আজ শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিন রাজধানীবাসীর মেট্টোরেলে চড়ার সুযোগ থাকছে না। তবে আগামীকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে ৩০ মিনিট হেডওয়ে অনুযায়ী মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ছাড়া আগামী সোমবার থেকে সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচি অনুযায়ী মেট্রোরেল যথারীতি সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে বলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানসিকভাবে বারবার ভেঙে পড়েও যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বাঁধন
আমার বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার আছে। আমি যখন ইতিবাচক থাকি, মনে হয় যে আমি একাই বিশ্বটা ঠিক করে ফেলতে পারব। আবার কিছুক্ষণ পরেই মনে হয়, আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। ডুবে যাচ্ছি, সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হলো, ৯ মাস ধরে আমি এই অবস্থার ভেতর দিয়েই যাচ্ছি। জুলাই আন্দোলনে আমি ঘরে, বাইরে, রাস্তায় সবখান থেকে ছাত্রদের সমর্থন করেছি। ছাত্র-জনতার সঙ্গেই ছিলাম। দেশটাকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে। ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড অস্থিরতা কাজ করে। ঘর থেকে বের হই না। কারও সঙ্গে কথা বলি না। প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা হয়। সবকিছু নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করে। হাত-পা কাঁপে, রাতে ঘুম হয় না। ইটিং ডিজঅর্ডারে গত ৯ মাসে আমার ১৭ কেজি ওজন বেড়েছে।
তবে একটু একটু করে আমি সেরেও উঠছি, ফিরছি। এই যাত্রায় আমার হাত ধরে রেখেছে আমার মেয়ে। এ ছাড়া এক দশক ধরে আমার বাসায় কাজের সাহায্যকারী হালিমা বেগম, বিভিন্ন বয়সের কিছু কাছের বন্ধু আর আমার থেরাপিস্ট ডা. রেহানূর ইসলামও এই যাত্রায় আমার সঙ্গে আছেন। দিনে তিনটা করে অবসাদ–নিরাময়ী (অ্যান্টি-ডিপ্রেসান্ট) ওষুধ খাচ্ছি। জিমে যাচ্ছি। আমাকে ওজন ঝরাতে সাহায্য করছেন ডায়েটিশিয়ান ডা. তামান্না। এসবের অনুপ্রেরণা হিসেবে রয়েছে একটা কাজ। অনেক আগে একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজটার ব্যাপারে আলাপ হয়েছিল। তারপর বছর কেটে গেছে। কয়েক দিন আগে ফোন করে আমাকে তৈরি হতে বললেন। আমি আবার নতুন করে নিজের সেরাটা দিয়ে ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছি। সব মিলিয়ে আমি হয়তো আবার বেঁচে উঠব।
মেয়ের সঙ্গে বাঁধন