চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমগাছের কাছে খেলা নিয়ে বিবাদ, প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১
Published: 9th, June 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। একটি আমগাছের কাছে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিবাদ থেকে হামলার ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের সুবইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম বাসেদ আলী (৫৫)। তিনি সুবইল গ্রামের বাসিন্দা। একটি শিশু ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে আগের বিরোধের জের ধরে আসামিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত বাসেদের স্বজনেরা। বাসেদ ওই মামলার বাদীপক্ষে ছিলেন।
নিহত বাসেদের ভাতিজা হারুনর রশিদ ও শাহীন আলী বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় একটি আমগাছের কাছে ক্রিকেট খেলছিল শিশু–কিশোরেরা। বল লেগে আম পড়ে যাবে বলে তাদের খেলতে নিষেধ করেন বাসেদ আলীর এক ভাতিজা। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জের ধরে হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বাসেদ আলীসহ কয়েকজন। তাঁদের পথ রোধ করে আবারও হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ সময় মাথায় শাবলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসেদ আলী। হামলায় দুই নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন।
মো.
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেসবাউলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রইস উদ্দিন। তিনি বলেন, আমগাছের কাছে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলায় একজন নিহত হয়েছেন বলে তাঁরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। শিশু ধর্ষণ মামলাটির অভিযোগপত্র হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেটির সম্পর্ক আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আমগ ছ র ক ছ ব স দ আল
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক