অনুদানে চলবে এনসিপি, সব হিসাব থাকবে প্রকাশ্যে
Published: 4th, June 2025 GMT
‘আপনার অনুদান : আগামীর বাংলাদেশ’ স্লোগানে দলীয় আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি দলীয় সদস্যদের চাঁদা, গণচাঁদা, জনগণের দান, কর্পোরেট অনুদানে চলবে। আয়ের জন্য টি-শার্ট, মগ, বই, প্রকাশনা বিক্রি করবে। দলের নিবন্ধন পাওয়ার পর প্রবাসীরাও অনুদান দিতে পারবেন। donet.ncpbd.org ওয়েবসাইট, ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া যাবে।
১০০ টাকা করে সদস্য ফরম বিক্রি করা হবে। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার ফরম সারাদেশে পাঠানো হয়েছে। আরও ৫০ হাজার ফরম পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে। ফরম বিক্রি এবং সারাদেশের কমিটি সদস্যদের অনুদানে ২ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ তহবিলকে ‘নাগরিক আমানত’ বলছে এনসিপি।
বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে এনসিপি। এতে উপস্থিত ছিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, কোষাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান সাইফসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অতীতে বিভিন্ন দল গোয়েন্দা সংস্থা, ক্যান্টনমেন্ট, ব্যবসায়ী, বিদেশি শক্তির টাকায় গড়ে উঠেছিল। এনসিপি জনগণকে নিয়ে এগোবে।
আখতার হোসেন বলেন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার মাধ্যমে আয়-ব্যয় পরিচালনা করা হবে। প্রতি বছর অডিট করে, প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
এনসিপি কোষাধ্যক্ষ চাঁদা দানের ওয়েবসাইট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক দেখা যাবে কত টাকা অনুদান এসেছে, কোন জেলা থেকে এসেছে। চাঁদাদাতাকে ডিজিটাল রশিদ দেওয়া হবে। পাঁচ হাজার টাকার বেশি অনুদান দেওয়া দাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে। তবে প্রয়োজনে প্রকাশ করা যাবে।
এনসিপির নীতিমালায় বলা হয়, কালো টাকা, অন্যায় উৎস, বিদেশি সরকারসহ ছয় খাত থেকে অনুদান নেবে না এনসিপি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ওয়েবসাইট, ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকের বাইরেই গণচাঁদা তোলা হবে। এনসিপির নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে জানাবেন। তবে ইতোমধ্যে কিছু মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছে এনসিপি।
গত বছর বন্যায় তোলা টাকা তছরুপের অভিযোগের বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সেই সময়ে দু্ই ঘণ্টা পরপর আপডেট দেওয়া হয়েছে। ১৬-১৭ কোটি টাকা উঠানো হয়েছিল। অডিট করে চাঁদার রশিদসহ টাকার হিসাব দেওয়া হয়েছে। অব্যবস্থাপনার কারণে দুই-তিন লাখ টাকার হিসাব মেলেনি। বাকি সব টাকার পাইপাই হিসাব রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প অন দ ন প রক শ এনস প সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় গাছ থেকে পড়ে খায়রুল ইসলাম (৫৫) নামে এক কাঠ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দুধসর গ্রামে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। খায়রুল একই উপজেলার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের মুকাদ্দেস আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খায়রুল আজ সকালে গাছ কাটার জন্য দুধসর গ্রামের হাজরাতলায় যান। বেলা ১১টার দিকে একটি গাছের ডাল কাটার সময় পা পিছলে তিনি নিচে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক খায়রুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ
আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সংযোগের দাবিতে সমাবেশ
দুধসর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, হাজরাতলায় একটি রেইনট্রি গাছ কাটার সময় খায়রুল নামে এক শ্রমিক গাছ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুত্ব আহত হন। সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, গাছ থেকে পড়ে এক কাঠ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ