যশোরের চৌগাছায় ৭ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান (৫৫) নামে এক প্রতিবেশীকে আটক করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১১ জুন) বিকেলে শিশুটিকে তুলে নিয়ে মিজানুর এ কাণ্ড ঘটায় বলে স্বজনদের অভিযোগ।

আটক মিজানুর রহমান একই এলাকার মৃত করিম বক্সের ছেলে।

শিশুটির মা ও স্বজনরা জানান, তার মেয়েটি বিকেলে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এসময় শিশুটিকে একা পেয়ে মিজানুর জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে কান্না করছিল। তার কাছ থেকে ঘটনা শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় গুরুতর অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। 

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.

বজলুর রশিদ টুলু জানান, নির্যাতিত শিশুটির অস্ত্রপচার করা হয়েছে এবং সে আশঙ্কামুক্ত।

এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মিজানুরকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

ঢাকা/রিটন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

গাজীপুর নগরের কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে আংশিক প্রস্তুত ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এবারও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য তৈরি করা হচ্ছিল বিভিন্ন প্রতিমা। প্রতিমাগুলো তখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি, রংও করা হয়নি। গতকাল দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে কারিগর ও মন্দিরসংলগ্ন লোকজন কাজ বন্ধ রেখে চলে যান। পরে সন্ধ্যায় মন্দিরে এসে তাঁরা দেখতে পান, পাঁচ থেকে ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, পূজা শুরু হয়নি বলে এখনো পাহারার ব্যবস্থা করা হয়নি। মন্দিরের আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা তারা জানে না। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিমাগুলো আবার মেরামত করা হবে।

অগ্রগামী যুব সংঘ সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন, ‘গতকাল পূজা মন্ডপের কাজ শেষে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। বিকেল বেলা কে বা কারা পূজামন্ডপে ঢুকে ৫-৬ টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে; অন্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্নের মধ্যে আছি।’

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, চুরি করতে এসে দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রতিমাগুলোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। সেগুলো মেরামতের কথা জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ