বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, “আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে নৈতিকতা, ন্যায় ও জ্ঞানই হবে আমাদের চালিকা শক্তি। আমরা দেখেছি, কিভাবে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় মাত্র ৮-৯ মাসে এই দেশকে একটা সম্মান জনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে নির্বাচিত যে সরকার আসবে, তারা এ ধারা অব্যাহত রাখবে।”

সোমবার (৯ জুন) সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নূরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন: ১৫ বছর চামড়া শিল্পে ব্যাপক নৈরাজ্য হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আরো পড়ুন:

সাভারে চামড়া সংগ্রহ ৩.

৭৮ লাখ, সিইটিপি নিয়ে ফের উদ্যোগে সরকার

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শেখ বশির উদ্দিন বলেন, “যারা এই স্কুল থেকে জ্ঞান অর্জন করে সম্মানিত হয়েছেন, তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে  আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের নেতা এবং নেতৃত্বের যোগ্যতায় গড়ে তুলতে হবে।”

তিনি বলেন, “কেউ অনেক টাকার মালিক মানে তিনি সফল এই ধারণা ভুল। সম্পদে না, যারা সম্মানে ও জ্ঞানে দৃষ্টান্ত অর্জন করেছেন তারাই সফল।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মোহাম্মদ আবদুল মজিদ।

আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন- খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক  মো. আবু বকর সিদ্দিক।

পচা চামড়া নিয়ে অপপ্রচার চালাবেন না
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, “আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরা থেকে ভেটখালী সড়কের কাজ শুরু হবে।” 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “চামড়া ব্যবসায়ীরা অব্যশই ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। সরকার এবার উদারভাবে সারা দেশে সাড়ে ৭ লাখ মণ লবন বিতরণ করেছে। যেহেতু, চামড়া পচনশীল দ্রব্য সুতরাং পচা চামড়া নিয়ে অপপ্রচার চালাবেন না।”

পরে উপদেষ্টা শ্যামনগরে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার স্থায়ী ও অস্থায়ী সংরক্ষণাগার পরিদর্শণ করেন।

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শসা চুরি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত অর্ধশতাধিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জমি থেকে শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সোমবার রাতে সুহেলের জমি থেকে জালাল মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া শসা চুরি করে বলে অভিযোগ উঠে। চুরির সময় হৃদয়কে হাতেনাতে আটক করে বলে দাবি সুহেলের। পরে চুরির বিষয় হৃদয়ের পরিবারকে অবহিত করে সুহেলের পরিবার। এরপর হৃদয়ের পক্ষের লোকজন সুহেলের লোকদের কাছে হাত ধরে ক্ষমা চয়। কিন্তু এই ‘হাত ধরে ক্ষমা’ চাওয়াকে অবমাননা হিসেবে দেখেন হৃদয়ের পক্ষের মাতব্বর মীর্জা আলী। তিনি বিষয়টি ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন।

উভয়পক্ষের লোকজন সোমবার রাতেই গোষ্ঠীর মাতব্বরদের নিয়ে কয়েক দফা মিটিং করে মঙ্গলবার ভোরে সংঘর্ষে জড়ানোর। এরপর মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন মুখোমুখি হয়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী ও শিশুসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সুহেল মিয়ার পক্ষের আহতরা হলো- জুয়েল মিয়া, সুহেল মিয়া, লুদন মিয়া, জসিম মিয়া, কাউছার মিয়া, আরমান মিয়া, সালমান মিয়া, সালাম মিয়া, তুহিন বেগম, জুনাইদ মিয়া, ফকির চান বেগম, ফারুক মিয়া, সবুজ মিয়া, মুন্না মিয়া, ইমরান হোসাইন, সফর আলী, জিহাদ মিয়া, পিন্টু মিয়া, জাফর মিয়া, সুলেমান মিয়া ও সজিব মিয়া।

অন্যদিকে হৃদয় মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন- তোতা মিয়া, সরাজ মিয়া, জালাল মিয়া, ফুলজাহান বেগম, রাব্বি মিয়া, সাদেক মিয়া, সেলিম মিয়া, রজব আলী, কাউছার মিয়া, আলম মিয়া, আমীর আলী, ডালিম মিয়া, সেলিম মিয়া, রজব আলী, কাউছার আলী, আলম আলী, আমির আলী, ডালিম মিয়া, শামীমা আক্তার, ইনন মিয়া, ছফিল উদ্দিন, উত্তম মিয়া, আক্তার মিয়া, আজাদ মিয়া, নুরল হক, এনামুল হক, এনাব আলী, দুলাল মিয়া, জিলু মিয়া, সোরাব আলী, উজ্জ্বল মিয়া, মুরসালিন সরকার, রাজ্জাক সরকার, সুমন সরকার, হাফিজ মিয়া, এমরান আলী, নাবিন আলী, ফজু মিয়া, আকিক মিয়া, সাহেদ মিয়া ও নজরুল হক সরকার। আহতদের একাংশকে হবিগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হৃদয় মিয়ার পক্ষের মীর্জা আলী ও তার ছেলে রাকিবুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা শসা চুরির অভিযোগ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। আত্মরক্ষা করতে গিয়ে আমরা অন্তত ৪০ জন আহত হই।

অন্যদিকে, সুহেল মিয়ার ছেলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাতে হৃদয় আমাদের জমি থেকে শসা চুরি করে। তাকে ধরার পর বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়। কিন্তু উল্টো তারা আমাদের লোকজনদের ওপর হামলা করে।

নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আহতের সংখ্যা ২০ জন বলে জানতে পেরেছি।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় বেলা ১১টা পর্যন্ত এলাকায় পুলিশের টহল অব্যাহত ছিল। দুই পক্ষের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় শ্রীঘর গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খেতের শসা চুরি নিয়ে হাতাহাতি, পরদিন ঘোষণা দিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ ঘণ্টার সংঘর্ষে আহত ৯০
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‌টিস্যু চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শসা চুরি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত অর্ধশতাধিক
  • ৮-৯ মাসে দেশকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • লক্ষ্মীপুরে হাসপাতালে ঢুকে বৈষম্যবিরোধীদের ১০ জনকে পিটুনি, আটক ৩
  • খুলনায় গ্রেনেড বাবুর বাড়িতে মিলল অস্ত্র-গুলি, বাবাসহ আটক ৩
  • খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘গ্রেনেড বাবুর’ বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ ৩ জন গ্রেপ্তার