আইসিসির ‘হল অফ ফেম’-এর অন্তর্ভুক্ত করা হল ভারতের বিশ্বকাপকয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। তার সঙ্গে আছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ম্যাথু হেডেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। এছাড়া আরো চার ক্রিকেটারকেও যুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, ড্যানিয়েল ভেট্টরি, হাশিম আমলা, সারা মির এবং সারাহ টেলর।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে দুই দলকে নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইসিসি। ‘এ ডে উইথ দ্য লেজেন্ডস’- শিরোনামের অনুষ্ঠানিকে সাত কিংবদন্তির নাম ঘোষণা হয়।
ধোনিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘চাপের মুখেও বরফের মতো শান্ত। অতুলনীয় বুদ্ধি। কিন্তু স্বল্প ওভারের ম্যাচে ঝড় তুলতে ওস্তাদ। অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফিনিশার, অধিনায়ক এবং উইকেট কিপার।’’
আরো পড়ুন:
ধোনি-হেডেন-স্মিথ আইসিসি হল অব ফেমে
টিভিতে আজকের খেলা
আইসিসি-র ওয়েবসাইটে ধোনি বলেছেন, “হল অফ ফেমে সুযোগ পেয়ে আমি আপ্লুত। গোটা বিশ্বে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্রিকেটারেরা যে অবদান রাখে, তার স্বীকৃতি জানানো হয় এই সম্মানের মাধ্যমে। সর্বকালের সেরাদের পাশে নিজের নাম দেখতে পাওয়া অসাধারণ অনুভূতি। সারাজীবন এই সম্মান মনে রাখব।”
ধোনির আগে আইসিসি-র ‘হল অফ ফেম’-এ ছিলেন ১০ জন ভারতীয় ক্রিকেটার। তার মধ্যে দু’জন মহিলা এবং আটজন পুরুষ। ২০০৯ সালে প্রথম ভারতীয় হিসাবে ‘হল অফ ফেম’-এ জায়গা পান সুনীল গাভাস্কার ও বিষান সিংহ বেদী। এর পর কপিল দেব, অনিল কুম্বলে, রাহুল দ্রাবিড়, শচীন টেন্ডুলকর, বিনু মাঁকড়, ডায়না এডুলজি এবং নীতু ডেভিড এই সম্মান পেয়েছেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের পথরেখা ঘোষণা এবং আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে দুই দফা দাবি উত্থাপন করে দুই কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্পষ্ট বিবৃতি চান তাঁরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এ প্রশাসন আমরা এনেছি। যদি আপনারা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে না পারেন, আপনাদের আমরা গাড়িতে তুলে দিতে বাধ্য হব। এ প্রশাসন ক্যাম্পাসে গত এক বছরে কিছুই করতে পারেনি। ছয় মাস পার হলেও একটি ক্যাফেটেরিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। হচ্ছে, হবে কিংবা প্রক্রিয়ায় আছে—এসব কথা আর বলা যাবে না। যদি কাজ করতে না পারেন, আপনারা চলে যাবেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবির মানববন্ধনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বি এম আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, ‘কোনো অছাত্র, বয়োবৃদ্ধ দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। যাদের ছাত্রত্ব আছে, তাদের দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের অতি শিগগিরই সম্পূরক বৃত্তি দিতে হবে। আমরা আর কোনো অজুহাত শুনব না।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রশাসনকে রোডম্যাপ ঘোষণার তারিখ জানাতে হবে। যদি জকসু না হয়, দ্বিতীয়বার আন্দোলনের ডাক আসবে। আপনাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, সে আন্দোলন আপনারা সামাল দিতে পারবেন না।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যেসব প্রতিনিধি আসবেন তাঁরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। তাঁরা নির্ধারণ করবেন শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিরাপদ থাকবেন, কীভাবে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করা যায়।