মুম্বাইয়ে বাবা সিদ্দিক হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত জিশান কানাডায় আটক: মুম্বাই পুলিশ
Published: 11th, June 2025 GMT
এনসিপি নেতা ও ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকের হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত জিশান আখতারকে কানাডায় আটক করা হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। তবে সরকারিভাবে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
মুম্বাই পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, কানাডা তাঁদের সঙ্গে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করেনি। তবে মুম্বাই পুলিশ নানা সূত্রে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছে, জিশান আখতারকে কানাডায় আটক করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করছেন তাঁরা।
মুম্বাই পুলিশের অপরাধ শাখা মামলার অভিযোগপত্রে জিশান আখতারকে এ মামলার অন্যতম পলাতক অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করেছিল।
মুম্বাই পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই বাবা সিদ্দিককে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং এ কাজের জন্য তিনি জিশান আখতার ও শুভম লোনকারকে ভাড়া করেছিলেন।
অবশ্য বাবা সিদ্দিক হত্যা মামলার অন্যান্য অভিযুক্ত, বিশেষ করে যাঁরা গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁদের ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু জিশান আখতার ও লোনকার পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, জিশান আখতারের অবস্থান একসময় নেপালে শনাক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান।
২০২৪ সালের ১২ অক্টোবর মুম্বাই নগরের বান্দ্রায় তাঁর ছেলে ও বিধানসভার সাবেক সদস্য জিশান সিদ্দিকের অফিসের সামনে বাবা সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই সময় দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল শুটার পালিয়ে যান বলে পুলিশ জানায়। পরে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ শাখার সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর জ শ ন আখত র
এছাড়াও পড়ুন:
মিরপুরে ‘মবের শিকার’ পুলিশ কর্মকর্তা
রাজধানীর মিরপুরে বাজার করতে গিয়ে ‘মবের শিকার’ হয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনার সময় তাকে মারধর করা হয়। সেইসঙ্গে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের চাঁদা। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মিরপুর থানার ওসি সাজ্জাদ রুমন সমকালকে বলেন, সকালে মিরপুর–৬ নম্বর কাঁচাবাজারে মবের শিকার হন এক পুলিশ কর্মকর্তা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থল পল্লবী থানার আওতায় হওয়ায় পরে তাদের সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাসুদুর রহমান ২০১৭ সালের আগে পুলিশের মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই কারণে তাকে স্থানীয় লোকজন চেনেন। পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি রাজবাড়ীর দুটি থানায় ওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি এখন ফরিদপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত।
গতকাল সকাল ১১টার দিকে তিনি মিরপুরে বাজার করতে গেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০–১৫ জন নেতাকর্মী তাকে ঘিরে ফেলেন। ওই সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ নিয়ে হট্টগোলের মধ্যে সেখানে পৌঁছায় পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলমের মোবাইল ফোন কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।