লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১
Published: 11th, June 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা কাউছার আহমেদ মিলন হত্যা মামলায় বাবুল (৫০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে বাবুলকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের আদিলপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মামলার এজাহাভুক্ত ৮ নম্বর আসামি।
আরো পড়ুন: ‘প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়ে বিচার চাইব’
আরো পড়ুন:
যশোরে বিএনপিকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
মিরপুর থেকে সন্ত্রাসী সানির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নিহত কাউসার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি ছিলেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিহত কাউছারদের বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজিবপুর এলকায় বাদীর বাড়ির সামনে অভিযুক্ত দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাউসারের ভাই আফতাব হোসেন আরজুর ওপর হামলা করে। এ সময় তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি দেখে কাউছার তার ভাইকে বাঁচাতে যান। তখন তার মাথার পেছনে লোহার রড দিয়ে কয়েকটি আঘাত করা হয়। মাটিতে পড়ে গেলে তাকে পেটানো হয়।
আরো পড়ুন: জামায়াত নেতা কাউছার হত্যা মামলাটি রাজনৈতিক নয়: রেজাউল
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের সামনে আহতদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এতে ভয়ে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। সন্ধ্যায় কাউছারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক কাউছারকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত রবিবার নিহতের স্ত্রী শিল্পি আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও নাম না জানা ২০ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করেন।
আরো পড়ুন: স্বাভাবিক মৃত্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন না
ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ‘মামলার ৮ নম্বর আসামি বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দে করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।”
আরো পড়ুন: বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর নামে মামলা, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।