৃতি পাঠাগারের সহযোগিতায় ২৪ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসর অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির বিস্তারিত নিয়ে…


বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিনির্ভর, আলোকিত প্রজন্ম গড়তে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। এ কথাই ধ্বনিত হলো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অতিথিদের কণ্ঠে। ‘জ্ঞানালোকে প্রদীপ্ত হোক প্রজন্মের মেধা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের বইবিমুখতা থেকে ফিরিয়ে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে এবং রাবেয়া কাদের স্মৃতি পাঠাগারের সহযোগিতায় গত ২৪ মে শনিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘বইয়ের পাতায় জীবন’ শিরোনামে বই পড়া প্রতিযোগিতা হয়। 
আনন্দমুখর সকাল
সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য 
দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। রাজবাড়ী সুহৃদ সভাপতি কমল কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেন প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট দেবাহুতি চক্রবর্তী, রাজবাড়ীর প্রাক্তন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজা খানম, সুহৃদ উপদেষ্টা 
সহকারী অধ্যাপক আহসান হাবীব প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সমকালের জেলা 
প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দন। সঞ্চালনা 
করেন রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক রবিউল রবি। বক্তারা বলেন, নিঃসন্দেহে সৃজনশীল এমন আয়োজন 
প্রশংসার দাবি রাখে।  
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মিলনমেলা
রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রতিযোগিতার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে শিক্ষার্থী পূজা দাস, সাহিত্য পোদ্দার, আয়শা সিদ্দিকা, আরএসকে গ্রেস স্তুতি হালদার, হাসিবুল হাসান সূর্য। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও যুক্ত হন আয়োজনে। শিক্ষক গোলাম সারওয়ার, চায়না রানী সাহা, ওলিউল আজম তৈমুর, তপন কুমার পাল, শাহেদ আলী প্রমুখ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও বই পড়ার প্রয়োজনীতা নিয়ে আলোচনা করেন। পর্বটি সঞ্চালনা করেন সুহৃদ উপদেষ্টা ও প্রাক্তন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান। রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজা সূর্য কুমার ইনস্টিটিউশন ও অংকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজয়ী শতাধিক শিক্ষার্থী চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রমথ চৌধুরীর বই পড়া, ডা.

লুৎফর রহমানের উদ্যম ও পরিশ্রম, হুমায়ুন আজাদের বাঙলা শব্দপ্রবন্ধ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী ছিল প্রতিযোগিতার বিষয়। 
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ
এ পর্বের প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উছেন মে। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমকালের সহকারী সম্পাদক সাইফুর রহমান তপন, রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, রাবেয়া কাদের স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম, সুহৃদ সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতা প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রব সুমন। সভাপতিত্ব করেন সুহৃদ সভাপতি কমল কান্তি সরকার। 
উছেন মে বলেন, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটাই বড় কথা। যারা পুরস্কার পায়নি তারা মন খারাপ করবে না। রাজবাড়ী জেলায় এ রকম একটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সুহৃদ সমাবেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এমন প্রতিযোগিতা মেধা ও মননের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডে মনোনিবেশ জরুরি।
সাইফুর রহমান তপন বলেন, শিক্ষার্থীরা এত স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে বক্তব্য উপস্থাপন করেছে, তা সত্যিই অবাক করার মতো। শিক্ষকরা খুবই ইতিবাচক। সমকাল সৃজনশীল আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানুষকে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছে। যত সংকটই থাকুক সমকাল কাজগুলো করে যাবে। 
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষের কোনো উপকার না এলে সেই শিক্ষা কোনো কাজে লাগে না। শিক্ষাকে এমন পর্যায়ে দেখতে চাই, যে শিক্ষা দিয়ে সমাজকে বিনির্মাণ করা যায়। তাদের চিন্তা-চেতনা হবে জ্ঞাননির্ভর, যুক্তিনির্ভর। যুক্তিহীন জাতি এ সমাজকে কখনও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারবে না।’ 
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোস্তাফিজুর রহমান সীমান্ত, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী উম্মে তাবসসুম লিজা এবং পূজা দাস। বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় আটজনকে। অংশগ্রহণকারী সবাইকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় বই। 
পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ, খাতা মূল্যায়নসহ যাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি সফল হয় তারা হলেন– আহসান হাবীব, শাহ রশীদ আল কামাল, অপূর্ব দাস, সেলিনা বিলকিস, রাকিব হোসেন মামুন, লতিফুর রহমান, সৌরভ বিশ্বাস, সোহেল মিয়া, ইভা, স্মৃতি, সানজিদা, অন্তি, রিয়া, মানিক, সাইমুম, সোহাগ, অর্ণব, মামুন, টুশি প্রমুখ 
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, রাজবাড়ী 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ প রজন ম র র রহম ন এক ড ম অন ষ ঠ সমক ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিদিন কেন মৃত্যুকে স্মরণ করতে হবে

মৃত্যু জীবনের একটি অবশ্যম্ভাবী সত্য, যা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য নির্ধারিত। ইসলামে মৃত্যুকে ভয়ের বিষয় হিসেবে নয়; বরং আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়ার একটি স্বাভাবিক ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৮৫)

মৃত্যুর স্মরণ মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক অনুশীলন, যা জীবনের উদ্দেশ্যকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং আমাদের পার্থিব লোভ-লালসা থেকে দূরে রাখে।

মৃত্যু: মুমিনের জন্য স্বস্তি

পৃথিবী একটি পরীক্ষার ক্ষেত্র, যেখানে মানুষ নানা দুঃখ-কষ্ট, অভাব, প্রিয়জনের মৃত্যু, দারিদ্র্য ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। মুসলিমদের জন্য এ পরীক্ষা হলো আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলার মাধ্যমে জীবন যাপন করা।

কোরআনে বলা হয়েছে, ‘(আল্লাহ) যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করেন, তোমাদের মধ্যে কে উত্তম কাজ করে।’ (সুরা মুলক, আয়াত: ২)

আনন্দের ধ্বংসকারীকে (মৃত্যুকে) বেশি বেশি স্মরণ করো। তিরমিজি, হাদিস: ২৩০৭

মৃত্যু মুমিনের জন্য একটি স্বস্তি। এটি পার্থিব পরীক্ষা ও কষ্ট থেকে মুক্তি দেয় এবং আল্লাহর রহমতের আলিঙ্গনে নিয়ে যায়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন মৃত্যুর মাধ্যমে স্বস্তি পায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৫০৭)।

এমনকি নবীজি (সা.)-এর জীবনেও এ সত্য প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর সময় মৃত্যুর ফেরেশতা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁকে মৃত্যু বিলম্বিত করার সুযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়ার পথ বেছে নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনমৃত্যু থেকে পালানোর পথ নেই১৮ মার্চ ২০২৫মৃত্যুকে স্মরণ করার গুরুত্ব

মৃত্যু স্মরণ একটি গভীর আধ্যাত্মিক অনুশীলন। যখন আমরা কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু দেখি, তখন পার্থিব বিষয়গুলো তুচ্ছ মনে হয়। আমরা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে পুনর্বিবেচনা করি।

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘হৃদয় মরিচার মতো মলিন হয়।’ লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, ‘কীভাবে তা পরিষ্কার করা যায়?’ তিনি বললেন, ‘মৃত্যু স্মরণ ও কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে।’ (নাহজুল ফাসাহা)।

এ ছাড়া তিনি বলেছেন, ‘আনন্দের ধ্বংসকারীকে (মৃত্যুকে) বেশি বেশি স্মরণ করো।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৩০৭)

হজরত আলী (রা) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রায়ই মৃত্যুকে স্মরণ করে, সে অল্প সম্পদেও সন্তুষ্ট থাকে। সে কখনো লোভী বা কৃপণ হয় না।’ (বিহারুল আনওয়ার)

মৃত্যুর জন্য কী কামনা করা যায়

ইসলামে আত্মহত্যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাই কোনো বিপদ বা কষ্টের কারণে মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা করা অনুমোদিত নয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন বিপদের কারণে মৃত্যু কামনা না করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩৫১)।

তবে শহীদ হওয়ার জন্য দোয়া করা, অর্থাৎ আল্লাহর পথে মৃত্যুবরণের জন্য প্রার্থনা করা ইসলামে অনুমোদিত।

ইসলামের দৃষ্টিকোণে মৃত্যু জীবনের সমাপ্তি নয়; বরং এটি পার্থিব জীবন থেকে চিরস্থায়ী জীবনের দিকে একটি সেতু। মৃত্যু মুমিনের জন্য এটি আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হওয়ার একটি সুযোগ।মৃত্যুই শেষ কথা নয়

ইসলামের দৃষ্টিকোণে মৃত্যু জীবনের সমাপ্তি নয়; বরং এটি পার্থিব জীবন থেকে চিরস্থায়ী জীবনের দিকে একটি সেতু। এটি ভয় বা দুঃখের বিষয় হলেও মুমিনের জন্য এটি আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হওয়ার একটি সুযোগ। মৃত্যু স্মরণ ও এর জন্য প্রস্তুতি আমাদের জীবনকে আরও অর্থবহ করে।

বিপদে পড়লে মৃত্যু স্মরণের দোয়া আমাদের ধৈর্য ধরতে এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে সাহায্য করে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা বিপদে পড়ে বলে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন (আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই ফিরে যাব।)’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৬)

এ আয়াত মৃত্যুর সংবাদ শোনার সময়ও পাঠ করা হয়। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে বিপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে এবং তিনি আমাদের সামর্থ্যের বাইরে পরীক্ষা দেন না। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৮৬)।

প্রতিটি বিপদের মধ্যে আমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এ বিপদ ক্ষণস্থায়ী। কারণ, আমরা আল্লাহর কাছে ফিরে যাব।

আরও পড়ুনসন্তান জন্মের আগে মৃত্যু কামনা করেন নবীর মা৩১ মে ২০২৫কয়েকটি দোয়া

মৃত্যু ভাবাপন্ন বিপদ হলে: কঠিন বিপদের সময় পাঠ করা যায়, তা হলো নবীজি (সা.)-এর শেখানো: ‘হে আল্লাহ, যতক্ষণ জীবন আমার জন্য কল্যাণকর, ততক্ষণ আমাকে জীবিত রাখো এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য উত্তম, তখন আমাকে মৃত্যু দাও।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩৫১)

মৃত্যু নিকটবর্তী হলে: মৃত্যুর সময় শুধু আল্লাহই জানেন। তবে আমরা বা আমাদের প্রিয়জন মৃত্যুর কাছাকাছি থাকি এবং ভয় বা উদ্বেগ অনুভব করি, তবে এই দোয়া পাঠ করা যায়: ‘হে আল্লাহ, মৃত্যুর যন্ত্রণা ও কষ্ট থেকে আমাকে সাহায্য করো।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৯৭৮)।

নবীজি (সা.) নিজেও তাঁর মৃত্যুর সময় এই দোয়া পাঠ করেছিলেন।

হে আল্লাহ, যতক্ষণ জীবন আমার জন্য কল্যাণকর, ততক্ষণ আমাকে জীবিত রাখো এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য উত্তম, তখন আমাকে মৃত্যু দাও।সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩৫১

সহজ মৃত্যুর জন্য দোয়া: নবীজি (সা.) একটি দীর্ঘ দোয়ার শেষে বলেছেন, ‘এবং আমার মৃত্যুকে আমার জন্য স্বস্তির উৎস করো, যা আমাকে সব অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৮৮)

এখানে সহজ মৃত্যু বলতে পার্থিব অর্থে আরামদায়ক মৃত্যু (যেমন ঘুমের মধ্যে মৃত্যু) বোঝায় না; বরং এটি বোঝায় মৃত্যুর ফেরেশতার আগমন থেকে শুরু করে পরকালে স্থানান্তর পর্যন্ত একটি সহজ প্রক্রিয়া।

মৃত্যুর কঠিন পরীক্ষা থেকে আশ্রয়: একটি দোয়ায় নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে অলসতা, বার্ধক্য, কাপুরুষতা, অক্ষমতা এবং জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।’ (সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ৫৪৯১)

মৃত্যুর সময় শয়তান থেকে বাঁচতে: নবীজি (সা.) এ–সময় দোয়া করেছেন, ‘আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি যেন শয়তান আমার মৃত্যুর সময় আমাকে ক্ষতি করতে না পারে।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ১৫৫২)

ইসলামে মৃত্যুকে ভয়ের বিষয় হিসেবে নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। নিয়মিত মৃত্যু স্মরণ আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়, লোভ-লালসা থেকে দূরে রাখে এবং আমাদের ভালো কাজের পথে রাখে।

আরও পড়ুনমৃত্যু কি শেষ, মৃত্যু আসলে কী৩১ জুলাই ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ