দুই সিটিতেই আজ রাতের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ: আসিফ
Published: 7th, June 2025 GMT
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
ঈদের দিন শনিবার (৭ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, “দুই সিটিতেই আজ রাতের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সিটি করপোরেশন নির্ধারিত যে সময় বেঁধে দিয়েছে, আশা করছি এর মধ্যেই তারা বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ করতে পারবে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে নগরবাসীকে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে পারব।”
আরো পড়ুন:
ঈদের শহরে মাংসের হাট
ফাঁকা ঢাকা
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “পরিচ্ছন্নতাকর্মী যারা কাজ করছেন, তাদের জন্য ডিএনসিসি বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকেও তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “এ বছর কোরবানির ঈদে ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদের দিনসহ পরের দুই দিন এ বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এর মধ্য ঈদের দিন কোরবানির বর্জ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ অপসারণ করা হবে।”
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “আজ সকাল থেকেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করা হয়। এসব বর্জ্য মূলত কোরবানির হাটের বর্জ্য। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটির আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।”
ডিএনসিসি সূত্র জানায়, কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কারের কাজে এ বছর ঢাকা উত্তর সিটিতে ১০ হাজার ৪৩১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন। কোরবানির বর্জ্য আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে (স্থায়ী বর্জ্য অপসারণ কেন্দ্র) নিতে ৮৫০টির মতো যান-যন্ত্রসহ অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ড এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শেষ। তিনি আর সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান না।
শনিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা বলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে কী না? জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তা–ই ধরেই নিচ্ছি।’
মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে ‘না’ বলে দেন। এই মন্তব্য সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে মাস্কের সঙ্গে তাঁর প্রকাশ্য বিরোধের সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুনট্রাম্প ও মাস্কের মধুর সম্পর্কে বিচ্ছেদ কেন, কী হবে এবার ০৬ জুন ২০২৫টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও মাস্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারে কোটি ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি তিনি ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলের কঠোর সমালোচনা করেন।
সম্প্রতি ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে কটাক্ষ করেন মাস্ক। তাঁর ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, ইলনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। জানি না সেটা আর থাকবে কি না।’
মাস্ককে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভীষণ হতাশ। কারণ, এখানে উপস্থিত অন্য যে কারও চেয়ে তিনি এ বিলের ভেতরের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ভালো জানতেন। হঠাৎই এটি নিয়ে তাঁর সমস্যা শুরু হয়েছে।’ তবে ট্রাম্পের এ দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মাস্ক।
আরও পড়ুনইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরকারি চুক্তি বাতিলের হুমকি ট্রাম্পের০৬ জুন ২০২৫ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাস্ক একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। এসব পোস্টে ট্রাম্পকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। প্রমাণ না দিলেও মাস্ক দাবি করেছেন, ট্রাম্প ‘এপস্টেইন ফাইল’–এ আছেন।
শনিবার এনবিসির সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, মাস্ক প্রেসিডেন্টের অফিসের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেছেন।