লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা কাউছার আহমেদ মিলন হত্যা মামলায় বাবুল (৫০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে বাবুলকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের আদিলপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মামলার এজাহাভুক্ত ৮ নম্বর আসামি।

আরো পড়ুন: ‘প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়ে বিচার চাইব’

আরো পড়ুন:

যশোরে বিএনপিকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

মিরপুর থেকে সন্ত্রাসী সানির গলাকাটা লাশ উদ্ধার 

নিহত কাউসার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি ছিলেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিহত কাউছারদের বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজিবপুর এলকায় বাদীর বাড়ির সামনে অভিযুক্ত দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাউসারের ভাই আফতাব হোসেন আরজুর ওপর হামলা করে। এ সময় তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি দেখে কাউছার তার ভাইকে বাঁচাতে যান। তখন তার মাথার পেছনে লোহার রড দিয়ে কয়েকটি আঘাত করা হয়। মাটিতে পড়ে গেলে তাকে পেটানো হয়।

আরো পড়ুন: জামায়াত নেতা কাউছার হত্যা মামলাটি রাজনৈতিক নয়: রেজাউল

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের সামনে আহতদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এতে ভয়ে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। সন্ধ্যায় কাউছারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক কাউছারকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় গত রবিবার নিহতের স্ত্রী শিল্পি আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও নাম না জানা ২০ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করেন। 

আরো পড়ুন: স্বাভাবিক মৃত্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন না

ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ‘মামলার ৮ নম্বর আসামি বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দে করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।”

আরো পড়ুন: বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর নামে মামলা, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে যাওয়ার পথে হাউসপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোছা. রুবিনা আফসানা (রিংকী)। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতদের মধ্যে ১১ জন একই বিভাগের শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

কুমিল্লায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

স্থানীয় সূত্র জানায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল খাগড়াছড়ি থেকে চান্দের গাড়িতে করে সাজেক যাচ্ছিল। পথে হাউসপাড়া এলাকায় উঁচু পাহাড়ে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রুবিনা আফসানা নামের ওই শিক্ষার্থী মারা যান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা মারজান বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’

ঢাকা/শংকর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুরপাল্লার শিক্ষা সফর বাতিল ঘোষণা
  • সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত