ক্ষমতায় গেলে পরিবেশ রক্ষায় ৫ পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের
Published: 5th, June 2025 GMT
ক্ষমতায় গেলে পরিবেশ রক্ষায় পাঁচটি প্রধান উদ্যোগ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, ক্রমবর্ধমান চরম অবনতিশীল জলবায়ু সংকট ও শিল্পদূষণের প্রেক্ষাপটে এখন একটি বাস্তবমুখী ও দূরদর্শী জাতীয় কৌশল আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি নির্বাচিত হয়ে দেশ শাসনের সুযোগ পায়, তাহলে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করছি, যাতে বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষা করা যায়।’
বিবৃতিতে তারেক রহমান দেশের পরিবেশ রক্ষায় বিএনপির পক্ষ থেকে পাঁচটি প্রধান উদ্যোগ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এগুলো হলো পুনর্বনায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং টেকসই কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি জাতীয় গ্রিন রিকভারি প্ল্যান প্রণয়ন করা; ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও বিষাক্ত রাসায়নিক নিষিদ্ধ করে শিল্প ও গৃহস্থালির জন্য পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার উৎসাহিত করা; জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় ও জলজ প্রতিবেশ রক্ষায় নদী-খালের পূর্ণাঙ্গ খনন ও পুনরুদ্ধার কর্মসূচি গ্রহণ করা; দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও অবকাঠামো গড়ে তুলতে সহায়তা দেওয়া এবং পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে স্কুল পাঠ্যক্রমে পরিবেশ–সম্পর্কিত শিক্ষাকে একীভূত করা।
তারেক রহমান বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ কোনো বিলাসিতা নয়; এটা জরুরি কাজ। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশগত বৈচিত্র্যে অনন্য। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই সমৃদ্ধ অনন্য পরিবেশ রক্ষা করা সবার পবিত্র কর্তব্য।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপিকে পরিবেশ সচেতন একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৭ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প চালু করেন, যা পরবর্তী সময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে রূপ নেয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯৫ সালে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন করেন এবং দেশের প্রথম পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠা করেন।
বিএনপি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, খাল খনন ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প এবং ক্ষতিকর পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপে সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানা উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক সীমানায় একটি টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একত্র হই, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সবুজ, বাসযোগ্য এবং টেকসই বাংলাদেশের উত্তরাধিকারী হয়।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ব শ রক ষ য় পর ব শ স ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
আইসিটি শ্বেতপত্র প্রণয়নে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য আহ্বান
আইসিটি খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য তথ্য আহ্বায়ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ২০২৫ সালের ১৭ই এপ্রিল আইসিটি বিভাগের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন খ্যাতিমান উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. এম. নিয়াজ আসাদুল্লাহ। এই টাস্কফোর্সের মূল উদ্দেশ্য হলো ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইসিটি খাতে অনিয়ম এবং অপব্যবস্থাপনার তদন্ত ও গবেষণাপূর্বক আইসিটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা।
বার্তায় বলা হয়, টাস্কফোর্স ইতিমধ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং কয়েকটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ বৈঠকে শ্বেতপত্র প্রণয়নে নাগরিক ও বিভিন্ন অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই প্রেক্ষাপটে, কমিটি দেশবাসীর কাছে তথ্য চেয়ে সহযোগিতা কামনা করেছে যাতে একটি তথ্যভিত্তিক ও পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা যায়। যদি কারও নিকট আইসিটিখাত সংশ্লিষ্ট কোনো দুর্নীতি বা অনিয়ম সম্পর্কে তথ্য থাকে তাহলে নিচের চ্যানেলগুলো ব্যবহার করে তাদের তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা দিতে পারবেন। পাশাপাশি সকল প্রকল্পের অনুমোদন ও বাস্তবায়নের ধাপে আইনি ব্যত্যয় বা অনিয়মের প্রমাণ যেমন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কারসাজি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্প স্থান নির্ধারণ ইত্যাদি সম্পর্কেও তথ্য দেয়া যাবে।
তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা পাঠানো যাবে ই-মেইল: [email protected]
ফেসবুক: www.facebook.com/ictwhitepaperbd2025
লিংকডইন:www.linkedin.com/company/ictwhitepaperbd2025
এছাড়াও টাক্সফোর্স প্রধান, রুম ৭০৭, ৭ম তলা, আইসিটি টাওয়ার, আগারগাঁও, ঢাকা ১২০৭ এ সরাসরি তথ্য জমা দেয়া যাবে। পাশাপাশি ভবনের নিচ তলায় একটি পরামর্শ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, কমিটি প্রাপ্ত তথ্য যথাযথ গোপনীয়তা ও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
ঢাকা/হাসান/রাসেল