ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। ঈদের দিন শনিবার দুপুর দুইটার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই সিটিতেই আজ রাতের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সিটি করপোরেশন নির্ধারিত যে সময় বেঁধে দিয়েছে, আশা করছি এর মধ্যেই তারা বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ করতে পারবে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে নগরবাসীকে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে পারব।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী যারা কাজ করছেন, তাদের জন্য ডিএনসিসি বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকেও তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, এ বছর কোরবানির ঈদে ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদের দিনসহ পরের দু’দিন এ বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এর মধ্য ঈদের দিন কোরবানির বর্জ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ অপসারণ করা হবে।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, আজ সকাল থেকেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করা হয়। এসব বর্জ্য মূলত কোরবানির হাটের বর্জ্য। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটির আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কারের কাজে এ বছর ঢাকা উত্তর সিটিতে ১০ হাজার ৪৩১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন। কোরবানির বর্জ্য আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে (স্থায়ী বর্জ্য অপসারণ কেন্দ্র) নিতে ৮৫০টির মতো যান-যন্ত্রসহ অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক রব ন ড এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। শনিবার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় এ শুভেচ্ছাবিনিময় হয়।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে যখন থেকে আটক করে রেখেছিল, যখন তিনি কারাগার থেকে বাসায় ফিরেছেন, গৃহবন্দী থেকেছেন, তখন আমরা তাঁর সঙ্গে সেভাবে দেখা করতে পারিনি। পরবর্তীকালে তিনি যখন মুক্ত হয়েছেন, তখন ঈদের দিনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি। এটা আজ আমাদের জন্য আনন্দের মুহূর্ত, আনন্দক্ষণ।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর (খালেদা জিয়া) যে অবিচল আস্থা, সেই আস্থা তিনি সব সময় প্রকাশ করেন এবং তাঁর প্রতিটি কথার মধ্যে আমরা সেই বিষয়টা দেখতে পাই।...তিনি যে বিশ্বাস করেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া কোনো ব্যবস্থাই ঠিক সেইভাবে কোনো রাষ্ট্রের উপকার করতে পারে না।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এটুকু জানাতে চাই, তিনি (খালেদা জিয়া) সুস্থ আছেন, ভালো আছেন, আগের চেয়ে ইনশা আল্লাহ ভালো আছেন। তিনি আপনাদের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, আপনাদের ঈদ মোবারক জানিয়েছেন, দেশবাসীকে ঈদ মোবারক জানিয়েছেন এবং সবাইকে তাঁর জন্য, দেশের জন্য দোয়া করতে বলেছেন।’

শনিবার রাত সাড়ে আটটায় বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে ফিরোজায় প্রবেশ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাক্ষাতের পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল হালিম, আফরোজা খানমসহ কয়েকজন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ