চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। একটি আমগাছের কাছে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিবাদ থেকে হামলার ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের সুবইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম বাসেদ আলী (৫৫)। তিনি সুবইল গ্রামের বাসিন্দা। একটি শিশু ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে আগের বিরোধের জের ধরে আসামিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত বাসেদের স্বজনেরা। বাসেদ ওই মামলার বাদীপক্ষে ছিলেন।

নিহত বাসেদের ভাতিজা হারুনর রশিদ ও শাহীন আলী বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় একটি আমগাছের কাছে ক্রিকেট খেলছিল শিশু–কিশোরেরা। বল লেগে আম পড়ে যাবে বলে তাদের খেলতে নিষেধ করেন বাসেদ আলীর এক ভাতিজা। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জের ধরে হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বাসেদ আলীসহ কয়েকজন। তাঁদের পথ রোধ করে আবারও হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ সময় মাথায় শাবলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসেদ আলী। হামলায় দুই নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন।

মো.

হারুনর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিপক্ষ ধর্ষণ মামলার আসামি মো. ঝাটু আলীর ছেলে মেসবাউলের শাবলের আঘাতে তাঁর চাচা বাসেদ আলীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সেলিনা বেগম (৫০) ও ছবি খাতুন (৪৫) নামের দুই নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। দুই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেসবাউলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রইস উদ্দিন। তিনি বলেন, আমগাছের কাছে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলায় একজন নিহত হয়েছেন বলে তাঁরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। শিশু ধর্ষণ মামলাটির অভিযোগপত্র হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেটির সম্পর্ক আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আমগ ছ র ক ছ ব স দ আল

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমগাছের কাছে খেলা নিয়ে বিবাদ, প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। একটি আমগাছের কাছে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিবাদ থেকে হামলার ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের সুবইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম বাসেদ আলী (৫৫)। তিনি সুবইল গ্রামের বাসিন্দা। একটি শিশু ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে আগের বিরোধের জের ধরে আসামিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত বাসেদের স্বজনেরা। বাসেদ ওই মামলার বাদীপক্ষে ছিলেন।

নিহত বাসেদের ভাতিজা হারুনর রশিদ ও শাহীন আলী বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় একটি আমগাছের কাছে ক্রিকেট খেলছিল শিশু–কিশোরেরা। বল লেগে আম পড়ে যাবে বলে তাদের খেলতে নিষেধ করেন বাসেদ আলীর এক ভাতিজা। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জের ধরে হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বাসেদ আলীসহ কয়েকজন। তাঁদের পথ রোধ করে আবারও হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ সময় মাথায় শাবলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসেদ আলী। হামলায় দুই নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন।

মো. হারুনর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিপক্ষ ধর্ষণ মামলার আসামি মো. ঝাটু আলীর ছেলে মেসবাউলের শাবলের আঘাতে তাঁর চাচা বাসেদ আলীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সেলিনা বেগম (৫০) ও ছবি খাতুন (৪৫) নামের দুই নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। দুই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেসবাউলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রইস উদ্দিন। তিনি বলেন, আমগাছের কাছে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলায় একজন নিহত হয়েছেন বলে তাঁরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। শিশু ধর্ষণ মামলাটির অভিযোগপত্র হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেটির সম্পর্ক আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ